মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা।

"মাদ্রাসা" আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বিদ্যালয়। সাধারণত, মাদ্রাসা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা। ইসলামী শিক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ইসলামী শিক্ষা ব্যতীত ইসলামকে সঠিকভাবে জানা ও উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। সুতরাং মাদ্রাসায় হল ইসলামী শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র।

মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা

তাই মাদ্রাসা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে নীচে আরো পড়ুন বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।
.

মাদ্রাসা শিক্ষা 

ইসলামী বিধি বিধান ও সাংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে এবং সেখানে যুগোপযোগী সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কোরআন ও হাদিসের আলোকে শিক্ষা দেওয়া হয় তাকে মাদ্রাসা শিক্ষা বলে।

বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মাদ্রাসার শিক্ষায় একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। সরকারি বেসরকারি উভয় পরিচালনায় এ দেশে হাজার হাজার মাদ্রাসা ইসলামিক শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে।


মাদ্রাসা শিক্ষার স্তরঃ
 মাদ্রাসা শিক্ষাকে তিনটি স্তরে বিভক্ত করা যায় যথা:

কওমি মাদ্রাসাঃ সরকারি সাহায্য ছাড়াই বাংলাদেশে অগণিত কওমি মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে। ইসলামী শিক্ষা সম্প্রসারণে কওমি মাদ্রাসা ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

হাফেজিয়া মাদ্রাসাঃ হাফিজিয়া মাদ্রাসার মাধ্যমেও মাদ্রাসা বা ইসলামী শিক্ষার বিস্তার ঘটে থাকে।

আলিয়া মাদ্রাসাঃ সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত আলিয়া মাদ্রাসা মূলত মাদ্রাসা ইসলামী শিক্ষা বিস্তার আন্তর্জাতিক ভূমিকা পালন করে থাকে।

মাদ্রাসা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় শামিলঃ বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় বর্তমান মাদ্রাসা শিক্ষা পিছিয়ে নেই। মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করে বর্তমানে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে এবং বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার পথে তাদের প্রচেষ্টা নতুন মাত্রা যোগ করছে।

কৃষি উন্নয়নঃ দেশের অধিকাংশ লোকই কৃষক। বর্তমানে মাদ্রাসা শিক্ষায় কৃষিবিজ্ঞান পাঠ্যসূচি ভুক্ত করা হয়েছে। মাদ্রাসায় শিক্ষিতরা যাতে এক্ষেত্রে যথাযথ অবদান রাখতে পারে, সেজন্য এখানে কৃষি শিক্ষাকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

ইসলামী শিক্ষাঃ মাদ্রাসা গুলো ইসলামিক শিক্ষার প্রধান কেন্দ্রস্থল। মাদ্রাসার শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ হালাল হারাম ফরজ ওয়াজিব সুন্নত মাকরুহ ভালো মন্দ পার্থক্য করে জীবন যাপন করতে পারে। সুতরাং এ শিক্ষাব্যবস্থার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে অংশগ্রহণঃ বর্তমানে মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ করে মেধাবী ছাত্ররা চিকিৎসা মহাবিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সুযোগ পাচ্ছি। ফলে তারা ও ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা কার্য অংশগ্রহণ করছে। তাই দাখিল ও আলিম শ্রেণীতে এই বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষকের ব্যবস্থা করা দরকার।

মাদ্রাসা শিক্ষার বর্তমান অবস্থাঃ আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে প্রচলিত শিক্ষার তুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষা কোন ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। সরকার ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইদের সহায়তায় এগুলো আজও তাদের জ্ঞান বিজ্ঞানের মহৎ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষিকা উপকরণী যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তবে সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার মূল্যায়ন রূপ মাদ্রাসা ছাত্রকে বিসিএস পরীক্ষা অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করেছে।
মাদ্রাসা শিক্ষিতদের অবদানঃ পাক ভারত উপমহাদেশের আজাদী আন্দোলনের মুসলমানদের বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষিতদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। ১৮৫৭ সালের মহা আজাদী আন্দোলনে যারা শাহাদাত বরণ করেছিলেন, তাদের সমৃদ্ধি স্তম্ভ বাহাদুর শাহ পার্কে এখনো দন্ডায়মান।

লেখক এর মন্তব্য

একথা সত্য যে, খাঁটি মুসলমানদের ইহকালী ও পরকালিক কল্যাণীর নিশ্চয়তা একমাত্র মাদ্রাসার শিক্ষায় দিতে পারে। কারণ এতে ইসলামী শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
\