লেবুর খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন - লেবুর খোসা দিয়ে রূপচর্চা।

প্রিয় পাঠক লেবু পছন্দ করেনা এমন লোক খুবই কমই রয়েছে। ভাতের সঙ্গে লেবু খাওয়াসহ বিভিন্ন কাজে লেবু ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই আপনাদেরকে লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানাতে চলেছি। লেবু খাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সমস্ত আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

লেবুর খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

পোষ্ট সূচিপত্র:লেবু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি বিশেষ প্রয়োজনীয় একটি ফল। খাওয়া থেকে শুরু করে রূপচর্চায় ব্যবহার এছাড়া অন্যান্য প্রায় সকল জায়গায় লেবু ব্যবহার করা হয়।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক তাহলে চলুন আর দেরি না করে লেবুর ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক! রূপচর্চায় লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা, লেবুর খোসার ব্যবহার উপকারিতা অপকারিতা, লেবুর খোসা খাবার উপকারিতা অপকারিতা, লেবুর খোসা খেলে ওজন বারে না কমে এর উপকারিতা ও অপকারিতা, এ সকল বিষয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

লেবুর খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

উপকারিতাঃ
  • লেবুতে ভিটামিন সি রয়েছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আপনি যদি লবণ এবং লেবুর রস মিশিয়ে এক গ্লাস লেবুর শরবত পান করেন তাহলে আপনার পেট একদম ঠান্ডা হয়ে যাবে।
  • আপনার মাথা ঘোরা বা মাথায় যন্ত্রণা হলে মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য লেবুর রস এবং সরিষার তেল মাথার চাঁদিতে লাগালে আপনার মাথা ঠান্ডা হয়ে যাবে। এবং মাথায় লাগা ভালো হয়ে যাবে।
  • আপনি লেবুর রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে গরম করে খেলে আপনার ঘুষ ঘুষানি সর্দি কাশি ভালো হয়ে যাবে।
  • আপনার স্কিনে কোন প্রকার দাগ কিংবা ব্রণ থাকলে লেবুর রস নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার দাগ বা ব্রণ ভালো হয়ে যাবে।
  • লেবুর রস বুক জ্বালা পোড়া এবং আলসার জনিত রোগ কেউ দমন করে।
অপকারিতাঃ
  • আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে আপনি লেবু খুব কম মাত্রা সেবন করবেন কারণ লেবুতে এসিডের পরিমাণ খুব বেশি হয়েছে।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় লেবু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন? কেননা অতিরিক্ত মাত্রায় লেবু সেবন করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে লেবুর শরবত অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া বন্ধ করুন।
  • আপনার শরীরের ওজন কমাতে পারে আপনি যদি নিয়মিত লেবুর শরবত সেবন করেন কিন্তু আপনার মারাত্মক সমস্যা হতে পারে? অতিরিক্ত মাত্রায় লেবুর শরবত খেলে কার্বোহাইড্রেট ও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে।

লেবুর খোসার উপকারিতা

আপনারা যে লেবুর খোসা ফেলে দেন সে লেবুর খোসাতে এত পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে যা আপনারা জানলে অবাক হয়ে যাবেন! আপনি যদি সামান্য পরিমাণ লেবুর খোসা খান তাহলে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা পাবেন। কারণ লেবুর খোসাতে রয়েছে ১২ গ্রাম লেবুর খোসাতে রয়েছে ৬ ক্যালোরি শক্তি, ২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট,


২ গ্রাম ফাইবার এবং ১৮ শতাংশ পর্যন্ত ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ কিছু পরিমাণ ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি ধরনের উপাদান রয়েছে। তাহলে চলুন লেবুর খোসা খাবার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

লেবুর খোসা মুখের ভেতর কার জীবাণু প্রতিরোধ করেঃ আমাদের মুখের ভিতরে যেগুলো ব্যাকটেরিয়া রয়েছে সেগুলো কে দমন করে এবং দাঁতের গোড়ার ভেতরে যেগুলো জীবাণু রয়েছে সেগুলো কে দমন করে লেবুর খোসা।

লেবুর খোসা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ লেবুর রসে ভিটামিন সি এবং কি লেবুর খসাতেও রয়েছে ভিটামিন সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। যে সকল ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি রয়েছে সে সকল ব্যক্তি রোগ আক্রমণ না হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

লেবুর খোসা আলসার এবং ক্যান্সার দমন করেঃ যে সকল ব্যক্তি নিয়মিত লেবুর খোসা সেবন করবে সে সকল ব্যক্তির আলসার এবং ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশে কমে যাবে এবং এ রোগকে প্রতিরোধ করতে লেবুর খোসা বিশেষ কার্যকারী একটি ফলের খোসা।

লেবুর খোসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধঃ আমাদের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষ একটি উপকারী উপাদান। আমাদের শরীরের ক্ষতিকর জীবাণু প্রবেশ করতে দেয় না। লেবুর খোসা। প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।

লেবুর খোসা হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়ঃ লেবুর খোসায় ভিটামিন সি রয়েছে এবং প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এবং লেবুর খোসা সেবনের ফলে উচ্চ রক্তচাপ এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে যা হার্টের রোগ কমাতে বিশেষ কার্যকারিতা রয়েছে লেবুর খোসাতে।

লেবুর খোসা খেলে কি হয়

লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অনেকে লেবু খেতে পছন্দ করে কিন্তু লেবুতে কি পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে বা এর উপকারিতা কি এ সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না!

তাই আজকে লেবুর খোসা খাওয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এবং এর উপকারিতা কি তা বর্ণনা করার চেষ্টা করব লেবুর খোসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে নীচে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
  • লেবুর খোসায় ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা সাইট্রিক এসিড থাকে, যার ফলে দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া মুখে জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া দমন করতে বিশেষ কার্যকারিতা রয়েছে, যা বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।
  • লেবুর খোসায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট ও সাইট্রাস বায়ো ফ্রেভোনয়েড রয়েছে যা স্ট্রেস কমাতে এবং রোগ জীবাণু কমাতে সাহায্য করে থাকে।
  • লেবুর খোসা সুন্দর স্কিন দিতে সাহায্য করে লেবুর খোসাতে রয়েছে বিশেষ একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা স্কিনের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
  • লেবুর খোসায় আরেকটি পয়াক্টিন রয়েছে যা এটি মানুষের শরীরে ফয়াট বিশ্লেষণ করে।
  • একটি মানুষ প্রতিনিয়ত লেবুর খোসা যদি খেয়ে থাকে তবে তার শরীরে সাইট্রিক এসিডের মাত্রা অনেক বৃদ্ধি পায় ফলে তার কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশে কমে যায়।

লেবুর খোসা খেলে কি ওজন কমে

লেবু একটি পরিচিত একটি খাবার বা ফল তবে অনেকেই আবার আমরা জানি না লেবুর খোসাতে কি পরিমাণ ভিটামিন বা উপকারিতা রয়েছে তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক লেবুর খোসা নিয়মিত সেবন করলে কি উপকারিতা পাওয়া যায়।
  • লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
  • লেবুর খোসা ক্যান্সার এবং আলসারের প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • লেবুর খোসায় প্র্যাকটিন উপাদান প্রচুর পরিমাণ পাওয়া যায় কোন ব্যক্তি নিয়মিত লেবুর খোসা সেবন করলে ওজন কমাতে পারে। লেবুর খোসা থেকে পাওয়া এই উপাদানটি শরীরের অতিরিক্ত মাত্রার চাব্রিকে কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • লেবুর খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার স্কিনে জমে থাকা টক্সিক জীবাণুকে বের করে ফেলে। স্বাভাবিক অবস্থায় থেকে স্কিনকে আরো অনেক সুন্দর্য বা উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

লেবুর খোসার ব্যবহার

লেবুর খোসা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে? আপনি যদি স্কিনে লেবুর ব্যবহার করতে চান? তবে নিচে দেওয়া টিপসগুলো ফলো করে লেবুর খোসা ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

৫০ গ্রাম লেবুর খোসা পেস্ট করে নিন। এবং তার সঙ্গে ৫০ গ্রাম চিনি দিয়ে মিশ্রণটি ভালোভাবে মিক্স করে নিন। এরপরে পরিমাণ মতো কয়েক ফোটা অলিভ অয়েল তেল মিশিয়ে নিন। এরপরে আপনার স্ক্রিনে আলতোভাবে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট থেকে ২০ মিনিট পর মুখে লাগানো উপাদানটি ধুয়ে ফেলুন পরিষ্কার পানি দ্বারা।

এবং সফট বা নরম কাপড় দ্বারা আপনার স্কিন মুছে নিন। এই উপাদানটি ব্যবহার করার ফলে আপনার স্কিনে আরো উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। এবং আপনার স্কিনের ভেতরে থাকা মৃত কোষগুলো আবার জাগ্রত হবে এবং স্কিন আরো সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। আপনার শুষ্ক কনুই এবং শুষ্ক পায়ে এই উপাদানটি ব্যবহার করলে আপনার স্কিন চকচকে এবং উজ্জ্বলতা দেখা দিবে।

লেবুর খোসা দিয়ে রূপচর্চা

আপনি লেবুর খোসা গুঁড়ো করে অন্য কোন উপাদানের সঙ্গে মিক্স করে আপনার স্কিনে লাগাতে পারেন। এ উপাদানটি মুখে লাগালে মুখ ভিটামিন সি সংগ্রহ করতে পারবে এবং আপনার স্কিনের সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। এই উপাদানটি ব্যবহার করলে ফাইবার সহ বিভিন্ন ধরনের উপাদান পাবেন আপনার স্কিনে।

যার ফলে আপনার স্কিনের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। আপনি চাইলে আপনার স্কিনে লেবুর খোসা ফেসওয়াস হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন কারণ লেবু মুখের ময়লা আবর্জনা দূর করতে বিশেষ কার্যকারিতা রাখে। আপনি চাইলে লেবুর রস আপনার স্কিনের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।

একটা লেবুর রস চিপে নিয়ে ১ থেকে ২ চামচ চিনি মিশিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে আপনার স্কিনে প্রতি দিন গোসলের ৩০ মিনিট আগে যদি এই উপাদানটি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার স্কিনের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

লেখকের মন্তব্য

উপরের টপিক গুলো আপনারা সঠিকভাবে মেনে চললে আশা করি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং রূপচর্চায় আপনাদের লেবুর খোসা বিশেষ কার্যকর হবে তাই আপনারা উপরে টপিকগুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন ধন্যবাদ।

আমার এই আর্টিকেলটি পরে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌছে দিবেন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
\