নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা - নিম পাতার বৈশিষ্ট্য
প্রিয় পাঠক আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, নিম পাতা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানরাও নিম পাতা গবেষণার পর তারা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের বিশেষ ভূমিকা পালন করে নিম পাতা। তাই নিম পাতা সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এ নিম পাতা বহু রোগ প্রতিরোধের বিশেষ উপাদান থাকলেও এটি কারো কারো ক্ষেত্রে বিপরীতে বিষক্রিয়া ঘটায়। কিন্তু এই নিম পাতা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের বিশেষ উপাদান বা কার্যকারিতা রয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্র:
ভূমিকা
আপনারা যদি নিম পাতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ স্টেপ বাই স্টেপ মনোযোগ সহকারে পরলে নিম পাতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। নিম পাতার উপকারিতা কি এবং এর অপকারিতা কি এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নিম্নে আলোচনা করা হয়েছে তাই নিম পাতা সম্পর্কে জানতে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
রূপচর্চায় নিম পাতার উপকারিতাঃ নিমপাতা বিভিন্ন কাজে ব্যবহারিত হয়। যেমন, রূপচর্চায় নিমপাতা বিশেষ অবদান রাখে যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ অবদান রাখে।
হলুদের সঙ্গে নিম পাতার ব্যবহারঃ আপনি যদি নিম পাতার সঙ্গে হলুদের মিশ্রণ করেন এবং আপনার স্কিনে লাগান তাহলে আপনার স্কিনের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
নিম পাতার সঙ্গে মধুর মিশ্রণঃ নিম পাতা সঙ্গে মধুর মিশিয়ে আপনার ক্ষতস্থানে লাগালে ক্ষতস্থানটা সেরে যেতে পারে।
হজম শক্তির ক্ষেত্রে নিম পাতার ব্যবহারঃ নিম পাতা আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে এবং আপনার সর্দি কাশি কমাতে পারে নিম পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানিনা।
তাই আপনারা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নিমপাতা এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। এবং কি নিম পাতার রস আপনি নিয়মিত সেবন করলে আপনার পেটের বিভিন্ন রোগ জীবাণু থেকে মুক্তি পাবেন।
ব্রণ বা স্কিনের দাগ কমাতে নিমপাতা ব্যবহারঃ নিম পাতা আপনার স্কিনের বিভিন্ন দাগ বা ব্রণের ক্ষত থেকে স্কিনকে রক্ষা করতে পারে এই উপাদানটি।
আপনি যদি প্রতিনিয়ত ৮ থেকে ১০ টি পাতা সেবন করেন তাহলে কৃত্রিম সমস্যা থেকে নিজেকে সুরক্ষা রাখতে পারবেন। এবং কি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে বিশেষ কার্যকারিতা রয়েছে নিম পাতায়। এছাড়াও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে নিম পাতা।
নিম পাতার এসব উপকারিতার পাশাপাশি এর ক্ষতিকর দিকগুলিও রয়েছে আপনারা যদি এলার্জি রোগী হয়ে থাকেন বা কিডনির কোন সমস্যা থেকে থাকে বা অন্য কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিমপাতা সেবন করবেন।
যেগুলো রোগী নিম পাতা সেবন করতে পারবেনা তার একটি তালিকা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
যে সকল রোগীর এলার্জিজনিত কোন সমস্যা রয়েছে সেগুলো ব্যক্তি সেবন করতে পারবে না।
যে সকল ব্যক্তির লিভারের বা কিডনির কোন সমস্যা রয়েছে সে সকল ব্যক্তি নিমপাতা সেবন করতে পারবেনা।
এছাড়াও কিডনি বা অন্যান্য রোগ থেকে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিম পাতা সেবন করবেন, যাতে করে সেবনের ফলে কোন সমস্যা বা সাইডেফেক্ট না হয়। যাতে কোন সমস্যায় না পড়েন এজন্য এগুলো রোগী নিম পাতা সেবন করার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন।
নিম পাতার বৈশিষ্ট্য
নিম এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারকারী উপাদান যা ভারত উপমহাদেশে 4000 হাজার বছর থেকে প্রায় 5000 হাজার বছর পূর্বে থেকে যার ব্যবহার হয়ে আছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে ওষুধ হিসেবে নিম পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে।
আপনারা জানেন যে, নিম গাছে প্রচুর পরিমাণ পাতা হয়ে থাকে। এই গাজটির উচ্চতা প্রায় ৮০ থেকে ৯০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই গাছটি অধিক পরিমাণে দেখা যায় দক্ষিণ ইরানি দ্বীপে এবং এই গাছের পাতা পুরোপুরি সবুজ হয়ে গেলে একটি দেখতে অতি সুন্দর ময় এবং আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
উন্নত মানের চিকিৎসকের মধ্যে প্রায় ৯০% অধিবাসী চিরাচরিত চিকিৎসা গ্রহণ করেন। যা বেশিরভাগই নিম পাতা থেকে এগুলো রোগের প্রতিকার হিসেবে নিমপাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী ত্বকের দাগ মুক্ত করে সুন্দর স্কিন দিতে পারে নিমপাতা ব্যবহারে ফলে।
এবং এছাড়াও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের বিশেষ ভূমিকা পালন করে নিমপাতা তাই আপনারা সাধারণত পেটের কোন সমস্যা বা কৃত্রিমের কোন সমস্যা হলে আপনারা নিম পাতার রস সেবন করতে পারেন এতে আপনাদের কৃত্রিম বা পেটের অন্যান্য রোগ জীবাণু থেকে মুক্তি পাবেন।
নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি
আপনারা চুলকানি সম্পর্কে প্রায় সবাই পরিচিত চুলকানি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কারো নোংরা পানি বা অপরিষ্কার পানিতে নামার ফলে হয়ে থাকে। কারো কারো জঙ্গল বা অন্যান্য স্থান থেকে হয়ে থাকে। কোন ব্যক্তির এক ধরনের চুলকানি ধরণ হয়ে থাকে কারো হাত-পা, কারণ মুখ কান চোখ, ইত্যাদি ইত্যাদি জায়গায় চুলকানি হয়ে থাকে।
তাই এই চুলকানির হাত থেকে নিজেকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখবে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে তাই চুলকানির হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যে কয়েকটি নির্দেশনা রয়েছে তা মেনে চললেই আপনারা চুলকানির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে।
চুলকানি থেকে রক্ষা করার জন্য কয়েকটি টিপস নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
নিমপাতা খাওয়ার নিয়মঃ এক থেকে দুই কেজি নিমপাতা গাছ কাছে পেড়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপরে নিম পাতা শুকিয়ে যাওয়ার পরে, নিম পাতা ব্লেন্ডার বা পাটাই গুঁড়ো করে নিন, এবং পরিষ্কার একটি কাঁচের পাত্রে ভালোভাবে প্যাকেটজাত করে রাখুন। এবং প্রতিদিন একবার করে এক চামচ এক কাপ পানির মধ্যে এক চামচ
নিম পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে রেখে দিন 20 থেকে 30 মিনিট, রাখার পরে খেয়ে নিন। অবশ্যই ভরা পেটে এ মিশ্রণটি সেবন করুন! দেখবেন আপনার চুলকানি জনিত সমস্যা থেকে নিজেকে সুরক্ষা রাখতে পারবেন। কমপক্ষে এই মিশ্রণটি একমাস সেবন করলে আশা করা যায় আপনার চুলকানি জাতীয় সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
এবং তারপর থেকে আপনে এলার্জি জাতীয় সকল খাবারই খেতে পারবেন, যেমন গরুর মাংস, কচু, পুঁইশাক, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া এবং কি এলার্জি জাতীয় সকল খাবারই। আপনি খেতে পারবেন কিন্তু অবশ্যই এসব এলার্জি জাতীয় খাবার অনেক কম খাবার চেষ্টা করবেন অতিরিক্ত মাত্রায় খাবেন না। জানেন তো অতিরিক্ত মাত্রায় কোন কিছু সেবন করাই উচিত নয়।
নিম পাতার ব্যবহার নিম পাতার ক্ষতিকর দিক
আপনারা জানেন নিম পাতার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে, কিন্তু এটা জানেন কি নিম পাতার ক্ষতিকর দিকগুলো রয়েছে তাহলে জেনে নিন নিম পাতার ক্ষতিকর দিকগুলি।
- যে সকল ব্যক্তির কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিমপাতা সেবন করবেন।
- চিকিৎসকের মতে গর্ভবতী মহিলা বা বিবাহিত ছেলে মেয়ে উভয় নিম পাতা সেবন করার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, বাচ্চা না হওয়ার ক্ষেত্রে।
- এবং কি আপনার ত্বকের যদি কোন এলার্জি কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিম পাতা সেবন বা ব্যবহার করবেন আপনার স্কিনে।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বাড়তি রোগ ব্যাধি হয়ে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিম পাতার উপাদানটি সেবন করবেন। যাতে করে কোন প্রকার বিপদের সম্মুখীন না হন।
চুলকানির নিম পাতার ব্যবহার
আপনারা জানেন যে নিম পাতার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। নিম পাতার ঔষধি গুনাগুন রয়েছে এটা প্রাচীনকাল থেকেই তারা মেনে চলে আসছে, এবং কি যাদের চুলকানির সমস্যা হতো তারা এই নিম পাতাটি ব্যবহার করত।
যে সকল ব্যক্তির চোখে চুলকানি হতো সে সকল ব্যক্তি নিম পাতার পানি গরম করে ঠান্ডা করে নিয়ে চোখে সাট দিলে চোখের চুলকানির সমস্যা দূর হয়ে যেত।
এবং যে সকল ব্যক্তির চুলকানি জনিত সমস্যা হতো তারা নিম পাতা পেরে রোদে শুকিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুবার করে এক কাপ পানিতে ১ থেকে ২ চামচ পানির ভেতরে নিম গাছের পাতা ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখত, এবং খেয়ে ফেলতো এভাবে দীর্ঘ এক মাস সেবন করলে চুলকানি জনিত সকল সমস্যা দূর হয়ে যেত।
তাই আপনাদের মধ্যে যে সকল ব্যক্তির চুলকানি জনিত সমস্যা রয়েছে সে সকল ব্যক্তি চাইলে এই পদ্ধতিতে আপনারা আপনাদের ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলকানির সমস্যা থেকে নিজেকে সুরক্ষা রাখতে পারেন।
নিম পাতার বিজ্ঞানসম্মত নাম
AzadiracHta indica বাংলা উচ্চারণ হলঃ আজাদিরচত ইন্ডিকা। এটা হল নিম গাছের বৈজ্ঞানিক সম্মত নাম।
এই নিম পাতার বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে ২০-৩০ টি রোগ প্রতিরোধের বিশেষ একটি ঔষধি কাজ যার বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। নিমপাতা ব্যবহার করে চুলকানি জনিত সকল সমস্যা সমাধান করে নিম পাতা যা আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট একটি উপাদান নিমপাতা।
লেখকের মন্তব্য
উপরের যেগুলো টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এগুলো টপিক যদি আপনারা মেনে চলতে পারেন তাহলে আশা করি, আপনারা চুলকানি জনিত সকল সমস্যা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন বলে আশা করি। তাই আপনারা উপরের টপিক গুলো মেনে চললে অবশ্যই উপকৃত হবেন।
আমার এই আর্টিকেলটি পরে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌঁছে দিবেন ধন্যবাদ।
ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url