মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য - স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০ শব্দ
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন পোস্ট রয়েছে ক্লিক করুন
আমরা হাজারো রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি এই স্বাধীনতা কেড়ে
নেওয়ার মতো ক্ষমতা কারো নেই! এই বিষয় নিয়ে আমাদের গর্ব করা উচিত, কিন্তু
দুঃখের বিষয় একটি সেটি হলো যারা হাজারো রক্তের বিনিময়ে এই দেশটি স্বাধীন
করেছে আজ আমরা তাদেরকেই ভুলে গিয়েছি! তাই আমরা এদেশের নাগরিক হিসেবে তাদের
প্রতি যোদ্ধা ও ভালোবাসা জানানো প্রয়োজন।
প্রিয় পাঠক, আজ আমাদের বুক ফুলিয়ে গর্ব করে বলা উচিত আমরা স্বাধীন দেশের
স্বাধীন নাগরিক। আমাদের গর্ব করা উচিত যে আমরা স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহণ করেছি,
তাই আজকে স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই
আর্টিকেলটিতে, স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য জানতে এই আর্টিকেল শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ.
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক, স্বাধীনতা বীর যোদ্ধারা আমাদের এই দেশটি স্বাধীন করার জন্য অনেক
ত্যাগ তিতিক্ষ করার পর আমাদের এই দেশটি স্বাধীন করেছেন, তাই তাদেরকে নিয়ে আজ
আমাদের এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে এই আর্টিকেলটিতে যেগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা
করা হয়েছে তা হলো, স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা,
স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০ শব্দ , স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য , মহান স্বাধীনতা
দিবস উপলক্ষে বক্তব্য , বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত সালে , ২৬ শে মার্চ কোন
স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয় কবে , ১৬ই ডিসেম্বর কি দিবস ,
এই সকল বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে তাই
আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি স্টেপ বাই স্টে পড়লে আশা করি এই সকল বিষয় নিয়ে
বিস্তারিত জানতে পারবেন, তাই ২৬ শে মার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অজানা তথ্য
জানতে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আজ আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬ শে মার্চ। পুরো বাঙালি জাতি আজ
বিপুল আনন্দের সঙ্গে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করছে। আজ বাঙালি জাতি আমরা
গর্বিত যে আমরা এক স্বাধীন দেশে বসবাস করছি। আজ আমরা অনেক আনন্দিত যে আনন্দ
ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
যে সকল বাঙালি রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশটি স্বাধীনভাবে পেয়েছি তাদের প্রতি
জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা ভালোবাসা। আমাদের এই মাতৃভূমি বাংলাদেশ
স্বাধীন করার জন্য অনেক কিছু ত্যাগ তিতিক্ষা করতে হয়েছে বাঙালি জাতির
শহীদগণের। পাকিস্তানী শাসনের শৃঙ্খলাবদ্ধ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা সেই গৌরব দিন ২৬
শে মার্চ।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মিতার হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংস
লীলার বিরুদ্ধে ৯ মাসের মরণপণ লড়াইয়ের মাধ্যমে দিয়ে স্বাধীনতা বাংলাদেশের
নতুন করে জন্ম হয় লাল-সবুজের পতাকার।
এই দিনে বাঙালি পরাধীনতা থেকে মাতৃভূমিকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে হাজারো বাঙ্গালী
হাতে তুলে নেন অস্ত্র। আক্রমণকারী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে হাজারো
বাঙ্গালী লড়াই করে মাতৃভূমিকে রক্ষাকরতে যুদ্ধ শুরু করে।
স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০ শব্দ
সাধারণত স্বাধীনতা দিবস প্রতিবছর ১৫ ই আগস্ট থেকে পালিত হয়। আজকের এই দিনে
১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট তারিখে আমাদের এই দেশটি ভারত বর্ষ ব্রিটিশদের ২০০ বছরের
অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি লাভ করে, এবং স্বাধীনতা অর্জন করে। এই কারণে এই
দিনটি স্মরণ করার জন্য প্রতিবছর সারা দেশব্যাপী জুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করা
হয়।
তাই আমাদের কাছে আজ স্বাধীনতা দিবস অত্যন্ত আনন্দের একটি দিন। এই দিনটি উপলক্ষ
করে প্রতিটি বিদ্যালয় এর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে
চোদ্ধা ও ভালোবাসা জানানো হয়। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগত
সিং, জহরলাল নেহরু স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে
আমাদের দেশ স্বাধীন হয়।
এই দিন স্বাধীনতা মুক্তিযোদ্ধাদের ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এই
দিনে স্কুল কলেজ অফিস আদালত সর্বত্র সকলকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে জাতীয়
সংগীত জনগণ গেয়ে থাকেন এই দিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি দিল্লির রাজপথ ও
প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে মিলে
লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে এবং জাতির উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে ভাষণ
দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে স্কুল কলেজ এর ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে পতাকা
উত্তোলনের মাধ্যমে জাতীয় সংগীত গেয়ে থাকেন।
স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য
বাঙালি জাতি কখনোই এই স্বাধীনতা দিবসটি ভুলে যাবে না। ১৯৭১ সালের এ মাসে তীব্র
আন্দোলন শুরু হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের
স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় আন্দোলন। পাকিস্তানি
বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন চূড়ান্ত মুহূর্তে এসে শুরু হয়
সশান্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।
দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশের এই স্বাধীন সার্বভৌম
রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার কারণ হলেও চূড়ান্ত
ফাইনাল আন্দোলন সূচনা হয়েছিল ৭১ সালের ১ মার্চ থেকে শুরু হয়। এই ২৬ শে মার্চ
প্রত্যেকটি বাঙালির বছরের একটি আনন্দময় দিন।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আজ মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬ শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও
জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান এই দিনে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর
বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণকে যুদ্ধের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বাঙালি জাতির জন্য স্বাধীনতা এই দিনটি অত্যন্ত আনন্দময় দিন এবং অনেক বেদনাময়
দিন এই কারণে হাজারো রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশটি স্বাধীন পেয়েছি, নির্যাতিত
তত্ত্বের ভিত্তিতে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসনকারীরা বাঙালি
জাতির উপর শোষণ এবং ভাষা ও সংস্কৃতি ওপর আগ্রাসন নির্যাতন চালাতে থাকে।
এরই প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধিকারের দাবিতে
জেগে ওঠেন নিরীহ বাঙালির উপরে নির্মমভাবে ২৫ শে মার্চ রাতে অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত
দিয়ে পাকিস্তানি অনাদার বাহিনীরা নির্মম গণহত্যা চালায়।
গণহত্যা চালানোর পর পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতারের পূর্ব
মুহূর্তেই বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃংখল থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তি করতে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে একটি স্বাধীন
বাংলার রাষ্ট্র।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সাড়া দিয়ে বাংলার সর্বস্তরের জনগণ
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন।
দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সশান্ত্র মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও ২
লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বাঙালি জাতি অর্জন করে বাংলাদেশের
স্বাধীনতা।
পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালি জাতি দীর্ঘ ২৩ বছরের রক্ত ঝরা
সংগ্রামের শেষ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনই সারা বাংলার জনগণকে অপরিসীম ত্যাগের
সম্মুখীন হয়েছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত সালে
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, ২৬ শে মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। ২৬ শে মার্চ এই এক
নতুন সূর্য উদয়। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের মাটিতে হয়েছিল এক নতুন
সূর্যোদয়, যা এদেশের মানুষ আগে কখনোই দেখেনি।
এ এক নতুন সূর্য অনেক বেশি সুন্দর আর অনেক বেশি উজ্জল ময়। কারণ এটি ছিল আসলে
আমাদের স্বাধীনতার সূর্য স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সূর্য । তাই এক কথাই
বলা যায় ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ আমাদের মহান বিজয় ও স্বাধীনতা দিবস।
২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয় কবে
১৯৪৭ সালের আগস্টে প্রায় দুইশ বছরের শাসন ব্রিটিশরা ভারতের উপমহাদেশ থেকে
বিদায় নেয়। কিন্তু ব্রিটিশ শাসন কারীদের এত সুদীর্ঘ শোষণ করার পরেও তাদের শেষ
হইয়াও যেন শেষ হইল না। এই কারণে সেই স্বাধীনতার নাটকের শেষ অংকের সূচনা ঘটে
১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ যার মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা
অর্জন করে বাংলাদেশ।
২৬ শে মার্চ যে স্বাধীনতা দিবস এটা কম বেশি অনেকেই জানে। কিন্তু এই স্বাধীনতা
রক্ষা করতে এর পিছনে যে কত রহস্য লুকিয়ে আছে তা অনেকের কাছেই অজানা। কিন্তু
একদিন লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদেরই স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে লক্ষ্য
লক্ষ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদেরই স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে।
16 december ki dibosh
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস এ এক মহানন্দময় দিন বিজয় দিবস বাংলাদেশের বিশেষ এক
দিন হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের সর্বস্তরের লোক এই দিবসটি পালন করে থাকে।
প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করা হয়ে থাকে। ১৯৭২ সালের ২২ শে
জানুয়ারি প্রকাশিত জাতীয় দিবস হিসেবে এক বিশাল আয়োজন করা হয়।
এবং এই দিনটি উদযাপন করা হয় এবং কি সরকারি ছুটি প্রদান করা হয় এই দিনটি
উপলক্ষ করে ছুটির ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ করার পর ১৯৭১ সালের
১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্রায় ৯১,৬৩৮ জন সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে
আত্মসমর্পণ করেন। এর ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এক
অভ্যুদয় ঘটে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা এই পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ২৬ শে মার্চ বিজয়
দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানা-অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। এরপরেও যদি আপনাদের
কোন মতামত বা জিজ্ঞাসা থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলের নিচে দেওয়া কমেন্ট
সেকশনে কমেন্ট করে আপনার মতামত জানাবেন।
আমার এই আর্টিকেলটি পরে আপনার যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে
অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব ও নিকট আত্মীয় স্বজনদের কাছে শেয়ার দিয়ে
পৌঁছে দিবেন "ধন্যবাদ"।
ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url