শহীদ দিবস সম্পর্কে ১০টি বাক্য - একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
প্রিয় পাঠক, ভাষা শহীদ দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জানা আমাদের জন্য অতি
প্রয়োজনীয় কেননা আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। এছাড়াও আমাদের পরীক্ষায় কিংবা চাকরির
কোন ভাইভাতে ভাষা দিবস সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে তাই শহীদ
দিবস সম্পর্কে ১০টি বাক্য জানা আমাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।
তাই চলুন শহীদ দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জেনে নেওয়া যাক। কেননা বিভিন্ন
জায়গায় ভাষা শহীদ দিবস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় এবং পরীক্ষার ক্ষেত্রেও অথবা
ভাইবার ক্ষেত্রেও শহীদ দিবস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় বা লিখতে বলা হয় তাই চলুন
জেনে নেওয়া যাক শহীদ দিবস সম্পর্কে দশটি বাক্য কি কি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ.
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি শহীদ দিবস সম্পর্কে বা কেন
এই দিবস পালন করা হয় এসব বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আপনারা শহীদ দিবস
সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জানতে এই পুরো আর্টিকেল সম্পূর্ণ স্টেপ বাই স্টেপ মনোযোগ
সহকারে পড়ুন তাহলেই শহীদ দিবস সম্পর্কে ১০টি বাক্য জানতে পারবেন।
শহীদ দিবস সম্পর্কে ১০টি বাক্য
- আপনারা একজন অনেকেই জানেন যে মাতৃভাষার আক্ষরিক কথার অর্থ হল মায়ের ভাষা।
- প্রত্যেকটি ব্যক্তি জন্মের পর একজন ব্যক্তি যে পরিবেশের থেকে প্রথম যে শব্দ বা যে ভাষা শিখে, এবং সে ভাষাতেই কথা বলতে সে আনন্দ বোধ করে সেটাই ওই ব্যক্তির মাতৃভাষা।
- সে ক্ষেত্রে বাংলা হল আমাদের মাতৃভাষা।
- তাই আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি বা আনন্দ বোধ করি।
- মাতৃভাষা হলো মাতৃ দুগ্ধের সম্মান ও ভালোবাসা।
- মায়ের মাতৃভাষা শিশুদেরকে উৎসাহ বাড়ায় এবং কল্পনা শক্তি ও চিন্তাশক্তির বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
- মাতৃভাষার মধ্যে অনেক শক্তির রয়েছে যা দুর্বোধ বিষয়কে সহজ ভাবে বুঝতে পারা যায়।
- মাতৃভাষার মাধ্যমে আমাদের নিজের সংস্কৃতির সাথে যোগাযোগ গড়ে উঠতে সাহায্য করে থাকে।
- একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
- শেষ কথা হল আমাদের জন্য মাতৃভাষার গুরুত্ব অনেক অনেক।
কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস হিসাবে পালিত হয়
১৯৫২ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষাকে রক্ষা করার জন্য রাজপথে পাকিস্তানি
হানাদার বাহিনী গলি আঘাতে প্রাণ ত্যাগ করেন বীর সাহসী মাতৃভাষার বীর সাহসী
সন্তানগণ। যাদের নাম হলঃ
- আব্দুস সালাম
- আব্দুল বরকত
- আব্দুর রফিক
- শফিক
- ও আব্দুল জব্বার
সহ কত নাম জানা লোক জানি শহীদ হয়েছে তা আমরা অনেকেই জানিনা। তাদের
প্রাণের বিনিময়ে বাঙালি পায় প্রাণের বাংলা ভাষা। এসব শহীদগণের প্রাণের
বিনিময়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।
এবং ২০০০ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
হিসেবে পালন করা হয়। এই দিবসটি পৃথিবীতে ১২৮ টি দেশে পালন করা হচ্ছে।
একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
প্রিয় পাঠক একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে দশটি বাক্য জানলে বুঝতে পারবেন ভাষা
কি জিনিস ভাষার মর্ম কেমন ভাষা কেমন ভাবে এসেছে আশার ইতিহাস সম্পর্কে দশটি
বাক্য জানতে নিম্নে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
- ১৯৫২ সালের পর থেকে প্রতি বছরই ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়ে থাকে।
- ইতিহাসে এটাই একমাত্র প্রথম! ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ।
- ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে এই দিনে ঢাকার রাজপথে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি দিতে গিয়ে অসংখ্য ছাত্র গন নিশংসভাবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয়।
- পাকিস্তানি সেনারা উর্দু ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের অধীনে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন।
- অবশেষে ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠা হলে একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি ভাষা দিবস হিসেবে পরিচিত হয়েছে ।
- ১৯৯৯ সালে ২৮ শে অক্টোবর ইউনিকোর্স সাধারণ পরিষদে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ভাষা দিবসকে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের ঘোষণা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়।
- পৃথিবীর প্রায় ১৫০ টি দেশ তাদের মাতৃভাষা হিসেবে এই দিবসটি উদযাপন করে থাকে।
- মাতৃভাষার উপর ভরসা করে সাধারণত একটি জাতি গড়ে উঠতে পারে।
- বর্তমানে ৪৩ শতাংশ ভাষা আজ বিপন্ন এবং বিশ্বের ১০০ টিরও অনেক কম ভাষা ডিজিটাল বিশ্বে পাওয়া যায়।
- বাংলাদেশের বীর সন্তানদের সম্মান করতে এই দিনে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে সম্মান করা হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য
- ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখ,
- দুপুর বেলার রক্ত,
- বৃষ্টি নামে,
- বৃষ্টি কোথায়?
- বরকতের রক্ত।
এই সমস্ত লাইনগুলো আজও বাঙালির হৃদয়ের মনে প্রাণে জাগ্রত রয়েছে। একুশে
ফেব্রুয়ারি নানা ধরনের মাতৃ কোথায় গৌরব উজ্জ্বল এবং কাছে কার বাঙালি জাতিকে
একুশে আমাদের সাহসের প্রতীক।
ফি বছর বাঙালির জীবনে একুশে ফেব্রুয়ারি ফিরে আসে স্বদেশী চেতনা ও জীবনের বার্তা
নিয়ে। ১৯৫২ সালের মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে, ও অধিকার রক্ষার জন্য
ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে রচিত হয়েছে বাঙালির যে ইতিহাস, সেটি আমাদের মাথা নত
না হওয়ার চিরকালীন অনুপ্রেরণা হয়ে আছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা
১৯৫২ সালের সেই দিন বাংলা ভাষা মর্যাদা দিতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিতে হয়েছে
রফিক, সালাম, বরকত, শফিউর জব্বার ইত্যাদি। সকল মাতৃভাষার শ্রেষ্ঠ সন্তান গানের।
তাদের রক্তের শৃঙ্খলা মুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা, মাতৃভাষা। বাঙালি জাতির
বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল সেই দিন ঘটি ছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ
চলেছে
স্বাধীন বাংলাদেশের অদ্ভুত এর মধ্যে দিয়ে তা চূড়ান্ত করি নতি লাভ করেছিলেন। সেই
কারণে একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির কাছে চির প্রেরণার প্রতীক হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
শুধুমাত্র বাঙালি জাতি নয় বিশ্বের প্রতিটি মানুষ এই মাতৃভাষার মর্যাদা দিয়ে
থাকেন একুশে ফেব্রুয়ারি। একুশে ফেব্রুয়ারি এদেশের মানুষকে শিখতে দিয়েছে যে
আত্মত্যাগের পরিচয়,
বাঙালি জাতিকে করিয়েছে মায়াময় মহিয়ান। মহান ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে এসেছে
মহত্বের স্বাধীনতার চেতনা। তাই মাতৃভাষার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে
বাঙালি জাতির সে বীর সন্তান গান তাদের বুকের রক্ত বেরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সেই
বাঙালির ইতিহাস রচনা করেছিল, শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বে তাকে স্মরণ করেছে
সুগভীর শ্রদ্ধায়।
আরো পড়ুনঃ নবজাতক শিশুদের ঠান্ডা লাগলে করণীয়
তাই ২১ শে ফেবরুয়ারি আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
হিসেবে। সব বছরের মতো এবারও মধ্যরাতে অনেক আগে থেকেই বাঙালির শহীদগণের সে
ভালোবাসায় তারা রাজধানী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে যা শুরু করেন সর্বস্তরের
বাঙালি। হাতে ফুল নিয়ে ভাষা শহীদের অতি ভালোবাসার প্রকাশের ক্ষেত্রে হাতে ফুল
নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে যাত্রা শুরু করেন।
সকল স্তরের বাঙালিরা। আর তাদের কণ্ঠে শুধু একটি কথা আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি তাহাদের ভুলিতে পারি এই গান নিয়ে সবাই শহীদ মিনারের
দিকে যাত্রা শুরু করেন। শহীদ মিনারে ফুল প্রদর্শন করে অনেকেই যান আজিমপুর
কবরস্থানে গিয়ে তাদের শহীদ গণের রুহের মাগফেরাত কামনা করে।
লেখক এর মন্তব্য
উপরের যেগুলো ট্রপিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি তা সবই ভাষা আন্দোলনের বিষয় নিয়ে
যে সকল ব্যক্তি ভাষা শহীদদেরকে মনের প্রানে ভালোবাসে থাকেন। তারা একবার হলেও এই
আর্টিকেলটি পড়ে তাদের প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করুন এটাই আশা করি আপনাদের কাছ
থেকে।
যাদের কারণে আজ আমাদের মাতৃভাষা সুন্দরভাবে কথা বলতে পারছি সবকিছুই তাদের কারণে
তাই তাদেরকে আমাদের তরফ থেকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানাই।
( ধন্যবাদ সবাইকে )
আমার এই আর্টিকেলটি পরে পরে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন
তাহলে অবশ্যই বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌঁছে দিবেন
( ধন্যবাদ )।
ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url