সারা গায়ে চুলকানি ঔষধ - পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায়
প্রিয় পাঠক, আমাদের মতে সবচাইতে অস্থিরকর ও বিরক্ত কর একটি রোগ হল চুলকানি। এই
রোগটি মানুষের সংস্পর্শে হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে চুলকানি হয়ে থাকে। কিন্তু এর
অন্যতম কারণ হলো মানুষের সংস্পর্শে এ রোগটি একজন থেকে আরেকজন আরেকজন থেকে আরেকজন
এইভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এই আর্টিকেল থেকে সারা গায়ে চুলকানি ঔষধ ও পুরুষাঙ্গের
চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আপনার কাছে যদি চুলকানি অনেক বিরক্তকর ও অস্থিরকর মনে হয় তবে এই আর্টিকেলটি
আপনার জন্য। কেননা এই আর্টিকেলে সারা গায়ে চুলকানি ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে
আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেল আপনি যদি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত
পড়েন তবে সারা গায়ে চুলকানি ঔষধ সম্পর্কে ও পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায়
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এছাড়া চুলকানি বিষয় বিভিন্ন টপিক নিয়ে আজকের
এই আর্টিকেল সাজানো হয়েছে আপনি যদি আপনার শরীর থেকে চুলকানি দূর করতে চান? তবে
এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ.
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক, চুলকানি এমন একটি রোগ যা আপনার পুরো শরীর ঘা এর সৃষ্টি করতে পারে।
যার ফলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হতে পারে। চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ
নেই কেননা এই আর্টিকেল থেকে আপনি সারা গায়ে চুলকানি ঔষধ সম্পর্কে ও পুরুষাঙ্গের
চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনার শরীর থেকে
যদি আপনি চুলকানি দূর করতে চান? তাহলে এই আর্টিকেল ফলো করতে পারেন কেননা এই
আর্টিকেলে চুলকানি দূর করার সকল উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা
হয়েছে।
চুলকানি বিষয়ক যেগুলো বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেল সাজানো হয়েছে তা হলো, সারা গায়ে
চুলকানি ঔষধ, চুলকানি দূর করার ঔষধের নাম, চুলকানি দূর করা সহজ উপায়,
পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায়, পায়ে চুলকানি দূর করার উপায়, চুলকানি দূর
করার ঘরোয়া উপায়, এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়, ও চুলকানি প্রতিরোধের
উপায়। এই সকল বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
তাই আপনারা যদি আপনাদের শরীর থেকে খুব দ্রুত চুলকানি সারাতে চান? তাহলে এই
আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে স্টেপ বাই স্টেপ শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সারা গায়ে চুলকানি ঔষধ
প্রিয় পাঠক, গরমকালে প্রায় চুলকানি হয়ে থাকে কারো কারো এত পরিমাণে চুলকানি
হয়ে থাকে যে সারা গায়ে চুলকানি ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম অবস্থায় এই চুলকানি শরীরের
বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে যেমন হাত, পা, পিঠ, মাথার ত্বক, ঘাড়, পেনিসে, ইত্যাদি
সহ বিভিন্ন জায়গায় এই চুলকানিটি প্রথম অবস্থায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই চুলকানি একজন থেকে আরেকজন এইভাবে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ে। তাই স্টেপে
চুলকানি দূর করার কিছু ঔষধ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো ঔষধ আপনি ব্যবহারের
করলে চুলকানি আপনার শরীর থেকে চলে যাবে। তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক
চুলকানি দূর করার ঔষধ সম্পর্কে।
সারা গায়ে চুলকানি ঔষধ নিম্নে দেওয়া হলোঃ
- পেভিসোন ক্রিমঃ পেভিসোন ক্রিম আক্রান্ত স্থানে দিনে কমপক্ষে দুইবার ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই গরম পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করে নিবেন তারপরে আক্রান্ত স্থানে ভালোভাবে পেভিসোন ক্রিম ব্যবহার করুন।
- পেভিটিন ক্রিমঃ পেভিটিন ক্রিম এটিও ব্যবহারের পূর্বে আক্রান্ত স্থানে হালকা গরম পানি দিয়ে মুছে নিন এরপরে পেভিটিন ক্রিম ব্যবহার করুন। অবশ্যই এই ক্রিম আক্রান্ত স্থান ব্যতীত অন্য কোন জায়গায় লাগানো যাবে না। এই ক্রিম দিনে দুইবার সকাল এবং সন্ধ্যায় আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করবেন।
- ফ্লুগাল ৫০ ট্যাবলেটঃ উপরুক্ত ক্রিম ব্যবহারের পাশাপাশি আপনি স্কয়ার কোম্পানির এই একটি খেতে পারেন। যে ট্যাবলেটটির নাম ফ্লুগাল ৫০ ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেটটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন একটি করে খেতে হয় এই ট্যাবলেটটি ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত সেবন করতে হয়।
তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এগুলো ট্যাবলেট বা ক্রিম আপনার
চুলকানির আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করবেন। নইলে সঠিক ব্যবহার না করলে আপনার ক্ষতি
হতে পারে, তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ও ব্যবহার করুন।
চুলকানি দূর করার ঔষধের নাম
প্রিয় পাঠক, চুলকানি অত্যন্ত অস্থিরকর একটি রোগ। এই রোগটি সাধারণত গরমকালেই বেশি
দেখা যায়, বর্তমান সময়ে অসংখ্য মানুষের চুলকানির সমস্যায় ভুগছেন। এবং এই
চুলকানি থেকে রক্ষা করতে আপনারা বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বা মলম ইত্যাদি ব্যবহার করে
থাকেন। কিন্তু এগুলো ব্যবহারের ফলে আপনার শরীর থেকে চুলকানি দূর হচ্ছে না?
তাহলে এই স্টেপটি আপনার জন্য! কেননা এই স্টেপে চুলকানি দূর করার ঔষধ সম্পর্কে
আলোচনা করা হয়েছে। যা ব্যবহার করলে আপনার গায়ের সমস্ত চুলকানি দূর হবে। তাই
চলুন জেনে নেওয়া যাক চুলকানি দূর করার ওষুধ সম্পর্কে।
চুলকানি দূর করার ঔষধ নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
- এলাট্রল
- অটোরাক্স
- সেন্ডো
- দরমা ৫০
- ডেসলোরাটাডিন
- ডিফেনহাইড্রামাইন
- ফেক্সোফেনাডিন
চুলকানি রোগ অতি সাধারণ একটি রোগ হলেও এটি খুব দ্রুত ভালো করা উচিত। নিচে দেওয়া
যেগুলো ঔষধ রয়েছে এগুলো ব্যবহারের ফলে চুলকানি দূর হবে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের
পরামর্শ অনুযায়ী উপরোক্ত ওষুধ গুলো ব্যবহার করবেন।
চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন
এলার্জি ছাড়াও আপনাদের হঠাৎ করে যদি চুলকানি শুরু হয়ে যায় তবে এটি সাধারণ একটি
বিষয়। কিন্তু এই চুলকানি একপর্যায়ে বিরক্তিকর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর আপনারা এই
চুলকানি দমন করতে বিভিন্ন ধরনের মলম ব্যবহার করে থাকেন, কিন্তু আপনারা হয়তোবা
জানেন না?
মলম ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই এই স্টেপে আপনাদের ঘরোয়া কিছু
পদ্ধতিতে চুলকানি সারানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই চলুন জেনে
নেওয়া যায় কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে চুলকানি দমন করার উপায় সম্পর্কে।
যেগুলো ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি চুলকানি দমন করতে পারেন তা নিম্নে
উল্লেখ করা হলোঃ
- চুলকানি দমন করতে নারকেল তেলের উপকারিতাঃ নারকেল তেল ত্বকে ব্যবহারের জন্য সবচাইতে নিরাপদ উত্তম পণ্য। আপনার যদি এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে কিংবা যেকোনো ধরনের পোকা মাকর কামড়ানোর প্রভাবে চুলকানি যদি হয়ে থাকে, তাহলে চুলকানো ক্ষতস্থানে নারকেল তেল ভালোভাবে লাগিয়ে দিন। যদি আপনার পুরো শরীরে চুলকানি হয় তবে পুরো শরীরে নারকেল তেল ভালোভাবে মালিশ করুন। এছাড়াও হালকা গরম পানি দিয়ে পুরো শরীর মোছে নিয়ে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
- চুলকানি দূর করতে লেবুর উপকারিতাঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু যাতে রয়েছে ব্লািচিং উপাদান রয়েছে যা ত্বকের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। আপনার যে স্থানে চুলকানি অনুভব হচ্ছে সেই স্থানে লেবুর রস লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে, দেখবেন চুলকানি কমে গিয়েছে।
- চুলকানি দূর করতে এলোভেরার উপকারিতাঃ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এলোভেরার উপকারিতা অতুলনীয় সেটা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু এর পাশাপাশি চুলকানি প্রতিরোধ করতেও এলোভেরার তুলনা হয় না। একটি এলোভেরা ডাল থেকে এলোভের রস বের করে নিন এবং চুলকানির স্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে দিন, তাহলে দেখবেন খুব দ্রুত চুলকানি কমে গিয়েছে।
- চুলকানি দূর করতে বেকিং সোডার উপকারিতাঃ চুলকানি প্রতিরোধ করতে বেকিং সোডার উপকারিতা অনেক। বেকিং সোডা এবং পানি একত্রে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন, এবং এক অংশ পানির মধ্যে তিন অংশ বেকিং সোডা দিয়ে দিন। এবং চুলকানির স্থানে এই পেস্ট লাগিয়ে দিন। দেখবেন চুলকানি খুব দ্রুত কমে গিয়েছে।
পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায়
প্রিয় পাঠক, কিছু কারণ রয়েছে যার মাধ্যমে পুরুষাঙ্গের চুলকানি হয়ে থাকে। যা
আমরা অনেকেই জানিনা, বা আমাদের জানার অজান্তেই যেগুলো ভুলের কারণে আমাদের
পুরুষাঙ্গে চুলকানি হয়ে থাকে তাই এই স্টেপ থেকে আপনারা জানতে পারবেন কি কারনে
পুরুষাঙ্গে চুলকানি হয়ে থাকে এবং পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে
এই স্টেপে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কারনে
পুরুষাঙ্গে চুলকানি হয়ে থাকে, চলুন জেনে নেওয়া যায়।
- প্রথম কারণ হচ্ছে অপরিচ্ছন্নতা থাকার ফলে আমাদের গোপনাঙ্গে ফাংগাল জন্ম নেয় যার ফলে পুরুষাঙ্গে চুলকানি সৃষ্টি হয়
- দ্বিতীয় কারণ হলো যে সকল ব্যক্তিরা দীর্ঘ টাইম ধরে অফিস করেন বা দীর্ঘ সময় ধরে প্যান্ট পড়ে থাকেন । যার ফলে ঘাম সৃষ্টি হয় ফলে গোপনাঙ্গে ময়লা জমে যায় যার ফলে চুলকানি সৃষ্টি হয়।
- টয়লেট করার পরে ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার না করলে সেখান থেকে ফাংগাল জন্মাতে পারে যার ফলে চুলকানি সৃষ্টি হয়।
- ১০ থেকে ১৫-২০ বছরের ছেলে মেয়েদের এই ধরনের সমস্যাটা বেশি দেখা যায় এর প্রধান কারণ অপরিচ্ছন্নতা থাকার ফলে, চুলকানি সৃষ্টি হয়।
তাই গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
- প্রথম পর্যায়ে চুলকানি শুরু হলে হালকা কুসুম গরম পানিতে ডিটল কিংবা স্যাভবন দিয়ে আপনার গোপনাঙ্গে পাশপাশ দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
- আর অতিরিক্ত মাত্রায় যদি আপনার পুরুষাঙ্গে চুলকানি হয়ে থাকে তবে কিছু মেডিসিন আপনাকে খেতে হবে অবশ্যই চুলকানি দূর করতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চুলকানির ওষুধ ব্যবহার করবেন। আপনার চুলকানি দূর করতে টার্বোনাফিন বা মাইক্রোফি ২৫০mg ট্যাবলেট প্রতিদিন একটি করে একটা ২১ দিন পর্যন্ত খেতে পারেন। এই ট্যাবলেটটি হল অ্যান্টিফাঙ্গাল ড্রাগ যা চুলকানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন।
- এছাড়াও আপনার একটি ক্রিম ব্যবহার করতে হবে অ্যান্টি ফাংগাল জাতীয় যেগুলো ক্রিম রয়েছে স্কয়ারের ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। যেমন ফানজিডাল, বা ডার্মোমিক্স, বা ডারমিস এই জাতীয় যেকোনো একটি ক্রিম আপনি ট্যাবলেটটি খাওয়ার পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্যই ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত এই ক্রিমটি আপনাকে ব্যবহার করতে হবে।
চুলকানির স্থানে যেগুলো ব্যবহার করা যাবে না, তা নিম্ন দেওয়া হলোঃ
- চুলকানি স্থানে সাবান ব্যবহার করা যাবে না।
- টোয়েল ব্যবহার করা যাবে না। ক্ষার জাতীয় কোন কিছু ব্যবহার করা যাবে না।
এগুলো ব্যবহার করলে ফাংগাল খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে এবং ঔষধে কোন কাজ
করবে না। তাই উপরোক্ত নিয়ম কানুন মেনে ওষুধ সেবন এবং ব্যবহার করুন। অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার ও সেবন করবেন। তাহলে আপনার পুরুষাঙ্গের
চুলকানি খুব সহজেই হবে।
পায়ে চুলকানি দূর করার উপায়
প্রিয় পাঠক, কিছু ব্যবহার করার ফলে আমাদের পায়ে চুলকানি হয়ে থাকে। বা আমাদের
পা অপরিষ্কার অবস্থায় কোথাও রাখলে তা থেকে আমাদের পায়ে চুলকানি হতে পারে,
এছাড়াও এলার্জি থেকেও আমাদের চুলকানি হয়ে থাকে। তাই চলুন এই স্টেপ থেকে জেনে
নেওয়া যাক কিভাবে পায়ে চুলকানি সৃষ্টি হয় এবং কিভাবে পায়ের এই চুলকানি দূর
করা যায় জেনে নেওয়া যায়।
মজা একই মজা বারবার ব্যবহার করার ফলে এবং মজা পরিষ্কার না করার ফলে আপনার পায়ে
চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে। তাই আপনি যখনই মজা পড়বেন অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন
মজা পড়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আপনার পায়ের চামড়া যদি শুষ্ক হয় তবে পায়ে
চুলকানি হওয়ার লক্ষণ থাকে। তাই অবশ্যই আপনার পায়ের ত্বক যদি শুষ্ক থাকে তাহলে
ক্রিম ব্যবহার করে পায়ের ত্বকের শুষ্কতা দূর করুন।
পায়ে চুলকানি হওয়ার আরেকটি লক্ষণ হল ধুলাবালিতে হাঁটাচলা বা পায়েতে ময়লা
আবর্জনা লাগানোর ফলে পায়ে চুলকানি হতে পারে। তাই ধুলোবালি থেকে দূরে থাকার
চেষ্টা করুন।
যে সকল ব্যক্তির ডায়াবেটিস রয়েছে বা ব্লাড সুগারের মাত্রা অনেক বেশি রয়েছে
তাদের চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি থাকে। তাই অবশ্যই আপনাকে সুগার লেভেল
নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে না আসলে অবশ্যই ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন।
তাই অবশ্যই আপনাকে এগুলো চুলকানি দূর করতে হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ভাবে চলতে
হবে এবং আপনাকে ঢিলাঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে। তারপরও যদি আপনার চুলকানি দূর না
হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ আপনাকে নিতে হবে।
এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠক, আমাদের শরীরের একপ্রকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে যার মাধ্যমে
আমাদের শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু প্রবেশ করা মাত্রই তারা ধ্বংস করে ফেলে। কিন্তু এই
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়লে আমাদের শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু প্রবেশ করে
ফেলে যার ফলে আমাদের শরীরে এলার্জির সৃষ্টি হয়।
আমাদের শরীরের জন্য এমন কিছু খাদ্য রয়েছে যা ক্ষতিকর না কিন্তু তবুও তা থেকে
আমাদের চুলকানির সৃষ্টি হয়। এর মূল কারণ হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ওগুলো খাবার কে
শত্রু হিসেবে বিবেচনা করেছে।যার ফলে ওগুলো আমাদের শরীরে ক্ষতিকর না হলেও তাদের
সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারামারি শুরু করে দেয় ফলে আমাদের শরীরে এলার্জির
সৃষ্টি হয়।
তবে এই রোগটি মারাত্মক কিছু নয় কিছুক্ষন চুলকানো পর আপনা আপনি চলে যাবে। কিন্তু
এই এলার্জির ফলে অনেক কষ্টকর সৃষ্টি করে যা আমাদের কাছে অস্বস্তিকর মনে হয়। তাই
চলুন এত বিরক্তকর এলার্জি প্রতিরোধ করার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়।
নিম্নে এলার্জি দূর করার উপায় তুলে ধরা হলোঃ
- প্রথম কাজটি হল এলার্জি আপনার শরীরে হতেই না দোয়া প্রথম অবস্থায় আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে যে আপনার কোন জিনিসে এলার্জি রয়েছে সে বিষয়ে না করা বা সেটি শুধু খাদ্য হয় তাহলে সেটাকে বর্জন করা।
- আর দ্বিতীয় পর্যায়ে আপনার যদি এলার্জি হয়ে গেছে কিন্তু ভালো হচ্ছে না। সে পর্যায়ে আপনাকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। এলার্জি নিরাময় করতে সবচাইতে ভালো যে ওষুধ রয়েছে সেটি হল এন্টিহিস্টামিন। এই ঔষধটি সেবনের ফলে আপনার শরীরের এলার্জি দূর করবে। এ জাতীয় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে স্কয়ার কোম্পানির যা এলার্জি দূর করতে সাহায্য করবে। তাই আপনার যদি অতিরিক্ত মাদ্রায় এলার্জি হয়ে থাকে? তাহলে এলার্জি দূর করতে এগুলো ওষুধ খেতে পারে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন।
চুলকানি প্রতিরোধের উপায়
চুলকানি প্রতিরোধ করতে আপনাকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ভাবে চলতে হবে। এবং
ধুলোবালি থেকে আপনাকে দূরে থাকতে হবে। পেশাব পায়খানা করে অবশ্যই ভালো হবে আপনাকে
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হতে হবে নইলে ভেজা জায়গায় থেকে আপনার ফাংগাল সৃষ্টি হতে
পারে যার ফলে চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে। তাই অবশ্যই ঢিলা ঢালা পোশাক পরিধান করতে
হবে। তাহলে আপনি চুলকানি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আশা করি এই আর্টিকেল থেকে সারা গায়ে চুলকানি ঔষধ ও পুরুষাঙ্গের
চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছে।
এরপরেও যদি আপনাদের কোন মতামত বা জিজ্ঞাসা থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলের নিচে
দেওয়া কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করবেন ধন্যবাদ।
আমাদের এই আর্টিকেলটি পরে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে
এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখবেন যাতে করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে পারেন
এবং আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌঁছে দিবেন। এত দীর্ঘ
সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য "ধন্যবাদ"।
ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url