হানি নাট বানানোর নিয়ম ও মধুময় বাদাম তৈরির উপাদান।
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই জানেন যে, হানি নাট অনেক সুস্বাদু
একটি খাবার এবং অনেক পুষ্টি গুণে গুণান্বিত তাই আপনারা হানি নাট সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আপনারা যদি হানি নাটের উপকারিতা সম্পর্কে বা এর খাওয়ার নিয়ম নীতি কি এ সমস্ত
বিষয় জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটির সমস্ত টিপস মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা
হানি নাট এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই আপনারা হানি নাট সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ .
ভূমিকা
আপনারা যদি হানি নাট সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে থাকেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে অবশ্যই হানি নাট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পারবেন যেমন. হানি নাট খাওয়ার নিয়ম বা কিভাবে সেবন করলে আপনার শরীরের জন্য
ভালো
আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা
এ সম্পূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আপনারা যদি হানি নাট
সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এই পোষ্টের সমস্ত স্টেপ মনোযোগ সহকারে পড়ুন, তাহলে
অবশ্যই হানি নাট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
হানি নাট খাওয়ার নিয়ম
হানি নাট সম্পর্কে বলতে সর্বপ্রথম আপনাদেরকে এটাই বলতে চাই যে, কোন জিনিসই
অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করা উচিত নয় এতে হিতে বিপরীত হয়ে থাকে। তাই একটা নিয়ম
মেনে খাওয়াই উচিত। হানি নাট সাধারণত পুষ্টিকর বীজ দিয়ে তৈরি হয়। যা আমাদের
শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী উপাদান।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই খাবারে অনেক ধরনের পুষ্টিকর দিক রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদদের মতে হানি নাট এই উপাদানটি
খালি পেটে সেবন করার জন্য বলেছেন। যাতে করে এই উপাদানটি আপনার শরীরে কার্যকারিতা
হতে পারে। এজন্য চেষ্টা করবেন এই হানি নাট এই উপাদানটি খালি পেটে সেবন করার
জন্য।
আপনি যদি প্রতিনিয়ত সকালে খালি পেটে এক চা চামচ হানি নাট সেবন করেন তাহলে আশা
করা যায় ১৫ দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপনার কার্যকারিতা অনুভব করতে পারবেন। আপনি
চাইলে হানি নট খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর সেবন করতে পারেন। চেষ্টা করবেন একই
নিয়মে এই উপাদানটি সেবন করা একই সময় সেবন করলে এই উপাদান বেশ কার্যকারিতা হবে
আপনার শরীরের জন্য।
এই উপাদানটি খাবার পর আপনার পেটের একটু সমস্যা হতে পারে তবে ভয় পাওয়ার কোন
বিষয় নয়! প্রথমবার এই উপাদানটি সেবন করলে এমনটি হতে পারে কারণ এটি বিভিন্ন
পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি যা আমাদের হজম শক্তি একটু সমস্যা হতে পারে তবে আপনের
এই সমস্যা হলে খাওয়া বন্ধ করে আবার কিছুদিন পর থেকে সেবন করতে পারেন।
হানি নাট খাওয়ার সময়
আপনারা অনেকেই হানি নাট খান কিন্তু! কিভাবে হানি নাট খেতে হয় বা এর নিয়ম কি এ
সম্পর্কে আপনার কিছুই জানেন না। তাহলে চলুন জানা যাক হানি নাট খাওয়ার নিয়ম নীতি
সম্পর্কে। আপনারা অনেকেই জানেন যে, হানি নাট অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার যা
আমাদের জন্য খুবই উপকারী একটি ফুট বা খাবার।
এই উপাদানটি আমরা যদি নিয়ম না মেনে খায় তাহলে আমাদের শরীরের কোন কাজে আসবে না।
তাই আজকে আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে হানি নাট সেবন করতে হয়। আপনি প্রতিদিন সকালে
এক চা চামচ হানি নাট নিয়ম মেনে ১৫ দিন থেকে ৩০ দিন সেবন করুন তাহলে এর উপকারিতা
বুঝতে পারবেন। এবং কি আপনি যদি খাওয়ার পরে খেতে চান?
তাহলে খাবার ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর এক চা চামচ হানি নাট সেবন করতে পারেন। প্রথম
অবস্থায় আপনার পেটের একটু সমস্যা হতে পারে! কেননা এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর
উপাদান রয়েছে যা আপনার হজম শক্তিতে একটু সমস্যা হতে পারে।
তবে কিছুদিন হানি নাট খাওয়া বন্ধ রেখে পরে আবার সেবন করতে পারেন একই নিয়মে, আশা
করি বুঝতে পেরেছেন হানি নাট খাওয়ার নিয়ম নীতি সম্পর্কে।
হানি নাট বানানোর নিয়ম ও মধুময় বাদাম তৈরির উপাদান
আপনারা অনেকেই হানি নাট বানাতে চান কিন্তু কি উপাদান দিয়ে হানি নাট তৈরি করতে
হয় এ সম্পর্কে আপনার কিছুই তেমন জানেন না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে জন্য হানি নাট
বানানোর বেসিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানাবো তাহলে চলুন হানি নাট বানা নোর পদ্ধতি
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
যেগুলো উপাদান দ্বারা হানি নাট তৈরি করা হয়? তার তালিকা নিম্নে তুলে ধরা
হলোঃ
- তিন ফল
- কাঠ বাদাম
- কাজু বাদাম
- আখরোট
- খুরমা খেজুর
- আজুয়া খেজুর
- ম্যাংগো
- এপ্রিকট
- রেড পাম্প
- ব্ল্যাক সাকুরা
- চিনা বাদাম
- সাদা কিসমিস
- কালো কিসমিস
- সূর্যমুখী ফুলের বিচি
- মিষ্টি আলোবোখারা
- কালোজিরার দানা
- সাদা তিল
- চেরি ফল
- এবং মধু
আপনারা উপরের যেগুলো উপাদান নিবেন এবং ওইগুলো উপাদান যাতে মধুর ভিতরে পুরোপুরি
ভিজে যায় এমন করে আপনারা উপাদানগুলোকে ভিজিয়ে ফেলবেন। উপরের যেগুলো উপাদানর কথা
বললাম ওইগুলো উপাদান আপনারা ৫০ গ্রাম থেকে ১০০ গ্রাম
আরো পড়ুনঃ রবি সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার কোড
সবগুলো উপাদান নিবেন নিয়ে এক জায়গায় মিক্স করে তার ভিতরে খাঁটি মধু দিয়ে
দিবেন যাতে করে ওগুলো উপাদান পুরোপুরি মধুর মধ্যে ডুবে যায় এইভাবে আপনারা ঘরোয়া
পদ্ধতিতে বা নিজেই তৈরি করতে পারবেন হানি নাট।
হানি নাট এর দাম
মধু এবং বাদাম এ দুটি মিশ্রণ পুষ্টিবিদের মতে প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে, মধু ময়
বাদাম খাওয়া নিয়ে অনেকের মনে ভুল ধারণা রয়েছে যা একেবারে ভিত্তিহীন কথা
পুষ্টিবিদের মতে। বাদামে থাকে ক্যালসিয়াম ভিটামিন এ এবং অন্যান্য ভিটামিন যুক্ত
যে কারণে এ উপাদানটি সেবনের ফলে কোন প্রকার ক্ষতি হবে এ কথা বলাটাই একদম
ভিত্তিহীন কথা।
আরো পড়ুনঃ এলোভেরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তাই আপনাদের আজকে হানি নাট এর দাম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানাবো তাই সম্পূর্ণ
পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, তাহলে হানি নাট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
২৮ টি উপাদান দ্বারা ৫০০ গ্রাম ড্রাই এবং ৫০০ গ্রাম মধু মিশ্রণ টোটাল এক কেজির
একটি প্যাকেজ তৈরি করে আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ প্যাকেজটির মূল্যঃ ৯৭০
টাকা।
যে সকল ব্যক্তি হানি নাট সংগ্রহ করতে চান। তারা নিম্নের এই নম্বরটি দিয়ে যোগাযোগ
করে হানি নাট সংগ্রহ করতে পারেন।
মোবাইল নম্বরঃ ০১৮ ৮৬ ৬৪ ০০ ৯৯
হানি নাটস এর অপকারিতা
হানি নাট এমন একটি উপাদান যা সেবন করার ফলে আপনার এনার্জি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করতে বিশেষ কার্যকারী তাহলে জেনে নেওয়া যাক হানি নাট এর উপকারিতা
সম্পর্কে বা এর উপকারিতা কি সমস্ত বিষয় নিম্ন তুলে ধরা হলো।
পেস্তা বাদামঃ পেস্তা বাদাম এর উপকারিতা হার ডেভোলপমেন্ট বা শক্ত
মজবুত রাখার জন্য পেস্তা বাদাম বিশেষ কার্যকারী।
কাঠ বাদামঃ বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের কাঠ বাদাম বিশেষ উপকারী যেমন আয়রন
ও প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে বিশেষ কার্যকারী কাঠ বাদাম।
কাজু বাদামঃ শরীর সুস্থ রাখার জন্য কাজুবাদাম বেশ উপকারি একটি উপাদান।
আখরোটঃ আখরোট বিশেষ করে বাচ্চাদের বেন ডেভোলপমেন্ট করে সুন্দর মস্তিষ্ক
রাখে।
থাই বাদামঃ আপনার শরীর সুস্থতা রাখার জন্য বেশ কার্যকারী একটি পুষ্টিকর
উপাদান থাই বাদাম।
তিন ফলঃ যাতে রয়েছে ভিটামিন সি, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মানব শরীরের
রোগ প্রতিরোধ বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।
সূর্যমুখী বিজের সিটঃ যার উপকারিতা অনেক।
Pumping sheet: যার মধ্যে রয়েছে জিংক এবং রয়েছে ওমেগা থ্রি।
আলুবোখরাঃ যার মধ্যে অনেক উপকারিতা রয়েছে।
ব্লাক কিসমিসঃ যার উপকারিতা অনেক রয়েছে।
গোল্ডেন কিসমিসঃ আপনার তো জানেন যে কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে যার গণতমান
অনেক।
গ্রীন অ্যাফ্রিক্টঃ যার উপকারিতাও ব্যাপক রয়েছে।
সাদা তিলঃ সাদা তিল রয়েছে ক্যালসিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, যা বিশেষ
করে হৃদ রোগের থেকে মানব শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে
থাকে।
মধুঃ মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গুণ রয়েছে
যা মানব শরীরে সুস্থ এবং সুরক্ষা রাখতে পারে।
এ সকল উপাদান দ্বারা হানি নাট তৈরি করা হয়। তবে এর উপকারিতা ব্যাপক রয়েছে তবে
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন বিধির নিয়ম মেনে সেবন করতে হবে তাছাড়া আপনার
বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে প্রথম অবস্থায়।
কেননা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান দ্বারা হানি নাট তৈরি করা হয়। যা আপনি
প্রথম অবস্থায় সেবন করলে আপনার একটু পেটের সমস্যা হতে পারে এজন্য চিকিৎসকের
পরামর্শ অনুযায়ী হানিনাট সঠিক মাত্রায় সেবন করতে পারেন।
মিক্স নাট এর উপকারিতা
মিক্স হানি নাট খুবই সুস্বাস্থ্যকর একটি খাবার কিন্তু এটা কি পরিমাণ সেবন করলে
আমাদের জন্য উপকার সেটা আমরা অনেকেই জানিনা? তাই আমরা মিক্স নাট খাওয়ার নিয়ম ও
মিক্স নাট এর উপকারিতা কি তা বিস্তারিত জানবো বিস্তারিত জানতে নিচে মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।
বাদাম কিসমিস ড্রাইফুট খুরমা খেজুর ও অন্যান্য উপাদান দ্বারা হানি নাট তৈরি করা
হয়। বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের মতে এই মিশ্রণটি প্রতিদিন এক মোট সেবন করার কথা বলে।
এবং এই উপাদানটির মধ্যে অত্যন্ত ভিটামিন এ বি সমৃদ্ধ রয়েছে যা আমাদের শরীরের
জন্য প্রয়োজনীয় একটি ফুট বা খাবার। তবে ফ্যাট জাতীয় লোকেরা এই খাবারটি ওইরকম
ভাবে খেতে পারবে না।
আরো পড়ুনঃ আজওয়া খেজুরের উপকারিতা হাদিস
তাদের এই মিশ্রণটি অনেক কম পরিমাণ খেতে হবে তাও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কেননা
এ খাবার খেলে আপনার চব্রি বেড়ে যেতে পারে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী
আপনারা এই খাবারটি নিয়ম মেনে খাবেন। চব্রি জনিত লোকেরা নিয়ম মেনে ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে পারে। যে সকল ব্যক্তি অফিস আদালত বা কোন ব্যস্ততার
কারণে সব সময় বসে থেকেই কাজ করতে হয়।
সে সকল ব্যক্তির জন্য এই খাবারটি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় কেননা এই খাবারে যে পরিমাণ
ক্যালরি আছে সে পরিমাণ ক্যালরি ওই সকল ব্যক্তিরা খরচ করতে পারবে না। এই কারণে এই
খাবারটি উগুলো ব্যক্তি বসে শুয়ে খায় সে সকল ব্যক্তি এই খাবারটি খুব বেশি পরিমাণ
না খাওয়াই ভালো।
এই খাবারে সকল প্রকার ভিটামিন জিংক ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি সি
ভিটামিন এ সকল ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা একটি দুর্বল প্রকৃতির মানুষরা এই
খাবারটি নিয়মিত ১০ থেকে ১৫ টা বাদাম নিয়মিত সেবন করলে আশা করা যায় তারা সকল
প্রকার ভিটামিনের অভাব থেকে মুক্তি পাবে।
লেখক এর মন্তব্য
উপরের যেগুলো টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এগুলো ট্রপিক আপনারা যদি ফলো করে হানি
নাট নিয়ম মেনে নিয়মিত সেবন করতে পারেন। তাহলে আশা করি হানি নাট সেবন করার ফলে
আপনার সকল প্রকার ভিটামিনের অভাব থেকে নিজেকে সুরক্ষা রাখতে পারবেন।
আমার এই আর্টিকেলটি পরে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকে তাহলে
অবশ্যই বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌঁছে দিবেন ধন্যবাদ।
ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url