সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর ফজিলত - ইস্তেগফারের ফজিলত ঘটনা - ইস্তেগফারের দোয়া

প্রিয় পাঠক, পবিত্র কুরআন মাজীদে বহু আয়াতে আল্লাহ তায়ালা উল্লেখ করেছেন ইস্তেগফারের। কারণ আমরা মানুষ সবাই গুনাগার তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের দয়া করে ক্ষমা করার সুযোগ করে দিয়েছেন সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর মাধ্যমে। তাই সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর ফজিলত সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর ফজিলত - ইস্তেগফারের ফজিলত ঘটনা - ইস্তেগফারের দোয়া

সাইয়েদুল ইস্তেগফার এমন একটি দোয়া যা তেলাওয়াতের মাধ্যমে আমাদের জীবনের গুনাহ মাফ হয়ে যায় শিরক ব্যতীত। তাই সকল পাপ ক্ষমা চাওয়ার জন্য সাইয়েদুল ইস্তেগফার আমাদের পড়া আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সমস্ত পাপ মোচনের একটি উপায় হল সাইয়েদুল ইস্তেগফার পাঠ করা। তাই সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর ফজিলত জানতে এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ.

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক, সাইয়েদুল ইস্তেগফার এমন পাওয়ারফুল একটি দোয়া। যে দোয়া কোন ব্যক্তি যদি সকালে পড়ে তাহলে সারা দিনের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলে জান্নাতে যাবে এবং রাতে যদি সাইয়েদুল ইস্তেগফার পাঠ করে তাহলে সারারাতের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলে জান্নাতে যাবে। তাই সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর ফজিলত সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য অতি জরুরী তাই আজকের আর্টিকেলে যেগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা হল। 

সাইয়েদুল ইস্তেগফারের ফজিলত, ইস্তেগফারের ফজিলত ঘটনা, ইস্তেগফারের ফজিলত আল কাউসার, ইস্তেগফারের দোয়া, তাওবা ও ইস্তেগফারের পার্থক্য, ইস্তেগফারের হাদিস ও ইস্তেগফার করার নিয়ম। এই সকল বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই সাইয়েদুল ইস্তেগফারের ফজিলত জানতে এই আর্টিকেল স্টেপ বাই স্টেপ মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর ফজিলত

সাইয়েদুল ইস্তেগফার এমন একটি "দোয়া" যা পাঠ করলে আমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা হয়ে যায়। এবং কি সাইয়েদুল ইস্তেগফার পাঠ করার পর মারা গেলে জান্নাতি হওয়া যায় তাই চলুন সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর ফজিলত জেনে নেওয়া যাক।

মা আয়েশাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন মানুষ যদি তার পাপকে শিকার করে বা স্বীকৃতি দেয় তারপরে যদি তওবার জন্য সাইয়েদুল ইস্তেগফার, পাঠ করেন তবে তার সমস্ত গুনাহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন। (বুখারী মুসলিম)
সাইয়েদুল ইস্তেগফার এমন একটি "দোয়া" যাকে ক্ষমা চাওয়ার সবচাইতে বড় মাধ্যম বলে মনে করা হয়। ক্ষমা চাওয়ার জগতে সবচাইতে ভিন্ন ধরনের ব্যতিক্রম দোয়া হলো সাইয়েদুল ইস্তেগফার। এ দোয়া ফজিলত অনেক বেশি। যদি কোন ব্যক্তি ফজরে সালাতের পর সাইয়েদুল ইস্তেগফার পাঠ করে, তবে সারা দিনের মধ্যে ওই ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে সরাসরি জান্নাতে যাবে। এবং কোন ব্যক্তি রাতের বেলা যদি সাইয়েদুল ইস্তেগফার পাঠ করে তবে সারারাতের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলে সে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে।

ইস্তেগফারের ফজিলত ঘটনা

ইস্তেগফারের ফজিলত এত এত বেশি যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার পাঠ করেন তবে তাকে মুস্তাজে আবু তাওয়া বানিয়ে দিবেন। "সুবহানাল্লাহ" মস্তাজে আবু দাওয়া যাকে আল্লাহ বানিয়ে দিবেন তার দোয়া করতে দেরি হতে পারে কিন্তু কবুল হতে দেরি হবে না। এত বরকতময় ফজিলত সম্পন্ন দোয়াটি হল ইস্তেগফার। তাই চলুন ইস্তেগফারের ফজিলত ও ঘটনা জানতে এই অধ্যায় মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ইমামে আহমেদ বিন হাম্বল, হাম্বালি মাযহাবের শ্রেষ্ঠ ইমাম, এবং এই মাযহাবের আরোক, বাহোক, প্রতিষ্ঠাতা! তিনি ছিলেন জগৎ বিখ্যাত মুহাদ্দিস। আহমদ বিন হাম্বাল পুরো জীবনটাই হাদীস সংগ্রহের কাজে ব্যয় করেছেন। এবং একক স্বতন্ত্রের সবচাইতে বড় হাদিসের কিতাব সেটি নাম হল মুসনাদে আহমেদ বিন হাম্বাল।

তো আহমেদ বিন হাম্বল এক শীতের কনকনে ঠান্ডা রাতে হাদিস সংগ্রহের জন্য সফরে বেরিয়ে ছিলেন। সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ায় তিনি এক মসজিদে মাগরিব এবং এশার সালাত আদায় করলেন এবং তিনি ভাবলেন যে ফজরের সালাতও আমি এই মসজিদেই পড়বো। শীতের রাত যাওয়ার তেমন জায়গাও নেই তো তিনি তার থলি থেকে কাঁথা বের করে হাদিস পড়তে শুরু করলেন এবং ভাবলেন যে হাদিস পড়তে পড়তে সারারাত কাটিয়ে দেবো।
ঠিক সেই সময় মসজিদের দারোয়ান এসে বললেন যে, মুরুব্বী মসজিদে থেকে বের হন মসজিদে থাকা যাবে না আপনি বের হন। আহমেদ বিন হাম্বল মসজিদের দারোয়ানের কাছে অনুরূপী অনুরোধ করে বললেন বাবা এই শীতের রাতে আমার যাওয়ার জায়গা নেই আমি সারারাত এই মসজিদেই থাকতে চাই এবং ফজরের সালাত আদায় করে আমি চলে যাব।

মসজিদে দারোয়ান বলল না থাকা যাবে না আপনি বের হন নইলে আপনাকে গাট্টি পটলা ফেলে দিয়ে আপনাকে ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবো। মসজিদের দারোয়ান চিনতে পারেনাই যে এটি এই যুগের সবচাইতে বড় মুহাদ্দিস আহমেদ বিন হাম্বালি এই ব্যক্তি।

তো আহমেদ বিন হাম্বল আর কি করবেন তার ব্যাগ নিয়ে শীতের মধ্যে কাঁপতে কাঁপতে বেরিয়ে বললেন এবং হাঁটতে হাঁটতে সামনে দেখেন একটি বাজার। এক যুবক রুটি দোকানদার তিনি রুটি ভাবছেন তো আহমেদ বিন হাম্বাল তার দোকানে আগুন জ্বলা দেখে তার কাছে গেলেন এবং তাকে সালাম দিলেন বললেন

বাবা শীতের রাতে বিপদে পড়েছি যাওয়ার কোন জায়গা নেই তোমার রুটির চুলার কাছে সারারাত যদি আমি আগুনটা পাই তাহলে কি তোমার কোন সমস্যা হবে? রুটি ভাজা যুবকটি বলে ওঠে না না কোন সমস্যা হবে না আপনি নিশ্চিন্তে আগুন তাপান কোন সমস্যা নাই।

এটি তো আরো খুশির বিষয় যে আমি একটি মুসাফিরকে সাহায্য করতে পারছি। যুবকটির কথা শুনে আহমদ বিন হাম্বল তাকে ধন্যবাদ দিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানালেন। এবং তিনি হাদিস পড়তে শুরু করলেন হাদিস পড়তে পড়তে তিনি লক্ষ্য করলেন যে রুটি ভাজা যুবকটি রুটি বানায় এবং আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ বলে বলে রুটি বানাচ্ছেন।

এমন কি রুটি বিক্রি করলেও বলছি আস্তাগফিরুল্লাহ টাকা নিয়ে বাক্সে রাখলেও বলছে আস্তাগফিরুল্লাহ। ইমাম আহমেদ বিন হাম্বান তো অবাক ঘটনা কি যাই করছে শুধু আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করছে।

তো আহমদ বিন হাম্বল তার হাদিসের বইটি বন্ধ করে যুবকটিকে বললেন বাবা তুমি যাই করছো শুধু আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করছো ঘটনা কি বলতো বাবা। যুবকটি বলে উঠলেন এটি আমার একটি চিরচরিত আমল যা আমি সব সময় পাঠ করি যার ফলে আল্লাহ তায়ালা আমাকে মুস্তাজে আবু তাওয়া বানিয়ে দিয়েছেন। "সুবহানাল্লাহ"

এবং কি যুবক বললেন যে আমি এই জীবনে যত দোয়া আল্লাহর কাছে করেছি সব দোয়াই আল্লাহ কবুল করে নিয়েছেন। সুবাহানাল্লাহ, সুবাহানাল্লাহ, সুবাহানাল্লাহ ইমাম আহমেদ বিন হাম্বল যুবকটির কথা শুনে রীতিমতো অবাক। তুমি এ জীবনে যত দোয়া করেছো সবই কবুল হয়েছে বলে হ্যাঁ আমি জীবনে যত দোয়া করেছি সব দোয়াই কবুল হয়েছে

শুধু একটি দোয়া কবুল হয়নি? ইমাম আহমেদ বিন হাম্বল বললেন সেটি আবার কি বলতো বাবা যুবকটি বললেন আল্লাহর কাছে আমি অনেকবার দোয়া করেছি শুনেছি এই জামানার সবচাইতে বড় মুহাদ্দিস নাকি আহমেদ বিন হাম্বাল। আল্লাহর কাছে আমার এই একটি চাওয়া যে আহমেদ বিন হাম্বল এর সাথে যেন আমি মুসাফা করতে পারি এবং তার কপালে একটি চুমু দিতে পারি।

আহমদ বিন হাম্বল কে যুবকটি এ কথা বললেন। যুবকটি আরো বললেন আজও আল্লাহ তাআলা এই দোয়াটি কেন যে কবুল করেন না আমি জানি না। এই কথা শুনা মাত্রই আহমদ বিন হাম্বান চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলেন না। যুবকটিকে বললেন যুবক আল্লাহ তাআলা তোমার এই আশাটা পূরণ করে দিয়েছেন আহমদ বিন হাম্বালের সাথে দেখা করতে তোমার তার দরবারে যেতে হবে না, আহমেদ বিন হাম্বল তোমার সাথে দেখা দেওয়ার জন্য ছুটে এসেছে আমি হলাম সেই আহমেদ বিন হাম্বল।

যুবকটি আহমেদ বিন হাম্বল এর মুখে এই কথা শুনে যুবকটি আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না। এবং আহমেদ বিন হাম্বালের হাত ধরে তিনি মুসাফার করলেন এবং আহমদ বিন হাম্বলের কপালে চুমু দিয়ে দেয়। এবং আহমেদ বিন হাম্বালের কাছে যুবকটি বললেন ও ইমাম আহমদ বিন হাম্বল। আল্লাহ তা'আলা আমার কোন চাওয়ায় অপূর্ণ রাখলেন না এ চাওয়াটাও পূর্ণ করে দিলেন।
তাহলে আশা করি বুঝতে পারলেন যে মুস্তাজে আবু তাওয়া কতটা সম্মানের আর কতটা মহব্বতের যে, কোন দোয়া আল্লাহ অপূর্ণ রাখেন না সকল দোয়াই পূর্ণ করে দেন। তাই আপনাদের কাছে যেটুকু সময় রয়েছে প্রতিনিয়ত ইস্তেগফার পাঠ করবেন। আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।

ইস্তেগফারের দোয়া

ইস্তেগফারের দোয়া

ইস্তেগফারের দোয়া

তাওবা ও ইস্তেগফারের পার্থক্য

তওবা যার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা আর ইস্তেগফারের মানে হল তওবার মাধ্যমে দিয়ে যেগুলো গুনাহ করেছেন ওগুলো মাফ হয়ে যাবে এবং যেগুলো পাপ কাজ করেছেন ওগুলো থেকে পরবর্তী পর্যায়ে বিরত থাকতে হবে। এটাই তওবা ও ইস্তেগফারের পার্থক্য।

এক কথায় তওবার মূল মাধ্যম হলো ইস্তেগফার। আপনি যদি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে সঠিক নিয়তে যদি ইস্তেগফার প্রতিনিয়ত পাঠ করতে পারেন, তবে আল্লাহ তা'আলা আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন। এবং যেগুলো ভুল সংশোধনের জন্য আপনি ক্ষমা চাইলেন সেগুলো কর্মকাণ্ড থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে।
এবং প্রতিদিন ফজরের পর সাইয়েদুল ইস্তেগফার পাঠ করবেন যার ফলে সারাদিনের মধ্যে আপনি মারা গেলে জান্নাতে যেতে পারবেন। এবং সন্ধ্যা পর আপনি যদি ইস্তেগফার পাঠ করেন তবে সারারাতের মধ্যে আপনি যদি মৃত্যুবরণ করেন তবে জান্নাতে যেতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি যদি যেটুকু সময় পান আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ বলে আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে পারেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন তওবা ও ইস্তেগফারের পার্থক্য সম্পর্কে।

ইস্তেগফারের হাদিস

মা আয়েশাহ (রাঃ) বলেন রাসুল (সাঃ) বলেছেন যে কোন ব্যক্তি যদি এই দোয়া পরে ক্ষমা চায় তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন।

দোয়া হলোঃ
  • উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি, লা ইলাহা ইল্লা হুয়া,
  • অর্থঃ আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা চায়! যিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই।
  • উচ্চারণঃ আল হাইয়ুল কাইয়ুম,
  • অর্থঃ তিনি হচ্ছেন চিরঞ্জীবী, তিনি হচ্ছেন চিরস্থায়ী।
  • উচ্চারণঃ ওয়াতুবু ইলাইহে,
  • অর্থঃ আমি তার নিকটে ফিরে যেতে চাই!
এ দোয়াটি যদি কোন ব্যক্তি যত বড়ই পাপ করুক না কেন শিরক ব্যতীত আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন। এই দোয়াটি পড়ার পাশাপাশি আপনি সকাল সন্ধ্যায় সাইয়েদুল ইস্তেগফার পাঠ করতে পারেন সাইয়েদুল ইস্তেগফার আপনি যদি সকালে পাঠ করেন তাহলে সারা দিনের মধ্যে মারা গেলে জান্নাতে যাবেন। এবং আপনি যদি সন্ধ্যায় সাইয়েদুল ইস্তেগফার পাঠ করেন তাহলে সারা রাতের মধ্যে মারা গেলে জান্নাতে যাবেন। এটি হলো ক্ষমা চাওয়ার বড় মাধ্যম। (বুখারী মুসলিম)

ইস্তেগফার করার নিয়ম

তওবা শব্দের অর্থ ফিরে আসা। আর ইস্তেগফার শব্দের অর্থ ক্ষমা চাওয়া। সাধারণত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার মূল মাধ্যম হলো আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ। আপনার যতবার ইচ্ছা আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ বলে ক্ষমা চাইতে পারেন।
ক্ষমা চাওয়ার কোন সীমারেখা নেই আপনি যত চাইবেন ততবার পড়তে পারেন। তবে হাদিসে এসেছে রাসূল (সাঃ) আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনে ১০০ বারেরও বেশি ইস্তেগফার পাঠ করতেন। এবং বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতেন ইস্তেগফারের মাধ্যমে।

এছাড়াও আরেকটি দোয়া পড়তে পারেন দোয়াটি হলঃ
  • উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি, লা ইলাহা ইল্লা হুয়া,
  • অর্থঃ আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা চায়! যিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই।
  • উচ্চারণঃ আল হাইয়ুল কাইয়ুম,
  • অর্থঃ তিনি হচ্ছেন চিরঞ্জীবী, তিনি হচ্ছেন চিরস্থায়ী।
  • উচ্চারণঃ ওয়াতুবু ইলাইহে,
  • অর্থঃ আমি তার নিকটে ফিরে যেতে চাই!
এ দোয়াটি পাঠ করলে শিরক ব্যতীত যত বড় পাপী হোক না কেন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন তাই আস্তাগফিরুল্লাহ, পাঠ করার পাশাপাশি এই দোয়া পরেও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন।

পোস্ট ট্যাগ

সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর ফজিলত,ইস্তেগফারের ফজিলত ঘটনা,ইস্তেগফারের ফজিলত আল কাউসার,ইস্তেগফারের দোয়া,তাওবা ও ইস্তেগফারের পার্থক্য,ইস্তেগফারের হাদিস,ইস্তেগফার করার নিয়ম।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আশা করি এই আর্টিকেল থেকে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। আপনাদেরকে এটাই বলব যে, এই আর্টিকেলে যেগুলো মাধ্যম উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো আপনারা প্রতিনিয়ত যদি মেনে চলেন তাহলে আল্লাহর কাছে আপনারা শ্রেষ্ঠ বান্দা হিসেবে উপস্থিত হতে পারবেন। তাই পাপ কাজ থেকে ফিরে এসে ইস্তেগফারের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান।

আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে এবং কি প্রত্যেকটি মুসলিম ভাই-বোনদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌঁছে দিবেন। যাতে করে তারা ইস্তেগফারের সঠিক ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারে। এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
\