পাকা তেঁতুলের উপকারিতা - তেতুলের বিসির উপকারিতা ও অপকারিতা।

প্রিয় পাঠক, আপনারা জানেন কি তেতুলের উপকারিতা সম্পর্কে? জানি অনেকেই জানেন না তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক তেতুল খেলে কি কি ধরনের রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায় তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক তেতুলের উপকারিতা সম্পর্কে।

পাকা তেঁতুলের উপকারিতা - তেতুলের বিসির উপকারিতা ও অপকারিতা

তেতুলের উপকারিতা অনেক রয়েছে যেমন হার্ড ও লিভারকে সতেজ রাখতে তেতুলের উপকারিতা অনেক তাই আজকে আপনারা তেঁতুলের উপকারিতা ও অপকারিতা দিক সম্পর্কে জানতে এই পুরো আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ.

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক, তেতুলের উপকারিতা জানলে আপনারা অনেকেই অবাক হয়ে যাবেন! কেননা তেতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে হার্ড ও লিভার কে সতেজ রাখতে সাহায্য করে থাকে।
তাই চলুন আর দেরি না করে তেতুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ও তেতুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন যে, তেতুলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পাকা তেতুলের উপকারিতা 

প্রিয় পাঠক, আমাদের শরীরে জমে থাকা ফ্রি রেডিকেল ধ্বংস করতে পারে একমাত্র অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তা রয়েছে তেঁতুলে। ফ্রি রেডিকেল কে ধ্বংস করে একমাত্র অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা সুস্থ রাখে আমাদের হার্ট ও লিভারকে। তাহলে আপনে কি এই কথা শুনে অবাক হয়ে যাতছেন যে তেতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়
সে ফলের মধ্যে এত উপকারী রয়েছে বলবো হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন তেতুলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয় এ ধারণাটা একদমই ভুল! কেননা তেতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি এবং ভেষজ গুণ রয়েছে তাই আপনারা নিঃসংকচে তেঁতুল খেতে পারেন।

তেতুল আমাদের বসন্তকালের ফল হলেও এ ফলটি সারা বছর পাওয়া যায় তেতুল খেলে হার্টের সমস্যা দূর হয় তাই তেঁতুলকে হার্টের টনিক বলা হয়ে থাকে। তেতুলে রয়েছে, ভিটামিন, আস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ও বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদান রয়েছে যা আমাদের হার্ট ও লিভার কে ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে।

এবং কি শরীর জ্বালাপোড়া কমাতেও তেঁতুলের গুনাগুন অনেক রয়েছে। তাই আপনার শরীর জ্বালাপোড়া করলে তেতুলের শরবত পান করলে আপনার শরীরের জ্বালা পোড়া অনেক কমে যাবে। এছাড়াও তেঁতুল রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে শরীরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে এবং কি গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

তেতুল খেলে আপনার কোন রকম ক্ষতির সম্ভাবনা নেই কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় তেঁতুল সেবন করলে রক্তের চাপ কমে যেতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তবে আপনি চাইলে প্রতিদিন বীজ ছাড়া ২৫ গ্রাম আজ যুক্ত তেতুল আপনি খেতে পারেন তবে ঝালো লবন বিহীন খেতে হবে খেতে পারলে আপনার ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিসের হার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত এক্সারসাইজ করে কিংবা এক ঘন্টা থেকে দু ঘন্টা হাঁটাচলা করে সেগুলো ব্যক্তি ২০ থেকে ২৫ গ্রাম তেঁতুল খেতে পারলে তাদের হার্ট কোনরকম ব্লক হবে না তবে চেষ্টা করবেন তেঁতুল ভরা পেটে খাবার জন্য।

ছেলেরাতে তেতুল খেলে কি হয়

তেতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়, তেতুল খেলে সেক্স কমে যায়, তেতুল মেয়েরা খায়, এ ধরনের কুসংস্কার আমরা অনেক আগে থেকেই জেনে আসছি। কিন্তু এগুলো ধারণা একদম ভিত্তিহীন বা অযৌক্তিক কথা তেঁতলে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে যা ছেলে মেয়েদের উভয়ের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।

তেতুলে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য প্রাণ যা শেবনের ফলে আমাদের বেনিফিট হতে পারি এখানে নেগেটিভ কোন কিছু নেই তেতুল খেলে উপকারী হবে ক্ষতি হবে না। পলিফেলুক নামের উপাদান রয়েছে তেতুলে। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকারী উপাদান। তেঁতুল খেলে হাই সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
এবং কি অতিরিক্ত মাত্রায় ফ্যাট থাকলে ফেড নিয়ন্ত্রণ করতে তেতুলের কার্যকারী অনেক। তেঁতুলে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ভিটামিন বি সি কমপ্লেক্স, ও সেলেনিয়াম ইত্যাদি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে তেতুলে যা আমাদের হার্ট ভালো রাখে, লিভার ভালো রাখে, ডায়াবেটিসের রোগীর সুগার কমাতে সাহায্য করে, এবং বিভিন্ন ধরনের উপকার করে তেতুল।

তেতুল খেলে কি ক্ষতি হয়

তেতুলের উপকারিতাঃ

তেঁতুল খেলে উপকার হয় এবং ক্ষতিও হয়। ক্ষতি কেন হয় অতি বিরক্তি মাত্রা সেবন করলে ক্ষতির বিষয়টা পরে আসছি আগে উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। অনেক সময় আমাদের শরীর দেখা যায় জ্বালাপোড়া করতেছে হাত-পায়ে ব্যথা সৃষ্টি হওয়া তেতুল খেলে গায়ের জ্বালাপোড়া এবং ব্যথা সমস্যা কে মুক্তি দেয়।

তেঁতুলের বিভিন্ন ধরনের এনজাইম রয়েছে যা খেলে কার্বোহাইড্রেটের শোষণ মাত্রা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে যার ফলে ডায়াবেটিসের রোগীর শরীরে যেগুলো চিনির মাত্রা রয়েছে সেগুলো কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।

এবং সকল ধরনের ছোট বড় সবাই তেঁতুল খেতে পারে তেতুলে রয়েছে বি কমপ্লেক্স, ও এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। তেতুল খেলে হার্ট ভালো থাকে, লিভার কে ভালো রাখে, গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ রাখে ও বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে তেঁতুল।

তেতুলের অপকারিতাঃ

তেতুল পরিমাণ মত খেতে হবে অনেক বেশি পরিমাণ তেতুল খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত মাত্রই তেঁতুল খেলে রক্তের চাপ কমিয়ে দিবে। তেতুল আপনি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন খেতে পারবেন তবে আপনি যদি ডায়াবেটিসে রোগী হয়ে থাকেন। তবে সুগার লেভেল দেখে আপনাকে তেঁতুল সেবন করতে হবে। আমি একথাই বলব যে, তেঁতুলের অপকারিতার চেয়ে উপকারিতায় বেশি।

তেতুলের বিসির উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক, শুধু তেতুলের বিচি নয় তেতুলের পাতা, বীজ, এবং সাল সবকিছুই অতি গুরুত্বপূর্ণ বা উপকারী উপাদান। তাই চলুন জেনে নেওয়া যায় তেতুলের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে। তেতুলের বীজ রয়েছে ভিটামিন বি, কেরোটিন, আয়রন, খনিজ পদার্থ, আমিষ,অ্যামাইনো এসিড, ক্যালসিয়াম ও এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি।
যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু দমন করতে সাহায্য করে থাকে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক তেতুলের বীজের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।

তেতুলের গুড়োর উপকারিতাঃ

  • তেতুলের গুঁড়ো আমাদের স্কিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বা উপকারী উপাদান।
  • তেতুলের বীজ গুড় করে টক দইয়ের সঙ্গে স্কিনে লাগিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে স্কিনের ব্রণের সমস্যা দূর হবে।
  • তেতুলের বীজ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে এবং রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
  • তেতুলের গুড় পেপটিক আলসার ভালো করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনি নিয়মিত তেতুল সেবন করতে পারেন এতে আপনার আলসারের সমস্যা দূর হবে।
  • আপনার পেটের ব্যাথা হলে বা কষ্ট কাঠিন্যর কোন সমস্যা থাকলে নিয়ম করে তেতুল সেবন করতে পারেন এতে আপনার পেটের ব্যাথা ও কষ্টকাঠিন্য দূর হবে।
  • তেতুলের বীজ সেবন করলে আপনার শারীরিক দুর্বলতা ও বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
  • নিয়মিত তেতুলের গুড় করে সেবন করতে পারলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
  • তেতুলের বীজ ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি উপকারী ছেলেদের অতিরিক্ত মাত্রই স্বপ্নদোষ কমাতে সাহায্য করে ও যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
  • তেতুল বীজে থাকা উচ্চ পটাশিয়াম রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে এবং হার্ড ভালো রাখে এবং রক্তের কোন খারাপ ফ্যাট জমতে দেয় না। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগের উপকারিতা পাওয়া যায় তেঁতুল বীজের গুড়া থেকে।
তেতুলের বীজের অপকারিতাঃ

তেতুল আমরা যদি অনেক বেশি মাত্রায় খেয়ে ফেলি তাহলে আমাদের গ্লুকোজের মাত্রা অনেক অংশে কমে যাবে যা ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য অনেক ক্ষতিকর হবে, অতিরিক্ত মাত্রায় তেঁতুল খেলে রক্তের চাপ কমে যায়। অতিরিক্ত মাত্রায় তেঁতুল খেলে আমাদের দাঁতের সমস্যা বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় তেঁতুল খাওয়া যাবে না, অবশ্যই তেঁতুল অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ওজন কমাতে তেতুল খাওয়ার নিয়ম

তেতুল আমরা মুখের রুচি বাড়ানোর জন্য এবং অন্য কারণে তেতুল খেয়ে থাকি কিন্তু তেতুলে স্বাস্থ্যকর কিছু দিক রয়েছে তা কি আপনারা জানেন? তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক তেতুলের কিছু স্বাস্থ্যকর দিক।
সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন তেতুলের জুস আপনি যদি নিয়মিত সেবন করেন তাহলে আপনার ওজন ২ থেকে ৩ কেজি কমানো সম্ভব, তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কি পদ্ধতিতে তেঁতুলের জুস তৈরি করে সেবন করা যায়।

প্রথমে আপনার ৫০ গ্রাম তেঁতুল নেবেন, এবং তেঁতুলের সঙ্গে ৩ থেকে ৪ চামচ পানি নিয়ে নিন। এবং ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন যাতে করে তেতুল পানির সঙ্গে মিশে জানার জন্য, দশ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পর ভালোভাবে মিক্স করে নিতে হবে। এবং একটি ব্লেন্ডারের এক গ্লাস পরিমাণ পানি নিতে হবে এবং তার সঙ্গে তেঁতুলের মিশ্রণটি দিয়ে দিতে হবে।
অবশ্যই তেতুলের বীজ তুলে নিতে হবে। তার সঙ্গে নিতে হবে এক চা চামচ আদা কুচি করে নিতে হবে, এরপর নিতে হবে গোলমরিচের গুর, এবং এক চা চামচ দারচিনির গুরা, এবং সর্বশেষে ৮ থেকে ১০ টি পুদিনা পাতা, এগুলো একসঙ্গে ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে নিলে তৈরি হয়ে যাবে তেতুলের জুস।

যা আপনার শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে সাহায্য করবে এবং কোমর ও পেটের অতিরিক্ত ফ্যাট কমাবে। এবং আপনার বডি সুন্দর সেফ আনতে খুবই কার্যকারী এই তেতুলের জুস। এই জুসটি ভরা পেটে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন সেবন করুন আশা করি আপনার অতিরিক্ত ফ্যাট কমে যাবে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, এই পোস্টে যেগুলো টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলো টপিক অনুসরণ করে আপনারা যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে তেঁতুলের সঠিক উপকার পাবেন এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। তাই এ কথাই বলবো যে, উপরের টপিক মেনে আপনারা যদি চলতে পারেন তাহলে আশা করি সুস্বাস্থ্যকর শরীর নিয়ে চলতে পারবেন "ধন্যবাদ"
আমার এই আর্টিকেলটি পরে আপনার যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌঁছে দিবেন "ধন্যবাদ"।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
\