কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা - কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়

প্রিয় পাঠক, আমাদের অন্যতম পরিচিত একটি ফল হল হলুদ। হলুদ সাধারণত রান্নার কাজেই ব্যবহৃত হয় বলে আমরা জানি। কিন্তু, হলুদের কিছু গুনাগুন রয়েছে যা ত্বক শরীর ও পেটের সমস্যা থেকে সমাধান করে হলুদ এটা কি আপনারা জানেন? তাই হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা - কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়

এই আর্টিকেলে হলুদের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে যা হয়তোবা আপনারা আগে কোনদিন শোনেননি। তাই হলুদের কিছু আশ্চর্য উপকারিতা সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ.

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক, হলুদ আমরা অনেকেই চিনি কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা, হলুদের কিছু আশ্চর্য উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের মানব শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। তাই আজকের এই আর্টিকেলে হলুদের কিছু আশ্চর্য উপকারিতা সম্পর্কে তুলে ধরেছি যেমন, কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা, কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়, সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি হয়, ত্বকে কাঁচা হলুদের উপকারিতা,

কাঁচা হলুদ মুখে রেখে দেওয়ার নিয়ম, হলুদের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম, কাঁচা হলুদ দিয়ে দুধ খাওয়ার উপকারিতা, ও কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম। এই সকল বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে তাই আপনি যদি হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেল স্টেপ বাই স্টেপ মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, হলুদের মধ্যে এক ধরনের বায়ু একটিভ কম্পাউন রয়েছে যার নাম হল কারকিউমিন। এই কারকিউমিন আমাদের শরীরে হেলদ বেনিফিট দিতে সাহায্য করে। কারকিউমিন এর উপকারিতা পাওয়ার জন্য সাধারণত আমরা হলুদকে বিশেষ উপকারিতা বলে গণ্য করি।

কাঁচা হলুদের রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ভিটামিন বি6, আইরন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিন সহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকরী উপাদান রয়েছে হলুদে। এ থেকে বোঝা যায় হলুদ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী।

আপনি কাঁচা হলুদ খান আর গুঁড় হলুদ খান না কেন দুটোতেই কারকিউমিনের মাত্রা বিদ্যমান রয়েছে তবে গবেষণা করে দেখা গেছে যে এক চামচ গুরু হলুদের চেয়ে এক টুকরো কাঁচা হলুদে কারকিউমিন এর মাত্রা বেশি থাকে। যা আমাদের শরীরের হেলদের জন্য ভীষণ উপকারী।

তবে হলুদ খাওয়ার জন্য কিছু সতর্কতা রয়েছে, যেমন আপনি গুড়ো হলুদ বাইরে কোন জায়গা থেকে কিনতে চাইলে খুব সাবধানতা অবলম্বন করবেন কেননা বাইরের হলুদের গরুতে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মিক্স করা হয় যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই বিশ্বস্ত বাহিরে লোকের থেকেই আপনি হলুদের গুড়ো সংগ্রহ করে খেতে পারেন। তবে আপনি যদি কাঁচা হলুদ খেতে পারেন তাহলে উপকারিতা একটু বেশি পাবেন গরু হলুদের চেয়ে।

সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি হয়

প্রিয় পাঠক, সাধারণত হলুদ আমরা রান্নার কাজেই ব্যবহার করে থাকি বা ত্বকের কাজে ব্যবহার করে থাকি এটা কম বেশি আপনারা অনেকেই জানেন। শুধু রান্নার কাজেই নয় কাঁচা হলুদের এমন কিছু উপকারিতা রয়েছে যা সেবনের ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
  • ডায়াবেটিস কমাতে কাঁচা হলুদের উপকারিতাঃ অধিক গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যে, প্রতিনিয়ত সকালে যদি কাঁচা হলুদ খাওয়া যায় তবে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি করে যার ফলে শরীরে ইনসুলিনের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে রক্তসর শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে করে, যার ফলে ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।
  • লিভারের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাঁচা হলুদের উপকারিতাঃ কাঁচা হলুদ লিভারকে ইস্ট্রং ভাবে সুস্থ রাখতে কাঁচা হলুদের কোন বিকল্প নেই। কারণ কাঁচা হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন এই উপাদান লিভারকে স্ট্রং রাখতে সাহায্য করে। এবং লিভারের কোন প্রকার রোগ আক্রমণ করতে পারে না। এবং কি লিভারে মারাত্মক ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
  • হাঁচি-কাশি কমাতে কাঁচা হলুদের উপকারিতাঃ কাঁচা হলুদে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিস রয়েছে যা নানা রোগ থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। হলুদের মধ্যে থাকা এন্টি ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ রেস্পিরেটারি ট্রাক্ট ইনফেকশন সর্দি কাশি কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে কাঁচা হলুদের উপকারিতাঃ আপনি যদি প্রতিনিয়ত দুধের সঙ্গে হলুদ মিশানো জুস খেতে পারেন তবে ত্বকের ভিতরে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়, এবং তার সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি হয় যার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হয়।
  • হজম ক্ষমতা বাড়াতে কাঁচা হলুদের উপকারিতাঃ একাধিক গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেতে পারলে হজমের সহায়ক পাচক রসের রক্ষণ বেড়ে যায়। ফলে বদহজমের আশঙ্কা কমে, এবং তার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাস অম্বল এবং এসিডিটির সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে, যার ফলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
  • ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর করে কাঁচা হলুদের উপকারিতাঃ হলুদ মিশানো দুধ আপনি যদি সেবন করেন তাহলে আপনার ত্বকের ব্রণ এবং ত্বকের উপরে থাকে কালো কালো সাপ সাপ দাগ দূর করবে। আপনি যদি আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চান এবং বিভিন্ন ত্বকের জীবাণু থেকে আপনার ত্বককে মুক্ত রাখতে চান? তাহলে আজ থেকেই হলুদ ও দুধের মিশ্রণ খেতে শুরু করুন।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁচা হলুদের উপকারিতাঃ একাধিক গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত হলুদ সেবন করার ফলে শরীরে বিশেষ উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি শুরু করে। যার ফলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটে, আর একবার যদি আপনার মেটাবলিজম রেট আপনার শরীর থেকে বের হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার ওজন দ্রুত কমতে শুরু করবে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাঁচা হলুদের উপকারিতাঃ আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। আর এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে কয়েক চামচ হলুদ মিক্স করে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। এই উপাদানটি খাওয়ার ফলে ইমিউনিটিকে মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে কোন রোগী আক্রমণ করতে পারে না।
  • মাথার যন্ত্রণা কমাতে কাঁচা হলুদের উপকারিতাঃ আপনার মাথাব্যথা সমস্যা শুরু হলে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে দুই এক চামচ হলুদ মিক্স করে খেয়ে নিবেন। দেখবেন আপনার মাথা ব্যাথা অনেক কমে গেছে। যন্ত্রণা কমার কারণ হলো হলুদে থাকা কারকিউমিন এবং এন্ট্রি ইনফ্লেমেটরি উপাদানটি আপনার শরীরের অন্দরে প্রদাহ কমায়, যার ফলে মাথা যন্ত্রণা বা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়

প্রিয় পাঠক, প্রত্যেকটি জিনিসেরই উপকারিতার পাশাপাশি তার অপকারিতা হয়ে থাকে। তার মধ্যে হলুদ একটা যার অতিরিক্ত ব্যবহার বা ব্যবহারের ভুলত্রুটির কারণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। তাই চলুন এই স্টেপে থেকে জেনে নেওয়া যাক হলুদের কিছু অপকারিতা সম্পর্কে।
  • গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বা স্তন্দ্বী মায়েদের জন্য হলুদের অপকারিতাঃ হলুদ গর্ভবতী মহিলা এবং যে মহিলা শিশুদের দুধ খাওয়ান তাদের জন্য হলুদ নিরাপদ নয়। তাই শুধু রান্না ছাড়া হলুদ খাওয়া একদমই নিরাপদ নয় এগুলো মহিলাদের জন্য।
  • কিডনির সমস্যায় হলুদের অপকারিতাঃ যে সকল ব্যক্তির কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের হলুদ না খাওয়াই উত্তম। কেননা হলুদে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট রয়েছে যা সেবন করলে শরীরের ক্যালসিয়াম এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে কিডনিতে স্তন তৈরি করতে পারে, যার ফলে আপনার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই যে সকল ব্যক্তির কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা হলুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • সার্জারির পেশেন্টের জন্য হলুদ খাওয়ার অপকারিতাঃ যে সকল ব্যক্তি সার্জারি করাবেন তারা হলুদ না খাওয়াই উত্তম। হলুদের অপকারিতার ফলে ব্লাডের রক্ত চোলাচল স্লো হয়ে যেতে পারে। যার ফলে সার্জারি রোগীর বিপদের আশঙ্কা হতে পারে, তাই সার্জারির পূর্বে অবশ্যই হলুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • ব্লাড সুগার যাদের কম রয়েছে তাদের জন্য হলুদের অপকারিতাঃ যে সকল ব্যক্তির ব্লাড সুগার খুবই কম রয়েছে তাদের রান্না ব্যতীত হলুদ খাওয়া একদমই উচিত নয়! এর প্রধান কারণ হলো হলুদ খাবার ফলে আপনার ব্লাড সুগার লেভেল আরো কমিয়ে দিতে পারে, তাই যে সকল ব্যক্তির ব্লাড সুগার খুবই কম রয়েছে তারা হলুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবাদ ঘটাতে পারে হলুদঃ যে সকল পুরুষ বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন তারা হলুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। হলুদ টেসটেটোরোল লেভেল কমিয়ে দিয়ে, স্পামের গতিবিধ কমিয়ে দিতে পারে, তাই বাচ্চা নেওয়ার পূর্বে হলুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ত্বকে কাঁচা হলুদের উপকারিতা

আপনি যদি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল বৃদ্ধি করতে চান? তবে আপনি নিয়মিত কাঁচা হলুদের রস মধুতে মিক্স করে খেতে পারেন কিংবা এক টুকরো কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা আপনি রান্নার যে গরু হলুদের মিশ্রণ রয়েছে তা আপনি এক গ্লাস দুধের সঙ্গে মিক্স করে খেতে পারেন। এই উপাদানটি নিয়মিত সেবন করার ফলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি হবে।

এছাড়াও আপনি যদি হলুদ চা করে খান তাহলে আপনার গলা ব্যথা সমস্যা থেকেও দূর হবে খুশখুসে কাশি থেকেও দূর হবে পাশাপাশি আপনার সৌন্দর্য আস্তে আস্তে বৃদ্ধি হবে, তাই প্রতিনিয়ত এক চা চামচ করে হলুদ গরম পানি করে চা তৈরি করে আপনি খেতে পারেন।

হলুদ সাধারণত আন্টি ফাংগাল এন্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে তাই আপনার স্কিনের উপরে যত কালো দাগ বাব ব্রণের সমস্যা রয়েছে সেগুলোকে মুক্ত রাখবে তাই আপনি যদি কাঁচা এক টুকরো হলুদ নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হতে দ্বিগুণ কাজ করবে।

কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম

অনেকের আপনাদের স্ক্রিনে ব্রণের সমস্যা রয়েছে এছাড়াও স্কিনে সাফ সাফ কালো দাগ হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি সঠিক নিয়মে আপনার স্কিনে হলুদ লাগাতে পারেন তাহলে স্ক্রিনের ব্রণের বা কালো কালো সাপ সাপ দাগ খুব সহজেই দূর হবে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক স্ক্রিনে সঠিকভাবে কাঁচা হলুদের ব্যবহার।

কাঁচা হলুদ রূপচর্চার উন্নত মানের একটি। যা বহু কাল থেকে রূপচর্চার কাজে কাঁচা হলুদের ব্যবহার হয়ে আছে। কাঁচা হলুদের রয়েছে এন্টি এইজিং উপাদান রয়েছে যা ব্যবহারের ফলে ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও হলুদ অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে তাই ব্রণ দূর করতে ও ত্বকের ক্ষত সারাতে হলুদের উপকারিতা অতুলনীয়।

ব্রণ দাগ দূর করতে প্রাকৃতিক উপাদান অনেক কমই রয়েছে, হলুদের মিশ্রণ ত্বকের কালো দাগ দূর করতে ও ব্রণের দাগ দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই হলুদের সাথে কিছু মিশ্রণ মিক্স করে আপনি যদি আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন তবে ত্বকের ব্রণের দাগ এবং কালো দাগ খুব সহজেই দূর হবে।

ব্রণের দাগ দূর করতে ও কালো দাগ দূর করতে হলুদের সঙ্গে কিছু মিশ্রণ নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
  • ব্রণের সমস্যা দূর করতে কাঁচা হলুদের বাটা।
  • আঙ্গুরের রস।
  • ও গোলাপ জল।
এই তিনটি উপাদান একসঙ্গে মিক্স করে আপনার ত্বকের ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন এবং পাঁচ থেকে দশ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে ব্যবহারের করার ফলে আপনার ত্বকের ব্রণ দূর হবে এবং ত্বকে কোন প্রকার ইনফেকশন হবে না।

এ পদ্ধতি ছাড়াও আরেক পদ্ধতিতে ত্বকের ব্রণ সারানো যায় প্রথমে আপনি হলুদ বাটার রস এবং নিম পাতায় বাটার রস একসঙ্গে নিন। এবং এই দুটি মিশ্রণ ভালোভাবে মিক্স করে আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন রসগুলো আপনার ত্বক থেকে শুকিয়ে গেলে গোলাপজল দিয়ে হালকা করে মুছে নিন, এবং পানির দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই পদ্ধতি অবলম্বন করলেও আপনার ত্বক থেকে ব্রণের বা কালো দাগ খুব সহজেই দূর হবে।

কাঁচা হলুদ দিয়ে দুধ খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, হলুদ ও দুধের উপকারিতা সম্পর্কে হয়তোবা আপনারা জানেন না? তাই আজকের স্টেপে দুধ ও হলুদের মিশ্রণের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে হলুদের ও দুধের মিশ্রণের উপকারিতা জানতে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

অতিরিক্ত মাত্রায় প্রত্যেকটি জিনিসেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তাই হলুদ ও দুধের মিশ্রণ কতটুক পরিমান খাওয়া উচিত তা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

গুড়া দুধ আপনি দুধের সঙ্গে খেতে পারেন তবে একটু রিক্স রয়েছে কারণ বাজারে যেগুলো গুড়া হলুদ পাওয়া যায় সেগুলো ভেজাল হয়ে থাকে, তাই আপনি বাজার থেকে কাঁচা হলুদ নিয়ে এসে কাঁচা হলুদের পেস্ট তৈরি করে নিবেন এবং এক গ্লাস গরম দুধ হালকা ঠান্ডা করে নিয়ে তার মধ্যে কাঁচা হলুদের পেস্ট মিশ্রণ দুধের সঙ্গে মিক্স করতে হবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কাঁচা হলুদের কারণে বেশি হলুদ দুধের সঙ্গে নেওয়া যাবে না সর্বোচ্চ ২৫০ মিলি গ্রাম থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত আপনি একদিনে খেতে পারেন, এর বেশি খাওয়া যাবেনা।

এইভাবে আপনারা প্রতিদিন নাস্তার সময় করে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে হলুদের মিশ্রণ খেতে পারেন এতে করে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই মিশ্রণটি খাওয়ার ফলে শরীরে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় জেনে নেওয়া যায়।
  • আপনি যদি নিয়মিত হলুদ ও দুধের মিশ্রণ সেবন করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করবে। সাধারণত ৩০ বছর বয়স পার হয়ে গেলেই মানুষের শরীর থেকে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে। আর আপনি যদি প্রতিনিয়ত হলুদ ও দুধের মিশ্রণ সেবন করতে থাকেন তবে বয়স পার হয়ে গেলেও আপনার শরীরের হার কখনোই ক্ষয় হবে না হলুদ ও দুধের মিশ্রণ খাবার ফলে।
  • কোমরের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে অনেক কম বয়সী এবং বয়স্কদেরও কোমরের ব্যথার মতো সমস্যা হয়ে থাকে। এ ব্যথার কোন বয়স লাগে না এর প্রধান কারণ হলো কোমরের হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়ার ফলে এই সমস্যা হতে পারে। বা অন্য কোন কারণেও কোমরের ব্যথা যে কারো হতে পারে। তো আপনাদের এমন কোমরের যদি কোন ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে হলুদ ও দুধের মিশ্রণ সেবন করতে পারেন। যার ফলে আপনাদের কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • যে সকল ব্যক্তির বাত ব্যথার সমস্যা রয়েছে বা জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা রয়েছে তারা যদি নিয়মিত দুধ ও হলুদের মিশ্রণ সেবন করেন তবে বাত ব্যথা এবং জয়েন্টে পয়েন্টে যত ব্যথায় হোক না কেন সকল ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবেন নিয়মিত দুধ ও হলুদের মিশ্রণ খাবার ফলে।
  • মুখে ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে হলুদের ও দুধের মিশ্রণ। যে সকল ব্যক্তির ত্বকে ব্রণের সমস্যা রয়েছে কোন কিছুতেই ভালো হচ্ছে না তারা নিয়মিতভাবে দুধ ও হলুদের মিশ্রণ পরিমান মত সেবন করলে আশা করা যায় তাদের ত্বকের ব্রণের দাগ দূর হবে। এবং ভিতর থেকে জীবাণু বের হয়ে ত্বকের দাগ দূর হয়ে সুন্দর উজ্জ্বলতা দিতে সাহায্য করবে এই মিশ্রণ।
  • বয়সের ছাপ দূর করে দুধ ও হলুদের মিশ্রনের উপকারিতা অনেক যে সকল ব্যক্তির অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা বা টেনশনের কারণে ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ে গিয়েছে তারা নিয়মিত নিয়ম মেনে দুধ ও হলুদের মিশ্রণ সেবন করলে তাদের ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর হবে। এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আশা করি এই আর্টিকেল থেকে হলুদের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। এরপরও যদি আপনাদের কোন মতামত বা জিজ্ঞাসা থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলের নিচে দেওয়া কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করবেন ধন্যবাদ

আমাদের এই আর্টিকেলটি পরে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনি এই ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখবেন এবং আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌঁছে দিবেন। এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য "ধন্যবাদ"

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
\