হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় - হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম

প্রিয় পাঠক, হজমের সমস্যা অনেক বড় একটি সমস্যা হজম না হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে এবং অস্থির অনুভব হয়। যার ফলে কোন কিছু খেতেই ভয়ের সৃষ্টি হয় এবং কি কোন অনুষ্ঠানে ভালোমতো কিছু খেতেও পারা যায় না যে খাবারি খায় সেটাই বদহজম হয়ে যায় বা পেট ফাঁপার মত বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। হজম না হওয়ার এই সকল লক্ষণ হল হজম শক্তির সমস্যা হওয়া।

হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় - হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম

তাই হজম শক্তি কমে যাওয়ার কিছু লক্ষণ পেটে কোন খাবারই হজম হয় না এমন সমস্যা প্রায় অনেক মানুষেরই সমস্যা রয়েছে তাই এই আর্টিকেলে হজম শক্তি কমে যাওয়ার কিছু লক্ষণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, তাই যে সকল ব্যক্তির হজম শক্তির সমস্যা রয়েছে তারা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকার শেষ পর্যন্ত পড়লে হজম শক্তি বৃদ্ধি হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে তাই হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় জানতে এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ.

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক, বর্তমান সময়ে হজম শক্তির সমস্যার মত রোগে প্রায় অনেক লোকই এই সমস্যাই ভুগছেন তাই এই আর্টিকেলে হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে এই আর্টিকেলে যেগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো হল, হজম শক্তি কমে যাওয়ার লক্ষণ, পেটে হজম না হলে করণীয়, হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়, কি খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়, হজম শক্তি কমে গেলে কি হয়, হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ, 

হজম না হওয়ার লক্ষণ, এবং হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম এই সকল বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই যে সকল ব্যক্তির হজমের সমস্যা রয়েছে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে চান? তারা এই আর্টিকেল স্টেপ বাই স্টেপ শেষ পর্যন্ত পরলে হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

হজম শক্তি কমে যাওয়ার লক্ষণ

দুই একবার বদহজমের মত সমস্যা হতে পারে? কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই বা দুই একদিন পরপর যদি বদ হজমের মতো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এটি একদমই ভালো লক্ষণ নয়। হজমের সমস্যা হলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেবে যেমন, শরীর পুষ্টি পাবে না, এবং কি খাবারেও রুচি থাকবে না। এরকম বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আপনার শরীরে হবে তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক হজম শক্তি কমে যাওয়ার কিছু লক্ষণ সম্পর্কে।
খুব সাধারন হজমের সমস্যাঃ মার্সিওয়ান এর বাড়িয়াট্রিক সার্জন ড. ম্যাট ফারিয়ান বলেন, খুব সাধারন বদহজমের সমস্যা রয়েছে সেটি হল রোগীর বুক জ্বালাপোড়া করবে, অরুচি ভাব হবে, পেট ব্যথা হবে, অতিরিক্ত ঢেকুস বের হবে, এবং কি অতিরিক্ত মল ত্যাগ এবং কি অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা হতে পারে প্রথম পর্যায়ে।

হজমের সমস্যা শুরুর প্রথম দিকঃ ড. (ফারিয়ানের বক্তব্য অনুযায়ী) বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে যেমন, খাবার গিলার সময় ব্যাথা অনুভব হওয়া, মল ত্যাগের সমস্যা, এবং কি পেটে ব্যথা হওয়ার মত সমস্যা হতে পারে এবং কি এই সমস্যাটি প্রায় ২ থেকে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে। এছাড়াও নিয়মিত বদহজমের সমস্যা হওয়া কালো বা রক্ত মাল হওয়া হজমের সমস্যায় সিরিয়াস লক্ষণ।

স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়াতে হজমের অপকারিতাঃ ড. ফারিয়ান বলে থাকেন যে, হজমের সমস্যা কর্ম উৎপাদনশীল ক্ষমতা হ্রাস করে। এবং কি ঘুমের মধ্যে ব্যাঘাত করতে পারে এই হজমের সমস্যা কারণে। এর ভয়ানক দিক হলো মৃত্যুর ঝুঁকি ঘটাতে পারে যার ফলে ঔষুধ এর প্রয়োজনও হতে পারে।

পেটে হজম না হলে করনীয়

খাবার হজম না হওয়ার বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন নিয়মিত খাদ্য অভ্যাস যার ফলে হজমের সমস্যা হয়ে থাকে। খাবার যদি আমাদের শরীরে সঠিকভাবে হজম না হয় তবে আমাদের শরীরে হজম না হওয়ার প্রভাব পড়ে। বদহজম হলে পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে যেমন, এসিডিটি, অতিরিক্ত মাত্রায় গ্যাস, অতিরিক্ত মাত্রায় ঢেকুষ উঠে ও অতিরিক্ত মাত্রায় বায়ু নির্গত হওয়ার মতো সমস্যা হয়ে থাকে। তাই হজম না হওয়ার মতো বিরক্তকর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন কিছু করণীয়।

  • কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা হলে পেট ফাঁপে। তাই অবশ্যই পেট ফাঁপা দূর করতে বা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে সমাধান করতে আঁশ যুক্ত খাবার খান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খান।
  • খাওয়ার সময় এবং মাঝখানে বেশি বেশি পানি পান করলে এসিডেটির দুর্বল হয়ে পড়ে যার ফলে খাবার ভাঙতে পারেনা এবং এসিডের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই খাবার খাওয়ার পূর্বে পানি খেয়ে নিন এবং খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর পানি পান করুন। অবশ্যই খাবার খাওয়ার সময় কোন প্রকার তাড়াহুড়া করবেন না কেননা তাড়াহুড়া করে খাবার খেলে পেটে এসিডের সমস্যা হয়। এবং বদ হজমের মতো সমস্যা হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই ধীরে শাস্তে ভালোভাবে খাবার চিবিয়ে চিবিয়ে খান এতে করে হজমের সমস্যা দূর হবে।
  • পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করে সাধারণত কৃত্রিম, চিনি, ও অতিরিক্ত তেল চব্রি যুক্ত খাবার তাই এগুলো খাবার খেতে একটু সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং যত পারা যায় কম পরিমাণ এগুলো চব্রি জাতীয় খাবার খান বা সেবন করুন।

হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

  • যে কোন খাবার খাবার সময় খুব সুন্দর ভাবে ধীরেস্থে চিবিয়ে খেতে হবে খুব ভালোভাবে হজম প্রক্রিয়া কাজ করবে আপনি যে খাবার মুখের মধ্যে দেন সে খাবারটি কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ বার চিবানর পর খাবেন তবেই খুব দ্রুতই হজম হবে।
  • কিছু ফার্মেন্টেড ফুড রয়েছে যেগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে যেমন, আচার, শাক-সবজি, এই ধরনের ফুড কিছুটা হলেও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
  • টক দই নিয়মিত টক দই সেবন করলে হজম শক্তি ভালো কাজ করে টক দইয়ে রয়েছে গুড ব্যাকটেরিয়া থাকে যার পেটের স্বাস্থ্য কে মজবুত করে যার ফলে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয়। আপনার অনেকেই জানেন যে আমাদের শরীরে গুড ব্যাকটেরিয়া, এবং ব্যাড ব্যাকটেরিয়া রয়েছে গুড ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং ব্যাড ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে ক্ষতি করে যার ফলে গুড ব্যাকটেরিয়া জাতীয় খাবার আমাদের সেবন করতে হবে।
  • লিভারকে সুস্থ ও স্টং রাখতে আমাদের কিছু খাবার খেতে হবে যেমন, তাজা শাকসবজি খাবেন, এবং প্রচুর পরিমাণ ফুডস খাবেন, মিশ্রিত যেগুলো ফুট বা ফল রয়েছে সেগুলো খাবেন, পাশাপাশি গাজোর খেতে পারেন, পেঁপে খেতে পারেন। কমপক্ষে সপ্তাহে একবার হলেও আমলকি এবং করলার জুস খেতে পারেন। এতে করে আপনার লিভার সুস্থ থাকবে ও হজম প্রক্রিয়া ভালো কাজ করবে।
  • যে সকল ব্যক্তি অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকেন তাদের হজম প্রক্রিয়ার সমস্যা বা ব্যাঘাত ঘটে। কেননা আমাদের ব্রেনের সঙ্গে পেটের সরাসরি কালেকশন রয়েছে যার ফলে অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাকলে পেটের বিভিন্ন গন্ডগোল বা সমস্যা দেখা দেয়। তাই মানসিক চাপমুক্ত থাকতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম বা এক্সেসাইজ করতে হবে এতে করে মানসিক চাপ কমবে।
  • আমাদের শরীর যে অন্ত্রের গায়ে যে গার্ড ফ্লোরা থাকে একে সুস্থ রাখতে হবে কেননা অন্ত্রের ভেতর দিয়ে আমাদের খাবার যখন গার্ড ফ্লোরার যায় যার ফলে  গার্ড ফ্লোরার হজম প্রক্রিয়া ভালো হয় তাই আমাদের অন্ত্রকে ভালো রাখতে আমাদের কিছু খেতে হবে যেমন প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ লিটার পানি পরীক্ষা খেতে হবে। এবং কি  প্রতিদিন কমপক্ষে ১ ঘন্টা ব্যায়াম করতে হবে এটা যেকোনো ধরনের ব্যায়াম হোক না কেন।

হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম

অপনাশন কি?

    হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে আমাদেরকে যে ব্যায়াম করতে হবে সেটি হল অপনাশন। এখন আপনারা অনেকেই বলবেন যে অপন আসন কি? অপনাসন হল ব্যায়াম বা যোগাআসনের একটি আসন। এই জোগাটি আমাদের শরীরের এক ধরনের নিম্নমুখী শক্তি তৈরি করে যার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং কি পরিপাকতন্ত্রের কার্যকর ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। এই ব্যায়ামটি করার ফলে পাকস্থলীর এবং কি শরীরের পেছনের অংশ থেকে ফ্যাট কমাতে সাহায্য করেন। এই ব্যায়াম করার নিয়ম নিচে তুলে ধরা হল।
  • সর্বপ্রথম আপনি একটি সমান জায়গা নির্বাচন করুন এবং চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন।
  • এবং চিত হয়ে শুয়ে থেকে দুই হাত দিয়ে হাঁটু দুটো বাঁকিয়ে বুকের দিকে নিয়ে আসুন। এবং মাথা ও নিতম্ব সোজা মাটির সাথে ঠেকিয়ে রাখুন।
  • এইভাবে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় অপেক্ষা করুন এবং কি শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখুন।
  • এর পরে হাটু দুটো ধীরে ধীরে বাম থেকে ডান এবং ডান থেকে বাম হালকা করে নাড়তে হবে। এবং কি মাংস পেশিতে চাপ অনুভব করার চেষ্টা করুন! এবং তারপরে আবার শুরুর মতো সোজা হয়ে শুয়ে থাকবেন।
হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম

এইভাবে আপনার শরীরের সামর্থ্য অনুযায়ী এই ব্যায়ামটি করবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন এই ব্যায়ামটি করার সময় খেয়াল রাখতে হবে মেরুদন্ড ও পুরো শরীর সোজা আছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এবং কি শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক আছে কিনা সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

ধনুরাসন কি ?

পরিপাকতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসন হল ধনুরাসন। ধনুরাসন করার নিয়ম নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

  • আবারো প্রথমে আপনাকে একটি সমতল সমান জায়গা নির্বাচন করতে হবে, এবং ধনুরাসন যোগা করতে উপর হয়ে শুয়ে থাকতে হবে এবং পেট মাটির সঙ্গে লেগে থাকবে।
  • তারপরে আস্তে আস্তে পা এবং ঘাড় একসঙ্গে উপরের দিকে আস্তে আস্তে তুলতে হবে।
  • দুই হাত দিয়ে দুই পা ধরে হালকা করে টানতে হবে যাতে করে আপনার শরীর চাপ অনুভব করে।
  • যতক্ষণ সম্ভব এই ভাবে আপনি ধরে রাখবেন চেষ্টা করবেন ১০-১৫ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখার জন্য। তারপরে আস্তে আস্তে আবার সোজা হয়ে শুয়ে পড়তে হবে।
  • এই নিয়ম মেনে প্রতিদিন কমপক্ষে ২ বার এই ব্যায়াম করুন যতক্ষণ আপনি পারেন ততক্ষণ এই ব্যায়াম করুন।
হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম

এই ব্যায়ামটি করার সময় মনে রাখতে হবেঃ
  • দুটো হাত সোজা থাকা অবস্থায় টান থাকতে হবে।
  • ঘার সমান ভাবে থাকবে এবং দৃষ্টি সামনের দিকে থাকবে।
  • এবং শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে হবে।

পোস্ট ট্যাগ

হজম শক্তি কমে যাওয়ার লক্ষণ,পেটে হজম না হলে করনীয়,হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়,কি খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়,হজম শক্তি কমে গেলে কি হয়,হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ,খাবার হজম না হওয়ার লক্ষণ,হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আশা করি এই আর্টিকেল থেকে হজম শক্তি বৃদ্ধি হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন, এবং উপকৃত হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি ফলো করে আপনারা যদি ফুড সেবন করেন এবং কিছু ব্যায়াম করা মেনে চলেন তাহলে হজম শক্তির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এবং হজম প্রক্রিয়া খুব ভালো কাজ করবে।
আমাদের এই আর্টিকেলটি পরে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌঁছে দিবেন। এরকম নিত্য নতুন কনটেন্ট পাবার জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন। এত দীর্ঘ সময় ধরে এই আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
\