শীতকাল সম্পর্কে ১৫ টি বাক্য - শীতকালের সুবিধা।


আসসালামু আলাইকুম, শীতকাল সম্পর্কে ১৫ টি বাক্য নিয়ে আপনি যদি জানতে চান? তাহলে অবশ্যই আপনি সঠিক পোস্টটি ওপেন করেছেন। তাই শীতকাল সম্পর্কে ১৫ টি বাক্য ও শীতকালের সুবিধা শীতের করণীয় কি কি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। তাই আপনারা শীতকাল সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে যদি জানতে চান তাহলে নিম্নে খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

শীতকালের সুবিধা শীতের করণীয়

শীতকাল সম্পর্কে বিশেষ বিশেষ পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি, তাই আপনারা শীতকাল সম্পর্কে বা শীতকালে করণীয় কি এ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি তাই সমস্ত বিষয়ে জানতে নিচে আরো পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্র:

ভূমিকা

শীতকাল সম্পর্কে যে সকল পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তা হলো শীতকাল সম্পর্কে ১৫ টি বাক্য, শীতকালে কি জন্য জ্বর হয়, গ্রীষ্মকালে কি কি রোগ হয়, শীতকালের অপকারিতা, শীতকালের সুবিধা ও করণীয়,  এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি তাই আপনারা এই সমস্ত বিষয়ে ভালোভাবে জানতে নিচে খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

শীতকাল সম্পর্কে ১৫ টি বাক্য

শীতকাল সম্পর্কে ১৫ টি বাক্য নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

  • শরৎকাল এটা একটি ঠান্ডা ঋতু এ সময় প্রচুর পরিমাণ ঠান্ডা হয়। এই ঋতুতে অনেক বেশি প্রায় তুষার প্রবাহিত হয়ে থাকে।
  • বেশিরভাগ সময় শরৎ ঋতু নভেম্বর থেকে শুরু হয়। এবং ফেব্রুয়ারি মার্চ পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।
  • শীতের মৌসুমে বেশিরভাগই বড় দিন পালিত হয়, এবং এ সময় অনেকাংশেই তাপমাত্রা কমে যায়।
  • শীতকালে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়, যার ফলে মানুষ ঠান্ডা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য জ্যাকেট বা নরম সফট কাপড় পরিধান করে।
  • শীতকালীন সময় কুয়াশা বা মেঘের কারণে সূর্যকে ঢেকে রাখে এই কারণে এই সময় অনেক তাপমাত্রা কমে যায় যার ফলে আমাদেরকে অনেক পরিমাণ ঠান্ডা লাগে।
  • রোদের তাপমাত্রা অনেক অংশে কমে যাওয়ার ফলে এ সময় প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি ফল একদম টাটকা পাওয়া যায়।
  • শরৎ ঋতু বছরের সবচেয়ে শীতলতম ঋতু, এ সময় সূর্যের আলো খুব কম থাকে।
  • শীতকালীন অনেক কুয়াশা এবং ঠান্ডা হাওয়া বয়ে যায়, যার ফলে এই সময় মানুষ গরম গরম চা খেতে বেশি পছন্দ করে।
  • শীতকালে মানুষ সফট বা নরম কাপড় পড়া বা গরম গরম খাবার খাওয়া পছন্দ করে।
  • শীতকালে মানুষ এবং সকল প্রাণী গরম খাবার খেতে পছন্দ করে।
  • শীতকালে বিশেষ একটি বিষয় হলো এই সময় গরম গরম পিঠা খেতে বেশি পছন্দ করে। যেমনঃ ভাপা পিঠা, সাত পতি পিঠা, বা চিতায় পিঠাপাটিসাপটা পিঠা, এবং অন্যান্য পিঠা ইত্যাদি।
  • শীতকালে ঠান্ডা হাওয়া অনেক বেশি অংশেই বয়ে যায় এবং রাত্রে এই ঠান্ডা দ্বিগুণ হয়ে যায়। যার ফলে মানুষ বিভিন্ন ধরনের জাম্পার, জ্যাকেট, সোয়েটার, ইত্যাদি সফট কাপড় পরিধান করে।
  • শীতকালে কুয়াশার ফলে গাছপালা থেকে টপ টপ করে শিশির প্রবাহিত হয় ।
  • বাংলার পুশ - মাগ এ সময় অনেক বেশি ঠান্ডা পড়ে থাকে।
  • এ সময় সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারেনা কুয়াশা বা মেঘে ঢেকে যায়।

শীতকালের জ্বর

প্রকৃতির নিয়মে শীতের আবহাওয়া এসে গেছে। দিনে কিছু অতটা বোঝা না গেলও রাত্রের দিকে বা রাত্রের শেষের ভাগের দিকে অনেক টাই ঠান্ডা লাগে। এই ঠান্ডা গরম এই আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ করে জ্বর চলে আসে।

এই জ্বর টি ছোঁয়াছার মত সকলেরই প্রায় হয়ে থাকে। তবে আপনি চাইলে কিছুটা নিয়ম কানুন অবলম্বন করে এই জ্বর টির হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।

বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের ফলে এই জ্বর দীর্ঘ  সময় হয়ে থাকে। ঔষধ এবং পুষ্টিকর খাবারের খাওয়ার ফলে খুব দ্রুত জ্বর ভালো হয়ে যায়।

জ্বরের লক্ষণ সমূহ নিম্নে দেওয়া হলঃ

  • হঠাৎ গা ম্যাচ ম্যাচ করতে করতে বা একটু করে গা গরম হতে হতে জ্বর চলে আসে এবং পুরো এক সপ্তাহ জ্বর ছাড়েনা।
  • গায়ের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়, এবং প্রচন্ড মাথাব্যথা ও গা শিউরে শিউরে ওঠে, নাক দিয়ে পানি ঝরে।
  • বেশিরভাগই দেখা যায় জরের পাশাপাশি সর্দি কাশি হয়ে থাকে। বা নাক বন্ধ হয়ে যায়।
  • মুখে স্বাদ থাকে না। গা, ঘাট ঘাট ভাব হয়, শিশুদের ক্ষেত্রে মুখ চোখ লাল হয়ে যায় ইত্যাদি।
  • আপনার জ্বর হলে অবহেলা করলে চলবে না। কারণ এ  সময় একবার জ্বর আসলে পুরো সপ্তাহ আপনার জ্বর ছাড়বে না। জ্বর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুরো শরীর হালকা গরম পানি দিয়ে মুছে নিতে হবে।

ভালো জ্বর সর্দি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জ্বর সর্দি ঔষধ সেবন করতে হবে। এবং আপনার পরিমাণ মতো এন্টিবায়োটিক ঔষধ খেতে হবে অতিরিক্ত মাত্রায় হলে। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। এবং আপনার নাক বন্ধ হওয়ার জন্য কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করবেন।

এবং আপনার খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। অতিরিক্ত মাত্রায় খাবার গ্রহণ করা যাবেনা। এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে যেমন শাকসবজি ইত্যাদি।

শীতকালে অপকারিতা

শীতকালে বিয়ে বাড়ি বা কোন অনুষ্ঠানে গেলে অবশ্যই আপনার শীতের রক্ষা পাওয়ার জন্য মোটা কাপড় বা ফুলহাতা কাপড় পরিধান করতে হবে। বা কোন অনুষ্ঠানের গিয়ে থাকা অনেকটাই কষ্টদায়ক। ঘোরাফেরা বা কাজ কর্ম করা অনেকটা কষ্টদায়ক।

এছাড়াও শীতকালে বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি কর্ম করতে গেলে, শীতের মধ্যে দিয়ে সকল কিছু করতে হবে। এক কথায় বলা যায় ব্যবসা-বাণিজ্য বা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া হোক না কেন শীতে সবকিছু করা অনেক কষ্ট দায়ক।

শীতকালের সুবিধা 

শীতকাল মানেই ঠান্ডা। বর্তমানে এখন চলছে শীতকাল। চারিদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন, শীতের কাপুনিতে কেউ বাইরেই বের হতে চায় না। তবু খেয়াল করে দেখবেন। শীতকালে অনেক কষ্টদায়ক হলেও এর একটি ভালো দিক রয়েছে। তাহলে চলুন সেই ভালো দিক কোনটি জেনে নেওয়া যাক।

পানিঃ গরমের সময় কিছুক্ষণ পরপরই গোসল করতে হয়। কিন্তু শীতকালে একবারে বেশি কেউই গোসল করে না। গোসল করা তো দূরের কথা গোসলের নাম শুনলেই ভয়ে পালায় এমন লোক রয়েছে। সে সাপেক্ষে বলা যায় শীতে পানি অপচয় অনেক অংশে কমে যায়, এই দিক দিয়ে বিবেচনা করলে শীতকাল অনেক উপকারী।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ঃ বিদ্যুৎ সাশ্রয় কথা বলতেই আপনারা হয়তোবা বুঝতে পেরেছেন,হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন শীতকালে অযথা ফ্যান কিংবা এসি ব্যবহার করতে হয় না। এবং আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেক অংশে কমে যায়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ অপচয় অনিক অংশ কমে যায়।

শুধু শীতকালীন নয়। বরং সবসময়ই বা সব মৌসুমী অপচয় করার একদম ঠিক নয় যেটা প্রয়োজন সেটাই ব্যবহার করা বা গ্রহণ করা। শীতকালে নিজেকে শীতের হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষা রাখতে সফট বা নরম কাপড় পরিধান করুন। যাতে ঠান্ডা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।

লেখক এর মন্তব্য

ওপরের যে টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এগুলো সম্পূর্ণরূপে মেনে চলে আপনি অবশ্যই উপকৃত হবেন বলে আমি মনে করি। তাই সকল বিষয় মানবেন বা মেনে চলবেন বলে আশা ব্যক্তি করি।

আমার এই আর্টিকেলটি পরে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার করে পৌঁছে দিবেন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
\