নাটোরের কাঁচাগোল্লা কোথায় পাওয়া যায় - নাটোরের কাঁচাগোল্লার দাম।
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই হয়তোবা জানেন না যে, অরিজিনাল নাটোরের কাঁচাগোল্লা কোথায় পাওয়া যায় এবং নাটোরের কাঁচাগোল্লার দাম কত এছাড়া অন্যান্য টপিক নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। তাই নাটোরের অরিজিনাল কাঁচা গোল্লা আপনারা যদি খেতে চান তাহলে অবশ্যই সঠিক স্থানে গিয়ে আপনাদের নাটোরের অরিজিনাল কাঁচাগোলা সংগ্রহ করতে হবে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ,
তাই এই আর্টিকেলে নাটোরের অরিজিনাল কাঁচাগোল্লা কোথায় পাওয়া যায় এই সম্পর্কে
বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি এই আর্টিকেল। তাই আপনার নাটোরের অরিজিনাল
কাঁচাগোল্লা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে নিম্নে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
আপনারা অনেকেই কাঁচাগোল্লা কিনে থাকেন কিন্তু অরিজিনাল কাঁচাগোল্লা সংগ্রহ করতে
পারেন না। তাই, এই আর্টিকেলে আপনাদের সহযোগিতার জন্য তুলে ধরেছি নাটোরের
কাঁচাগোল্লা কোথায় পাওয়া যায়, নাটোরের কাঁচাগোল্লার দাম নাটোরের কাঁচাগোল্লার
ইতিহাস নাটোরে কাঁচাগোল্লার জিআই পণ্য কিনা,
নাটোরের কাঁচাগোল্লার দোকান এবং অন্যান্য টপিক নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি
এই আর্টিকেলটিতে তাই আপনারা নাটোরের কাঁচাগোল্লা সম্পর্কে যত ধরনের কনফিউশন
রয়েছে সব দূর হয়ে যাবে। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাই
নাটোরের কাঁচাগোল্লা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে নিম্নে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
নাটোরের কাঁচাগোল্লা কোথায় পাওয়া যায়
আপনারা যদি নাটোরের অরিজিনাল কাঁচাগোল্লা কিনতে চান। তাহলে আপনাদের লাল বাজারের
জয় কালীবাড়ি দাড়িক এবং জয় কালীবাড়ি মিষ্টান্ন ভান্ডার যেতে হবে। সেখানকার
অন্যতম কাঁচাগোল্লার দোকান হলো জয় কালী বাড়ি দাড়িক ভান্ডার।
এখানে আসলে আপনারা উন্নত মানের নাটোরের কাঁচাগোল্লা পেয়ে থাকবেন। কিন্তু এখানে
একটি সমস্যা হল এখানে আপনারা কাঁচাগোল্লা কিনে বোসে খেতে পারবেন না। আপনাদেরকে
অবশ্যই প্যাকেটিং করে নিয়ে যেতে হবে।
এছাড়াও আরেকটি অন্যতম নাটোরের কাঁচা গোল্লার দোকান হল জয় কালীবাড়ি মিষ্টান্ন
ভান্ডার। আপনারা যারা টেনে, বাসে এবং অন্যান্য যানবাহনে যাতায়াত করেন। তখন
হকাররা বলে এটা নাটোরের কাঁচাগোল্লা কিন্তু সেগুলো একদমই নাটোরের কাঁচাগোল্লা
নয়।
তাই আপনারা অরিজিনাল নাটোরের কাঁচাগোল্লা কিনতে চাইলে সরাসরি নাটোরের জয় কালী
দাড়িক এবং জয় কালী বাড়ি মিষ্টান্ন ভান্ডার। এ দুই জায়গার মধ্যে যে কোন একটি
জায়গা থেকে আপনারা নাটোরের অরিজিনাল কাঁচা গোলা সংগ্রহ করতে পারেন।
নাটোরের কাঁচাগোল্লার দাম
আপনারা যদি নাটোরের অরিজিনাল কাঁচা গোল্লা কিনতে চান তাহলে আমাদের অবশ্যই নাটোরের
নিচু বাজারে যেতে হবে। এখানে গেলে আপনারা বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদুকর খাবার পাবেন
কাঁচাগোল্লা থেকে শুরু করে মিষ্টির যত যাবতীয় জিনিস রয়েছে সকল কিছু এই বাজারে
পাওয়া যায়।
তাই আপনারা কুন্ডূ মিষ্টান্ন ভান্ডারে গিয়ে অরিজিনাল নাটোরের কাঁচাগোল্লা কিনতে
পারেন। এবং এখানকার কাঁচাগোল্লার দাম মাত্র ৫২০ টাকা কেজি। তাই আপনারা নাটোরের
অরিজিনাল কাঁচাগোল্লা কিনতে চাইলে নাটোরের নিসা বাজার গিয়ে কিনতে হবে।
নাটোরের কাঁচাগোল্লার ইতিহাস
নাটোরের কাঁচাগোল্লা সৃষ্টির রয়েছে চমৎকার একটি কাহিনী। জনশ্রুতি আছে নিত্যান্ত
দারিদ্রতার শিকার হয়ে তৈরি হয়েছিল নাকি এই মিষ্টি। নাটোরের মধ্যে অন্যতম একটি
দোকান ছিল সেটা হল লাল বাজারের মধুসূদন পালের দোকান।
এবং মধুসূদনের বিরাট বড় একটি বিশাল আকৃতির করাই ছিল। সে কড়াইতে মধুসূদন পালের
দোকানে ১ থেকে ২ মন সানা দিয়ে কাঁচাগোল্লা এবং কালোজাম এরকম অন্যান্য মিষ্টি
তৈরি করতেন।
মধুসূদন পালের দোকানে ১০ থেকে ১৫ জন কর্মচারী কাজ করতেন। হঠাৎ একদিন কাজের লোক
কাজে আসে নি তখন মধুসূদন পাল চিন্তায় পড়ে যায় যে ১ থেকে ২ মন ছানা দিয়ে
সে এখন কি করবে? দুধের ছানা নষ্ট হাত থেকে রক্ষা করতে মধুসূদন পাল চিনির রস
ঢেলে জ্বাল দিয়ে নামিয়ে রাখতে বললেন মধুসূদন পাল।
এবং মধুসূদন পাল ঐ চিনি মেশানো সানা মুখে দিয়ে দেখে দারুন স্বাদ হয়েছে। নতুন
মিষ্টির নাম কি রাখবে এই নিয়ে তিনি একটু চিন্তায় পড়ে যান। হঠাৎ তার মাথায়
একটি বুদ্ধি চলে আসে। এবং নাম রাখে যেহেতু চিনিতে মিশানোর আগে সানাই কিছুই করতে
হয়নি তাই তিনি কাঁচাগোল্লা নাম রেখে দেয়।
নাটোরের কাঁচাগোল্লা কততম জিআই পণ্য
বাংলাদেশের মধ্যে ১৭ তম জি আই পণ্য হিসেবে স্থান পেয়েছে নাটোরের
কাঁচাগোল্লা। ৮ ই আগস্ট শিল্প মন্ত্রণালয়ের থেকে অধিদপ্তরের পরিচালক
খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের,
স্বাক্ষরিত নাটোরের জেলা প্রশাসকের নামে ১৭ তম জি আই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি
দিয়েছে। পূর্ব ইতিহাস থেকে জানা যায় নাটোরের কাঁচা গোল্লার আন্তর্জাতিক খ্যাতি
রয়েছে।
কাঁচা গোল্লা রেসিপি
কাঁচা গোল্লার রেসিপি তৈরি করতে সর্বপ্রথম আপনাদের যে কয়েকটি কাজ করতে হবে যেমন
১ থেকে ১.৫ লিটার ফুল ক্রিম দুধ নিতে হবে। ফুল ক্রিম হলো যে, দুধকে কোন প্রকার
জ্বালানো হয় নাই সেটা কে ফুল ক্রিম বলে। এই দুধটাই দিয়েই আপনার ছানা তৈরি করতে
হবে। যেমন পরিমাণ দুধ দিবেন তেমন পরিমাণ সেনা হবে।
আপনি যে পরিমাণ ছানা তৈরি করতে চান সে পরিমাণ অনুযায়ী দুধ নিয়ে হালকা আছে
নড়াচাড়া করতে হবে। দুধে একটি বলক না ওটা পর্যন্ত নাড়াচাড়া করতেই হবে,
নাড়াচাড়া না করলে মিল্ক সলিকটা অনেকাংশেই কম পাওয়া যাবে। তাই বলখ ওঠার আগ
পর্যন্ত নাড়াচাড়া করতে হবে। এবং অন্য পাশে আপনার একটি ছাকনা নিতে হবে তার উপরে
একটি কাপড় বিছিয়ে নিতে হবে।
কারণ ছানা তৈরি হয়ে গেলে সে সময় ঢালতে বেশি অপেক্ষা করা যাবে না। এই কারণে
কাপড়টি আগেই সাঁকনার উপরে বিছিয়ে রেখে দিতে হবে। বলক চলে আসার পরে এক দুই টেবিল
চামচ পিনেগার দিতে হবে। ছানা কাটার জন্য এর সাথে দুই টেবিল চামচ পানি দিতে হবে
যাতে করে পুরোপুরি ছানাটা কেটে যায়। তবে পিনেগার পানি অল্প অল্প পরিমাণ করে দিতে
হবে।
আর নাড়তে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত ছানাটা না কেটে যায়। যখন দেখবেন আপনার ছানাটা
পুরোপুরি কেটে গেছে তখন তখন ছানার ভিতরে ঠান্ডা পানি দিতে হবে যাতে করে ছানা
ঠান্ডা এবং সফট হয়। এই কাজটি আপনার খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে কেননা বেশি খুন
পরিমাণ রেখে দিলে আপনার ছানা শক্ত হয়ে যেতে পারে তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছানাটা
গরম পানি থেকে উঠিয়ে রাখুন।
সানাটা সাকনার উপরে ঢালার পরে অল্প পরিমাণ ঠান্ডা পানি দিতে হবে। এবং সানাটা
পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে সিপে নিতে হবে। এবং ২০ থেকে ৩০ মিনিট চিপে মুরে রেখে
দিতে হবে এর বেশি রাখা যাবে না। নইলে ছানাটা অনেক শক্ত হয়ে যেতে পারে। ৩০ মিনিট
পর দেখবেন আপনার ছানাটা পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেছে।
এরপরই ছানাটি ভালোভাবে মেখে নিতে হবে ২ থেকে ৩ মিনিট পর্যন্ত। এবং অর্ধেক পরিমাণ
ছানাটা তুলে রেখে দিতে হবে অন্য স্থানে। এরপরে অল্প পরিমাণ চিনি মিশিয়ে নিন
আপনাদের টেস্ট অনুযায়ী। দেবার পরে খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে চিনি এবং ছানা
বেশ কিছুক্ষণ পর্যন্ত মাখিয়ে নিন। এরপরে চুলার আছ অনেক কম রেখে এই ছানাটি একটি
পাত্রই দিয়ে।
ভালোভাবে এ সানাটিকে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে চুলার আছ একদম
কম যেন থাকে। নইলে সানাটা শক্ত হয়ে যেতে পারে। এরপর এর ভিতর দিতে হবে এক দুই
চামচ কন্ডাক্ট মিল্ক এবং কন্ডাক্ট মিল্ক এবং ছানা দুটো ভালোভাবে মিশে নিন।
কন্ডাক্ট মিল্ক দেওয়ার পরে চুলার আঁচ মিডিয়াম করে দিতে হবে।
এবং দু-তিন মিনিট নাড়াচাড়া করে নিতে হবে কন্ডাক্ট মিল্ক ও সানা কিছুক্ষণ
নাড়াচাড়া করার পর উপাদানটি অনেক পাতলা হয়ে যাবে কারণ চিনিটা দেওয়ার ফলে পানি
ছেড়ে এই মিশ্রণটি অনেকটাই পাতলা হয়ে গেছে। এবং আর কিছুক্ষণ নাড়া চাড়া করে
পানিটা শুকিয়ে নিতে হবে। এরপরে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে এবং পূর্বের যে
অর্ধেক ছানা ছিল সে ছানাটি এই ছানাটির সাথে মিক্স করে নিতে হবে।
এই ছানাটি ঠান্ডা হওয়ার আগেই। মাখানো হয়ে গেলে অন্য একটি পাত্রে নিতে হবে কিছু
পরিমাণ শুকনো দুধ এর গুড়া এবং সানাটি গোল করে নিয়ে গুঁড়ো দুধের মধ্যে মেখে
নিতে হবে তাহলে আপনার কাঁচা গোল্লার রেসিপি পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে।
নাটোরের মেয়েরা কেমন
সৌন্দর্য মাপ করার জন্য কোন যন্ত্র এখনো আবিষ্কার করার সম্ভব হয়নি। একক মানুষ
একক রকম সুন্দর জোর অধিকারী এবং একক মানুষ একক ধরনের মানুষকে পছন্দ করে থাকে তাই
মানুষ দেখি কখনো সুন্দর্য যাচাই করা যায় না আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্য
নাটোরের কাঁচাগোল্লা সম্পর্কে উপরে যেগুলো টপিক নিয়ে আলোচনা করেছি। তাই অরিজিনাল
নাটোরের কাঁচা গোল্লা সংগ্রহ করতে পারেন। ওপরে টপিক আপনারা মেনে চললেই অরিজিনাল
কাঁচাগোলা সংগ্রহ করতে চাইলে উপরে টপিক গুলো ফলো করে আপনাকে কাঁচাগোলা সংগ্রহ
করতে হবে।
আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন
তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু - বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌঁছে
দিবেন ধন্যবাদ।
ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url