জান্নাতে ঘর বানানোর উপায় - নতুন ঘর তৈরির দোয়া - জান্নাতের ঘর
প্রিয় পাঠক, আমরা অনেকেই জান্নাতে ঘর চাই? কিন্তু জান্নাতে ঘর বানানোর আমল
সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না? তাই আজকের এই আর্টিকেলে জান্নাতে ঘর বানানোর কিছু
আমল সম্পর্কে এই আর্টিকেলে জানানো হয়েছে তাই জান্নাতে যাওয়ার আমল সম্পর্কে
জানতে এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আমরা অনেকেই ঘর বানাতে চাই! কিন্তু আমাদের সামর্থ্য না হওয়ায় আমাদের মনের মত ঘর
আমরা নির্মাণ করতে পারিনা। কিন্তু এমন কিছু আমল আছে যে আমলের বিনিময় আপনি
জান্নাতে ঘর নির্মাণ করতে পারেন! এটি কি আপনারা জানেন? তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক
কি আমলের বিনিময়ে জান্নাতে যত ইচ্ছা ঘর নির্মাণ করা যায়, সে আমল সম্পর্কে জেনে
নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ.
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক, আমরা অযথাই কত যে সময় নষ্ট করি কিন্তু এমন কিছু আমল রয়েছে যেগুলো
আমল আপনি যদি অবসর সময় আমল করেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে আমাদের জন্য একটি
ঘর নির্মাণ করে দিবেন সুবহানাল্লাহ। তাই এই আর্টিকেলে জান্নাতে ঘর নির্মাণের কিছু
আমল নিয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে যেমন,
জান্নাতে ঘর বানানোর উপায়, যেসব আমলের মাধ্যমে জান্নাতে ঘর নির্মিত হয়,
জান্নাতের ঘর, ও নতুন ঘর তৈরির দোয়া এই সকল বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে
বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই জান্নাতের ঘর নির্মাণের দোয়া আমল সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেল স্টেপ বাই স্টেপ শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
জান্নাতে ঘর বানানোর উপায়
প্রিয় পাঠক, জান্নাতে ঘর নির্মাণের জন্য কিছু আমল আমাদের প্রতিনিয়ত করতে হবে।
যার ফলে, আল্লাহ তা'আলা আমাদের জান্নাতে ঘর নির্মাণ করে দিবেন। (সুবহানাল্লাহ)
যেগুলো আমলের বিনিময়ে আল্লাহ তা'আলা আমাদের জান্নাতে ঘর নির্মাণ করে দিবেন তা
নিম্নে তুলে ধরা হলো।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কঠিন বিচারের মাঠে আল্লাহর বিশেষ
ছায়া ছাড়া অন্য কোন ছায়া থাকবে না। সাত শ্রেণীর মানুষকে আল্লাহ তার বিশেষ
ছায়া রাখবেন তার এক শ্রেণীর মানুষ হল, যে ব্যক্তির অন্তর মসজিদের সঙ্গে এবং পাঁচ
ওয়াক্ত সালাতি মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করে তাকে আল্লাহ তা'আলা তার আরশের
বিশেষ ছায়ায় রাখবেন।
অর্থাৎ যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে এবং মসজিদে জামাতের সাথে আদায়
করে সে ব্যক্তি জান্নাতি। অতএব যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে সে
ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ তা'আলা কবুল করবেন তাই সর্বপ্রথম জান্নাতে ঘর নির্মাণ করতে
হলে আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে হবে। তাই চলুন জান্নাতের ঘর নির্মাণের
কিছু আমল জেনে নেওয়া যাক।
জান্নাতে ঘর নির্মাণের আমলঃ
আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ বানিয়ে দেওয়াঃ রাসূল (সাঃ) বলেন, '
যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করে দেয়, যদিও তা অতি
ছোট চুরুই পাখির বাসার মত হয় বা তার চেয়েও ছোট হয়, তবুও আল্লাহ তার জন্য
জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দিবেন।
সূরা ইখলাস দশবার পড়াঃ রাসূল (সাঃ) বলেন, ' যে ব্যক্তি সূরা ইখলাস ১০ বার
পড়বে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দিবেন।
জামা'তে নামাজ আদায়ের সময় খালি শাড়ি পূরণ করাঃ রাসূল (সাঃ) বলেন, যে
ব্যক্তি জামা'তে সালাতের সময় পায়ের সঙ্গে পা কাদের সঙ্গে কাদ মিলিয়ে সালাত
আদায় করল আল্লাহ তা'আলা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন এবং তার জন্য
জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন।
সঠিক কথার পরেও তর্ক বিবাদ না করাঃ রাসূল (সাঃ) বলেন, আমি সেই ব্যক্তির
জন্য জান্নাতে একটি বাড়ির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যে সঠিক যুক্তি থাকার পরেও তর্ক
বিতর্ক বা বিবাদে লিপ্ত হন না।
মজা করেও মিথ্যা কথা না বলাঃ রাসূল (সাঃ) বলেন, যে কখনো ঠাট্টা করে ও
মিথ্যা কথা বলে না। তার জন্য আমি জান্নাতের মধ্যম স্থানে একটি ঘর নির্মাণ হবে।
উত্তম চরিত্রবান হওয়াঃ রাসুল (সাঃ) বলেন, যে নিজের চরিত্রকে সুন্দর করবে
তার জন্য জান্নাতের উর্ধ্ব বংশে একটি বাড়ি নির্মাণ হবে।
সন্তান মারা গেলে সবুর করাঃ রাসুল (সাঃ) বলেন, যখন কারো সন্তান মারা যান
তখন ফেরেশতাদেরকে আল্লাহ তা'আলা বলেন, তোমরা আমার বান্দার সন্তানের জান কবজ
করে ফেলেছ? ফেরেশতারা বলে হ্যাঁ। তখন আল্লাহ তা'আলা বলেন, তোমরা তার কলিজার টুকরা
জান কবজ করে ফেলেছ? ফেরেশতাগণ বলেন হ্যাঁ।
আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমার বান্দা কি বলেছে? ফেরেশতাগন বলেন, আপনার বান্দা এই
বিপদেও ধৈর্য ধারণ করেছে এবং আপনার প্রশংসা করেছে। এবং পড়েছে ইন্নালিল্লাহি ওয়া
ইন্না ইলাহি রাজি'উন পড়েছেন। তখন আল্লাহ তা'আলা বলেন, তোমরা আমার এই বান্দার
জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ কর এবং তার নামকরণ কর, বাইতুল হামদ' অর্থাৎ
প্রশংসার গৃহ।
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করাঃ রাসুল (সাঃ) বলেন, আমি জামিনদার থাকবো ওই
ব্যক্তির জন্য, যে আমার ওপর ঈমান আনবে এবং ইসলাম কবুল করবে ও আল্লাহর রাস্তায়
লড়বে তার জন্য জান্নাতে প্রান্ত দেশে একটি ঘর এবং জান্নাতের মধ্য দেশে একটি ঘর
এবং জান্নাতের ঊর্ধ্ব বংশে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।
যে সব আমলের মাধ্যমে জান্নাতে ঘর নির্মিত হয়
প্রিয় পাঠক, জান্নাতে ঘর নির্মাণের জন্য কিছু আমল আমাদের প্রতিনিয়ত করতে হবে।
যার ফলে, আল্লাহ তা'আলা আমাদের জান্নাতে ঘর নির্মাণ করে দিবেন। (সুবহানাল্লাহ)
যেগুলো আমলের বিনিময়ে আল্লাহ তা'আলা আমাদের জান্নাতে ঘর নির্মাণ করে দিবেন তা
নিম্নে তুলে ধরা হলো।
সূরা ইখলাস দশবার পড়াঃ রাসূল (সাঃ) বলেন, ' যে ব্যক্তি সূরা ইখলাস
১০ বার পড়বে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দিবেন।
জামা'তে নামাজ আদায়ের সময় খালি শাড়ি পূরণ করাঃ রাসূল (সাঃ)
বলেন, যে ব্যক্তি জামা'তে সালাতের সময় পায়ের সঙ্গে পা কাদের সঙ্গে কাদ
মিলিয়ে সালাত আদায় করল আল্লাহ তা'আলা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন এবং
তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন।
সঠিক কথার পরেও তর্ক বিবাদ না করাঃ রাসূল (সাঃ) বলেন, আমি সেই
ব্যক্তির জন্য জান্নাতে একটি বাড়ির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যে সঠিক যুক্তি থাকার
পরেও তর্ক বিতর্ক বা বিবাদে লিপ্ত হন না।
মজা করেও মিথ্যা কথা না বলাঃ রাসূল (সাঃ) বলেন, যে কখনো ঠাট্টা করে
ও মিথ্যা কথা বলে না। তার জন্য আমি জান্নাতের মধ্যম স্থানে একটি ঘর নির্মাণ
হবে।
উত্তম চরিত্রবান হওয়াঃ রাসুল (সাঃ) বলেন, যে নিজের চরিত্রকে
সুন্দর করবে তার জন্য জান্নাতের উর্ধ্ব বংশে একটি বাড়ি নির্মাণ হবে।
সন্তান মারা গেলে সবুর করাঃ রাসুল (সাঃ) বলেন, যখন কারো সন্তান
মারা যান তখন ফেরেশতাদেরকে আল্লাহ তা'আলা বলেন, তোমরা আমার বান্দার
সন্তানের জান কবজ করে ফেলেছ? ফেরেশতারা বলে হ্যাঁ। তখন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
তোমরা তার কলিজার টুকরা জান কবজ করে ফেলেছ? ফেরেশতাগণ বলেন হ্যাঁ।
আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমার বান্দা কি বলেছে? ফেরেশতাগন বলেন, আপনার বান্দা এই
বিপদেও ধৈর্য ধারণ করেছে এবং আপনার প্রশংসা করেছে। এবং পড়েছে ইন্নালিল্লাহি
ওয়া ইন্না ইলাহি রাজি'উন পড়েছেন। তখন আল্লাহ তা'আলা বলেন, তোমরা আমার এই
বান্দার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ কর এবং তার নামকরণ কর, বাইতুল হামদ'
অর্থাৎ প্রশংসার গৃহ।
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করাঃ রাসুল (সাঃ) বলেন, আমি জামিনদার থাকবো
ওই ব্যক্তির জন্য, যে আমার ওপর ঈমান আনবে এবং ইসলাম কবুল করবে ও আল্লাহর
রাস্তায় লড়বে তার জন্য জান্নাতে প্রান্ত দেশে একটি ঘর এবং জান্নাতের মধ্য
দেশে একটি ঘর এবং জান্নাতের ঊর্ধ্ব বংশে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।
জান্নাতের ঘর
প্রিয় পাঠক, জান্নাতের ঘর আমাদের দুনিয়ার মত এমন ঘর নয়। জান্নাতের ঘর সোনা এবং
রুপা দিয়ে মোড়ানো ঘর। বিশাল বিশাল যা ভাষায় কল্পনা করার মত নয়। যে ব্যক্তি
আল্লাহর আদেশ মানবে এবং আল্লাহর দেয়া হুকুম পালন করবে তাকে আল্লাহ তা'আলা
জান্নাত দান করবেন।
আরো পড়ুনঃ ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা
আপনি চাইলে আমলের মাধ্যমে যত ইচ্ছা জান্নাতে ঘর নির্মাণ করতে পারেন। তার জন্য
আপনাকে সূরা ইখলাস দশবার পাঠ করতে হবে দশবার সূরা ইখলাস পাঠ করলে আপনার জন্য
জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ হবে। তাই যত দশবার আপনি সূরা ইখলাস পাঠ করবেন তত ১০
বাড়ে ১ বার আপনার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ হবে ।
নতুন ঘর তৈরির দোয়া
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি নতুন ঘর তৈরি করেন বা উদ্বোধন করেন তাহলে আপনি সর্বপ্রথম
যে দোয়া পাঠ করবেন, সেটি হল সূরাতুল আল-বাকারা। আল-বাকারা আপনি যদি ঘর নির্মাণের
সময় তেলাওয়াত করেন তাহলে ওই ঘরে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না। যার ফলে আপনার
সংসারে শান্তি নেমে আসবে বরকত নেমে আসবে এবং আপনি শয়তানের হেফাজত থেকে রক্ষা
পাবেন। তাই প্রতিনিয়ত সুরাতুল আল-বাকারা পাঠ করুন।
পোস্ট ট্যাগ
জান্নাতে ঘর বানানোর উপায়, যে সব আমলের মাধ্যমে জান্নাতে ঘর নির্মিত হয়,
জান্নাতের ঘর, নতুন ঘর তৈরির দোয়া।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আশা করি এই আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছেন যে কোন আমল করলে জান্নাতে
ঘর নির্মাণ হয়, এ দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছে। তাই
আপনাদেরকে এ কথাই বলব যে, এই আর্টিকেলে যেগুলো আমলের বিষয় বলা রয়েছে সেগুলো আমল
আপনারা যদি সঠিকভাবে আমল করতে পারেন তাহলে জান্নাতে ঘর নির্মাণ করতে পারবেন। এবং
আল্লাহর কাছে অনেক সম্মানীয় ব্যক্তি হিসেবে উপস্থিত হতে পারবেন। তাই এই
আর্টিকেলের যেগুলো আমলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো বিষয় আমল করুন।
আরো পড়ুনঃ মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা
আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে
অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে এবং কি অন্য মুসলিম ভাইবোনদের কাছে
শেয়ার দিয়ে পৌছে দিবেন। যাতে করে তারা জান্নাতের ঘর নির্মাণের আমল
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে। এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার
জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url