গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা - ১ বছর বাচ্চাদের গরুর দুধ খাওয়ানো যায়
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন পোস্ট হয়েছে ক্লিক করুনপ্রিয় পাঠক, আপনি কি গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? বা ১
বছর বাচ্চাদের গরুর দুধ খাওয়ানো যায় কি না তা জানতে চান? তাহলে আপনি একদম ঠিক
আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন। কেননা এই আর্টিকেলে গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা ও এক
বছর বাচ্চাদের গরুর দুধ খাওয়ানো যায় কি না তা তুলে ধরা হয়েছে।
তাই আপনারা যদি গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা ও ১ বছর বাচ্চাদের গরুর দুধ
খাওয়ানো যায় কি না তা সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি
আপনার জন্য। কেননা এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে গরুর দুধের
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ.
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আপনারা অনেকেই জানেন গরুর দুধের উপকারিতা অনেক। কিন্তু আমাদের
শরীরের জন্য গরুর দুধ কতটা উপকারী বা গরুর দুধ আমাদের শরীরে যেগুলো পুষ্টির
চাহিদা পূরণ করে তা আপনারা অনেকেই জানেন না। তাই এই আর্টিকেলে গরুর দুধের
উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১ বছর বাচ্চাদের গরুর দুধ খাওয়ানো যায় কিনা তা এই
আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও যেগুলো বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেলে
বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তা হলো;
গরুর দুধে পানি মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা, গরুর দুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া,
বাচ্চাদের গরুর দুধ খাওয়ানোর সময়, দুই বছর পর থেকে শিশুকে গরুর দুধ খাওয়ানোর
নিয়ম। এই সকল বিষয় সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই
আপনারা যদি গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা বা ১ বছর বাচ্চাদের গরুর দুধ খাওয়ানো
যায় কি না। তা সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলের প্রত্যেকটি স্টেপ মনোযোগ সহকারে শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।
গরুর দুধে পানি মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
আপনি কি গরুর দুধে পানি মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই
স্টেপটি আপনার জন্য কেননা এই স্টেপে গরুর দুধে পানি মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
তুলে ধরা হয়েছে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক গরুর দুধে পানি মিশে খাওয়ার উপকারিতা
সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়।
গরুর দুধে পানি মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
খাঁটি গরুর দুধের পুষ্টি গুণে ভরপুর আর যদি দুধের সাথে পানি মিশিয়ে খাওয়া যায়
তাহলে ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণের উপকারিতা পাওয়া যায়। গরুর দুধে রয়েছে
ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, ও খনিজ পদার্থ যা স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে। গরুর দুধে পানি মিশিয়ে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য যে উপকার হয়।
- গরুর দুধের সাথে পানি মিশিয়ে খাওয়ার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
- পানি মিশ্রিত গরুর দুধ খেলে শরীরের শক্তির মূল উৎস হিসেবে কাজ করে যা দ্রুত দেহের শক্তি যোগায়।
- পানি মিশ্রিত গরুর দুধ খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং পেটের সমস্যা দূর হয়।
- পানি মিশ্রিত গরুর দুধ পান করলে রক্তের শর্করার মান নিয়ন্ত্রণে থাকে। আরো অনেক অনেক উপকারিতা হয়েছে যা আমাদের অজানা।
১ বছর বাচ্চাদের গরুর দুধ খাওয়ানো যায়
আপনি কি ১ বছর বাচ্চাদের গরু দুধ খাওয়ানো যায় কি না তা জানতে চান? তাহলে এই
স্টেপটি আপনার জন্য। কেননা এই স্টেপে ১ বছর বাচ্চাদের গরুর দুধ খাওয়ানো যায়
কিনা তা তুলে ধরা হয়েছে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ১ বছর বাচ্চাদের গরুর দুধ
খাওয়ানো যায় কিনা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
১ বছর বাচ্চাদের গরুর দুধ খাওয়ানো যায় কি না তা নিম্ন তুলে ধরা হলোঃ
১ বছরের কম ছোট বাচ্চাদের গরুর দুধ খাওয়ানো উচিত না। কারণ গরুর দুধে যে পরিমাণ
আমিষ থাকে তা হজম করার ক্ষমতা এক বছরের কম বয়সী শিশুর তৈরি হয় না। এছাড়া
জন্মের পর প্রথম বছরে শিশুর বিকাশের জন্য ভিটামিন ই, জিঙ্ক, এবং আরো কিছু পুষ্টি
উপাদান প্রয়োজন।
যেগুলো বুকের দুধ এবং ফর্মুলায় থাকে কিন্তু গরুর দুধে থাকে না। তাই এক বছরের কম
ছোট বাচ্চাকে নিয়মিত গরুর দুধ খাওয়ার অভ্যাস করানো একেবারেই উচিত না। তবে ১
বছরের পর থেকে বাচ্চাকে গরুর দুধ খাওয়ানো যায়। যেমন ১ থেকে ৩ বছরের বাচ্চাদের
প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ অর্থাৎ ৫০০ থেকে ৬৮০ গ্রাম গরুর দুধ খাওয়ানো উচিত।
শিশুর বিকাশের জন্য নিয়মিত ফ্যাট স্নেহ ছাড়াও আমিষ, জিংক, ভিটামিন এ, এবং
ভিটামিন ডি, প্রয়োজন। গরুর দুধে এসব উপাদানই পাওয়া যায় বাচ্চার যদি দুধে
এলার্জি থাকে বা অন্য কোন কারণে গরুর দুধ খেতে না পারে তাহলে তাকে দুধের বিকল্প
হিসেবে সয় মিল্ক, আমন্ড মিল্ক, বা দুধ জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।
যেমন; দুধ পনির খাওয়াতে পারেন। বাজারে ফ্যাট মুক্ত দুধও পাওয়া যায় কিন্তু
সাধারণ গরুর দুধই ভালো কারণ এতে ফ্যাট থাকে যা শিশুর বেড়ে ওঠার সাহায্য করে তবে
ডাক্তার বারণ করলে অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
গরুর দুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রিয় পাঠক, গরু বা ছাগলের দুধে প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। এই দুধে প্রচুর পরিমাণে
পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের মানব শরীরের সকল পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। তবে এত
উপকারিতার পাশাপাশি এই দুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যা কিছু মানুষের জন্য
সমস্যার কারণে হতে পারে। দুধে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা কিছু মানুষের জন্য
সমস্যার কারণ তাই বলে কি দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেবেন? একদমই নয় শুধু প্রয়োজন
সচেতনতা জেনে নেই কিভাবে দুধ খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখাবে না চলুন জেনে
নেওয়া যায়।
দুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ক্যালরি, সর্করা, এছাড়া
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে দুধে। নিয়মিত দুধ পান করলে শরীর ও মন দুটোই ভালো
থাকে।
তবে সঠিক পদ্ধতিতে গরুর দুধ না ফুটিয়ে খেলে বিভিন্ন ধরনের অসুখের সমস্যা দেখা
দেবে। যেমন অসুখের নাম ব্রুসেলোসিস। ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদপত্র থেকে জানা গেছে
যে, সম্প্রতি ভারতে বহু লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ গরম দুধ আর মধু মিশিয়ে খেলে কি হয়?
ব্রুসেলোসিস এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে যেগুলো সমস্যা দেখা দেয় তা হলো; গাঁটে
গাঁটে ব্যথা, পেটের শিরদাঁড়ায় ব্যথা, মাথা যন্ত্রণার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রথম অবস্থায় এই রোগটি ধরা না পড়লে পরে শরীরে একাধিক অঙ্গ বিকল হতে শুরু করে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, ব্রুসেলোসিস ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। এই ব্যাকটেরিয়া রোগ
প্রাণীর শরীরে প্রবেশ করলে এই রোগ প্রাণীর শরীরেই থাকে। ওই প্রাণীর শরীরের দুধ বা
মাংস সেবন করলে তা মানুষের দেহে আক্রমণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, ডেইরি পণ্য থেকে ভয় পাবার কিছু নেই। কিন্তু যে সকল
ব্যক্তি গরু দুধ, বা ছাগলের দুধ পান করে তাদের বিপদের সংখ্যাটা বেশি। ব্রুসেলোসিস
এই রোগটি সাধারণত দুধ ভালো ভাবে না ফুটিয়ে পান করলে এই রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা
বেশি হয়।
তাই অবশ্যই আপনারা যে কোন পশুর দুধ পান করা পূর্বে অবশ্যই ভালোভাবে ফুটিয়ে পান
করবেন। যার ফলে ব্রুসেলোসিস এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
দুই বছর পর থেকে শিশুকে গরুর দুধ খাওয়ানোর নিয়ম
শিশুদের দুই বছরের পর থেকে গরুর দুধ খাওয়ানো যায়। কিন্তু দুধে প্রচুর পরিমাণে
প্রোটিন থাকে তার নাম হলো কেজিন এই প্রোটিনটা খুব উচ্চমাত্রায় হওয়ায় প্রথম
অবস্থায় দুই বছরের বাচ্চারা বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে পারে না।
তাই তাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে দুধ খাওয়াতে হবে যেমন; দিনে 30 ml থেকে
90 ml খাওয়াতে পারেন। এর বেশি পরিমাণে দুই বছরের বাচ্চাদের প্রথম
অবস্থায় গরুর দুধ খাওয়ানো যাবে না।
গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক, আপনি জানলে অবাক হবেন যে, গরু দুধে বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর। যা
আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক গরুর দুধ আমাদের শরীরে
যেগুলো উপকারিতা প্রদান করে তা জেনে নেওয়া যাক।
গরুর দুধের উপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
- দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা আমাদের শরীরের হাড় ও পেশি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
- গরুর দুধ আমাদের শরীর ভালো ফিটনেস ও শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- গরুর দুধ আমাদের শরীরের শক্তি যোগায় এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
- গরুর দুধ মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
- গরুর দুধে থাকা পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- গরুর দুধে থাকা পুষ্টিগুণ হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- গরুর দুধ ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে
- গরুর দুধ পেটের সমস্যা ও এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে
- গরুর দুধ রাতে ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে
- গরুর দুধ দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে
- গরুর দুধ শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে
- গরুর দুধ ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে
- গরুর দুধ ত্বককে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে
- গরুর দুধ চুলের স্বাস্থ্য ও চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে
- গরুর দুধ পাকস্থলী পরিষ্কার রাখে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- গরুর দুধ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
- গরুর দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
গরুর দুধের অপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
- যে সকল ব্যক্তির কিডনিতে পাথর হয়েছে তারা গরু দুধ খাওয়া থেকে সাবধানতা অবলম্বন করাই ভালো। কিডনিতে পাথর হওয়ার রোগীরা কম খাওয়া দাওয়া করা এবং রাত্রে দুধ না খাওয়াই ভালো।
- যে সকল ব্যক্তির শরীরে ল্যাক্টেজ নামক এনজাইনের অভাব রয়েছে, সে সকল ব্যক্তি দুধ খাওয়া থেকে সাবধানতা অবলম্বন করাই ভালো।
- যে সকল ব্যক্তির এলার্জির সমস্যা রয়েছে, সে সকল ব্যক্তি দুধ খাওয়া থেকে সাবধানতা অবলম্বন করুন। কেননা যে সকল ব্যক্তির এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদেরকে চিকিৎসকেরা দুধ খাওয়া থেকে নিষেধ করেন। অনেকের আবার দুধে এলার্জি রয়েছে তাই যে সকল ব্যক্তির দুধে এলার্জি রয়েছে তারা দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- যে সকল ব্যক্তির পাকস্থলীতে আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের দুধ খাওয়া একদম উচিত নয়। কারণ এই সকল রোগীরা দুধ খেলে পেটের ব্যথা বা ডায়াবেটিস হতে পারে।
- যে সকল ব্যক্তির পেটে অপারেশন করা হয়েছে, তারা দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন পুরোপুরি সুস্থতা হওয়ার পরে আবারও দুধ খেতে পারেন।
অতিরিক্ত মাত্রায় দুধ খাওয়া মোটেই উচিত নয়। অনেকে আছেন যে অতিরিক্ত মাত্রায়
দুধ সেবন করেন এতে উপকারের বদলে আরো ক্ষতি হয়। সুতরাং দুধের পুষ্টিগুণ পেতে দিনে
অন্তত ১ গ্লাস থেকে ২ গ্লাস দুধ খেতে পারেন। সব মিলিয়ে দুধের উপকারিতা ও
অপকারিতা দিক বিবেচনা করলে দুধের অপকারিতার চেয়ে উপকারিতা বেশি।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আশা করি এই আর্টিকেল থেকে গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা ও ১ বছর
বাচ্চাদের গরুর দুধ খাওয়ানো যায় কি না তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন,
এবং উপকৃত হয়েছেন। এরপরও যদি আপনাদের কোন মতামত বা জিজ্ঞাসা থেকে থাকে তাহলে এই
আর্টিকেলের নিচে দেওয়া কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করবেন
"ধন্যবাদ"
আমাদের এই আর্টিকেলটি পরে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই
আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌছে দিবেন। এত দীর্ঘ সময়
ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url