চোখ কি - চোখ কিভাবে কাজ করে - চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি কত?

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন পোস্ট রয়েছে ক্লিক করুনমানব শরীরে চোখ একটি বিশেষ একটি অংশ তাই চোখ কি চোখ কিভাবে কাজ করে চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি কত এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নিম্নের পয়েন্টগুলিতে আলোচনা করা হয়েছে। তাই চোখের দৃষ্টি সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে নিম্নে খুব ভালোভাবে পড়ুন। তাহলে আপনার চোখ সম্পর্কে সকল ধারণা পেয়ে যাবেন ধন্যবাদ।


চোখ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আপনি যদি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি নিচের পয়েন্ট গুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে অবশ্যই উপকৃত হবেন বলে মনে করি তাই সম্পূর্ণ স্টেপগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
.

ভূমিকা

চোখ সম্পর্কে নিচে কয়েকটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। চোখ কি ,চোখ কিভাবে কাজ করে, চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি কত, চোখের কালো অংশের নাম কি, মানুষের চোখে ভুল ধারণার লেন্স থাকে, চোখ উঠলে করণীয় কি, মানুষের চোখে দৃষ্টিসীমা কত কিলোমিটার, এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সকল বিষয়ে জানতে চাইলে নিচে খুব ভালোভাবে পড়ুন।

চোখ কিভাবে কাজ করে

আমরা যখন কোন বস্তু বা কোন কিছুর দিকে তাকাই, ঠিক তখন লেন্সের সাথে সংযুক্ত এক্সটা অকুলার পেশিগুলো প্রসারিত ও সংকুচিত হয়ে লেন্সের আকার আকৃতি পরিবর্তন করে। এর ফলে চোখ নড়াচড়া করলেও একই পয়েন্টে স্থির হয়ে থাকে। যার ফলে বস্তুটির অবস্থান কোন ক্রমেই পরিবর্তন ঘটায় না।

এই কাজটি আমাদের নার্ভাস সিস্টেমে নিয়ন্ত্রণ হয়। তাই চোখ কি চোখ কিভাবে কাজ করে চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি কত সম্পন্ন বিষয় নিম্ন বিস্তারিত হয়ে আলোচনা করা হল। তাই নিম্নে আরো পড়ুন।

চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি কত

আপনারা জানলে অবাক হবেন যে, মানুষের চোখে আছে ৫৭৬ মেগা পিক্সেলের হার্ড ক্যামেরার মত ক্ষমতা।এমন শক্তিশালী প্রাকৃতিক ক্যামেরার মত চোখ দিয়ে মানুষ প্রায় এক কোটিরও বেশি বিভিন্ন ধরনের রং দেখতে পায়।


আমাদের চোখের পাওয়ার প্লাস 0.25 স্বাভাবিক বলা যায়। আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে এই পাওয়ারের পরে যদি আপনার আরো বেশি হয়ে যায়, তাহলে আপনাকে অবশ্যই চশমা ব্যবহার করতে হবে।তাছাড়া আপনার অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে? যেমন মাথাব্যথা, বা অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।সাধারণত এই ধরনের পাওয়ারের চশমা দিয়ে থাকে।

চোখের কালো অংশের নাম কি




পিউপিল গোলাকারের অংশ যা চোখের মাঝখানে অবস্থান করে, যা চোখের ভেতর আলো যাওয়া পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।

চোখের সিলিয়ারি বডির সাথে পিউ পিলের পেছনে অবস্থিত সাসপেনসিরি লিগামেন্ট যুক্ত হয়ে ঝুলে থাকা বস্তু স্বচ্ছ স্থিতিস্থাপক বলের মতো অংশকে লেন্স বলে

মানুষের চোখে কোন ধরনের লেন্স থাকে

লেন্স একপ্রকার চাকতি বা ডালের মত। মানুষের চোখে প্রাকৃতিক লেন্সের দিব উত্তল। দিব উত্তল বলতে সাধারণত বোঝায় অবতল লেন্স বা উত্তল লেন্স। এই দুটো মিশ্রণ প্রাকৃতিক বলা যেতে পারে,উত্তল লেন্স। যে, লেন্সের মাঝখানে মোটা ও প্রান্তর ভাগ সরু বা চিকন তাকে উত্তোল লেন্স বল

ও অবতল লেন্স যে, লেন্সের মাঝখানে চিকন বা সরু এর চতুর প্রান্তভাগ কিছু হালকা ক্রমশ মোটা সেটাই অবতল লেন্স। এবং দ্বি উত্তল লেন্সের আকার আকৃতি একটি মাঝখানের মধ্যম ভাগ উত্তল লেন্স থাকে অনেকটা কম মোটা প্রাকৃতিক অবতল লেন্সের মতো মাঝখানের কিছুটা সরু বা চিকন হয়ে থাকে।

চোখ উঠলে করণীয় কি

আমরা জানি গ্রীষ্মকালে এবং বর্ষাকালে, প্রায় লোকজনের চোখ উঠতে দেখা যায়। ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় বলা হয়, কনজাংটিভাইটিস বা চোখের ময়লা বা আবর্জন।কনজাংটিভাইটিস সমস্যাটি চোখ উঠা নামেই সকলের কাছে পরিচিত। আমরা জানি রোগটি ছোঁয়াছা জনিত, যা মানুষের ছোঁয়ায, বা স্পর্শ, দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

কনজাংটিভাইটিসের কিছু লক্ষণ উল্লেখ করা হলো যেমনঃ
  • চোখের নিচের অংশ ফুলে যাওয়া।
  • চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
  • চোখ ব্যথা করা।
  • এবং চোখ খচ খচ করা। এবং,
  • চোখ দিয়ে পানি ঝরার মত সমস্যা হতে পারে।

আমরা জানি চোখ উঠলে প্রথমে এক চোখ আক্রমণ করে। তারপর অন্য চোখে আস্তে, আস্তে ছড়িয়ে পরে। এ রোগী চোখের অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। চোখ ফুলে যাওয়া চোখ দিয়ে পানি ঝরা চোখ লাল হয়ে যাওয়া চোখ জ্বালা পুড়া এবং চুল কানির মত সমস্যা হয় চোখের অস্থির অনুভূতি সৃষ্টি হয়।


ভাইরাস কনজাংটিভাইটিসের আক্রমণকারীর ব্যক্তির সংস্পর্শে ছোয়াই বা রোগীর কোন কিছু ব্যবহারের ফলে। অক্রমণকারী ব্যক্তিরআক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আক্রমণকারী ব্যক্তির কাছাকাছি থাকা মানুষের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

চোখ উঠলে আমাদের যা করণীয়ঃ
  • নিয়মিত ভাবে সাবান এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত মুখ ধুতে হবে।
  • টিস্যু দিয়ে হাত চোখ মুখ ভালোভাবে মুছে নিতে হবে।ব্যবহার করার পরে টি-শুটি ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে। নইলে টিস্যু থেকে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  • অবশ্যই চোখে চশমা ব্যবহার করতে হবে যাতে অন্য কারো চোখে রোগ পার না হয়ে যায়। এবং আপনার চোখে ধুলা, বালি, আলো,থেকে রক্ষা হবে।
  • এবং ভালো অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ঔষধ সেবন করতে হবে।
  • আপনার ব্যবহার করা পোশাক অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। এবং অন্য কারো ব্যবহার করা পোশাক রোগীকে ব্যবহার করানো যাবে না।
  • রুগীর চোখ অবশ্যই ঘুষা ঘষি চুলকানো যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য কারো ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না।নইলে কনজাংটিভাইটিস নতুন করে আবার হতে পারে।
  • প্রয়োজনের রোগীর উপর ডিপেন্ড করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মানুষের চোখের দৃষ্টিসীমা কত কিলোমিটার

একজন সুস্থ সবল স্বাভাবিক মানুষ সর্বনিম্ন ২৫ সেন্টিমিটার কোন বস্তু স্পষ্ট দেখতে পায়।
এর কাছাকাছি অবস্থানে বস্তুটিকে যদি আনা হয়। যেমন: 5 থেকে 10 সেন্টিমিটার তাহলে বস্তুটি অস্পষ্ট বা ঘোলাটিয়া দেখাই।একজন সুস্থ সভোল স্বাভাবিক মানুষ অসীম দূরত্ব পর্যন্ত স্পষ্টভাব দেখতে পায়।

তবে যদি কারো চোখে সমস্যা হয়ে থাকে, তবে মানুষটি দূরের কিছু স্পষ্ট ভাবে দেখতে না পারলেও,২৫ সেন্টিমিটার এর কাছের বস্তুটিকে সঠিকভাবেই দেখতে পায়। আমরা তখন তার চোখে ত্রুটি আছে বলে ধরে নিতে পারি। যেমনঃ মোবাইলফোন, টেলিভিশ, এবং হাতের লেখা সঠিক ভাবে ধরতে না পারা, এগুলো পড়তে বা দেখতে সমস্যা হয়।


আপনারা ধরে নিতে পারেন যে, যারা দূরের বস্তু এবং কাছের বস্তু উভয় দেখতে সমস্যা হয় এবং তুলনামূলক দূরের বস্তু খুব ভালোভাবে দেখতে পায়। সে ক্ষেত্রে বোঝা যাবে চোখের ত্রুটি রয়েছে বলে ধরে নিতে পারেন। 

লেখক এর মন্তব্য

আশা করি উপরের টপিক গুলো করে আপনারা চোখের সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাই আপনাদের কি কথাই বলব ওপরে টপিক গুলো মেনে চললে অবশ্যই উপকৃত হব বলে মনে করি।

আমার এই আর্টিকেলটি পরে আপনারা যদি কিছুটা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌছে দিবেন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
\