বিজয় দিবস সম্পর্কে ১০টি বাক্য - ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়দিবস বক্তব্য ২০২৫


পোস্ট সূচিপত্রঃ ,
প্রিয় পাঠক, সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ কারণ আপনারা দেশপ্রেমিক একজন মানুষ যে কারণেই আপনারা ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাই আপনাদেরকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং  আমার তরফ থেকে আপনাদের প্রতি আমার সালাম রইল।

বিজয় দিবস সম্পর্কে ১০টি বাক্য জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম। আপনারা যদি বিজয় দিবস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান তাহলে আপনারা একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

১৬ই ডিসেম্বর আমাদের একটি আনন্দময় দিন  যে দিন আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। এবং পাক হানাদার বাহিনীদেরকে পরাজিত করে এই দিন আমাদের দেশ টি স্বাধীন হয়েছিল। তাই আপনারা ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে এবং কি ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য কি ছিল, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ কি বার ছিল,


১৬ ডিসেম্বর এর রচনা, বিজয় দিবস সম্পর্কে দশটি বাক্য কি কি এবং কি বিজয় দিবসের গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য সম্পূর্ণ বিষয় এবং অন্যান্য টপিক নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে তাই ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য

বাংলাদেশের মানুষরা নিজের মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য নিজের জান প্রাণ দিয়ে লড়াই করে এই দেশটিকে স্বাধীন করেছে। যেসব মানুষ ১৯৭১ সালে নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও এ দেশটিকে স্বাধীন করেছে শুধুমাত্র নিজের মাতৃভাষায় নিজের ভাষায় কথা বলার জন্য এবং নিজের দেশকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করেছে, যার বিনিময়ে আমরা এখন স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে পারছি।

তাই ওই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমাদের তরফ থেকে দোয়া দোয়া ও শুভকামনা রইল, কিন্তু ওই সকল মুক্তিযোদ্ধা দের কারণে আমাদের এই দেশটি স্বাধীন ভাবে জীবন যাপন করতে পারছি এবং নিজের ইচ্ছামত চলতে পারছি সবকিছুই ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের ফলেই আজ আমরা নিজের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছে এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারছি।
হাজার হাজার রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ টি আজ বিজয় এবং মুক্ত সবকিছুই আমাদের জন্য করেছে বাংলাদেশী বীর মুক্তিযোদ্ধারা যাদের কারণে আমরা আজ পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা এবং স্বাধীন একটি দেশ।

১৬ ই ডিসেম্বর ১৯৭১ কি বার ছিল

বিজয় দিবসে স্মরণ রাখার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের সব জায়গায় প্রায় বিজয় দিবস পালন করা হয়। এবং দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় বা পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিজয় দিবস সম্পর্কে কোশ্চেন বা প্রশ্ন করা হয়। তাই আপনারা ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল কি দিন ছিল তা আপনারা জানতে চান তাই ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর কি বার  ছিল এই সম্পর্কে জানতে নীচে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

১৬ই ডিসেম্বর শরণাপন্ন একটি দিন সেদিন আমাদের প্রায় দেশের সকল কর্মসূচির মাধ্যমে ১৬ই ডিসেম্বর শরণাপন্ন হওয়ার জন্য উদযাপিত হয়ে থাকে। তাই এদিন কি বার ছিল এটি জানা আমাদের খুবই জরুরী একটি বিষয়। ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার।

পাক হানাদার বাহিনীরা সেই দিনটি আত্ম সমাপন করেছিল ঢাকার রেস কোর্স ময়দানে তারা ব্যর্থতার সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেছিল সেদিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। এবং আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই দিন সেদিন আমাদের বিজয়ের দিন ছিল এবং আমাদের লাল-সবুজের বাংলাদেশ টি একদম স্বাধীন হয়েছিল।

বিজয় দিবস সম্পর্কে ১০টি বাক্য

  • ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস।
  • এটি আমাদের দেশের একটি লাল অক্ষরের দিন।
  • ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা।
  • আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা পাখ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন।
  • প্রতিবছর সারাদেশে বিজয় দিবস পালিত হয়।
  • এই দিনে মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে যায়।
  • তারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের শহীদের প্রতি ফুল ও সম্মান প্রদর্শন করেন।
  • সরকার জাতীয়ভাবে এই দিবসটি পালন করে।
  • মানুষের এ দিনটি উদযাপন করার জন্য বিশেষ, আলোচনা এবং মিটিং এর ব্যবস্থা করে।
  • প্রকৃতপক্ষে এই দিনটি মানুষকে তাদের মাতৃভূমিকে ভালবাসতে অনুপ্রাণিত করে।

১৬ই ডিসেম্বর বিজয়দিবস বক্তব্য ২০২৫

সূত্র পাত হয়েছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্র চালানোর ক্ষমতা নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে ছিল, পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে ক্ষমতা থাকায়, পূর্ব পাকিস্তানের কোন ক্ষমতায় তারা পেতো না। এই পূর্ব পাকিস্তানি হলো বাংলাদেশ। তারপর থেকে আস্তে আস্তে পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।


১৯৫২ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে বাংলাদেশি বীর সাহসী মানে পূর্ব পাকিস্তানের আমাদের বীর সাহসীরা পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে আমাদের মাতৃভাষা আদায় করে নিয়ে আসে। এবং কি তার পর থেকেই পাকিস্তানের প্রধান,

জুলফিকার আলী ভুট্টো, ইয়াহিয়া খান, চাল চলতে থাকে যে কি করে পূর্ব পাকিস্তান থেকে অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া যায়। এবং তাদেরকে নির্যাতিত করা যায় এই দুষ্টু পরিকল্পনা করলেন ইয়াহিয়া খান।

১৬ই ডিসেম্বর কি দিবস

বাংলাদেশে বিশেষ একটি দিন এ দিন রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের জাতীয় দিবস পালন করা হয়। ১৯৭২ সালে ২২শে জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। দিনটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এবং এই দিনটির সরকারি ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে, যাতে করে সবাই জাতীয় দিবস এই দিনটি পালন করতে পারে।


দীর্ঘ নয় মাস বীর যোদ্ধারা যুদ্ধ করে ১৯৭১ সাল ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা প্রায় ৯১ হাজার সদস্য আত্মসমর্পণ করে নেয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ ১৬ই ডিসেম্বর এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করে পালন করা হয়।

বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

বাংলাদেশের সেই বীর যোদ্ধারা দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করার পর আমাদের বাংলাদেশে আজ লাল সবুজের পতাকা উড়তে পারছে। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আমাদের দেশটিতে আজ স্বাধীন ভাবে জীবন যাপন করতে পারছি।

পৃথিবীর ইতিহাসে আমাদের বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যে দেশকে রক্ষা করার জন্য হাজার হাজার রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই দেশটি আজ স্বাধীন মুক্ত। ১৯৭১ সাল থেকে শুরু করে দীর্ঘ নয় মাস হাজারো রক্তর বিনিময়ে ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণের বিনিময়ে 
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় হয়। তাই আজ ১৬ই ডিসেম্বর এত আনন্দময় একটি দিন শুধু মাত্র বীর বাহাদুর শহীদ গোনের জন্যই আজ আমরা এই দিনটি উপভোগ করতে পারছি। তাই আমরা আজ সেই সকল বীর যোদ্ধা ভাইদের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা রইল। 

লেখক এর মন্তব্য

হাজারো রক্তের বিনিময়ে আমরা আজ ১৬ই ডিসেম্বর উদযাপন করতে পারি কারণ এই দিন আমাদের দেশটি স্বাধীন হয়েছিল। এবং পাখ হানাদ্বার বাহিনী এই দিন আত্মসমর্পণ করেছিলেন তাই আপনাদেরকে বলবো, দেশের জন্য কিছু একটি করার চেষ্টা করবেন, যাতে করে আমাদের দেশটি সোনার বাংলাদেশ গড়ে ওঠে।
আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের শেয়ার দিয়ে এই আর্টিকেলটি পড়ার সুযোগ করে দিবেন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
\