জমির খাজনা কত টাকা শতক - জমির খাজনা অনলাইনে দেওয়ার নিয়ম
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন পোস্ট রয়েছে ক্লিক করুনপ্রিয় পাঠক, আপনি কি জমির খাজনা কত টাকা শতক তা জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি একদম
সঠিক আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন। কেননা এই আর্টিকেলে জমির খাজনা কত টাকা শতক তা
তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়াও জমির খাজনা অনলাইনে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে
এই আর্টিকেলটিতে। তাই আপনি যদি জমির খাজনা কত টাকা শত বা জমির খাজনা অনলাইনে
দেওয়ার নিয়ম এ সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ জমির খাজনা কত টাকা শতক
.
জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
বাংলাদেশের গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার ভূমি সেবাকে আরো উন্নত করেছে এবং ভূমি
মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জমির খাজনা দেওয়ার সুযোগ করে
দিয়েছেন। যাই হোক চলুন জেনে নেওয়া যাক ২০২৪ সালে জমির খাজনা কিভাবে দিবেন
চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি আপনার জমির খাজনা দিতে চান তাহলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট দুটি
মাধ্যম রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জমির খান না দিতে পারবেন।
- প্রথমত ভূমি উন্নয়ন কর মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে
- দ্বিতীয়ত ভূমি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
ভূমি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের এই দুটি মাধ্যম অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই ২০২৪
সালের জমির খাননা দিতে পারবেন।
জমির খাজনা কত টাকা শতক
জমির খাজনা কত টাকা শতক, এটা পুরোটাই জমির ধরনের উপর নির্ভর করে। সাধারণত
বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃত্বে সম্পদ অধিদপ্তর জমির খাজনা ৩ টি শ্রেণীতে ভাগ
করেছে।
- আবাসিক জমি
- কৃষি জমি
- বাণিজ্যিক জমি
আবাসিক জমি, কৃষি জমি ও বাণিজ্যিক জমির খাজনা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
- আবাসিক জমির খাজনাঃ শহরের মধ্যে, পৌরসভার ভেতরের জমির প্রতি শতক এর জন্য জমির খাজনা বছরে ১৫ টাকা। এবং পৌরসভার বাইরের জমির প্রতি শতাংশ ১০ টাকা খাজনা দিতে হবে।
- কৃষি জমির খাজনাঃ বাংলাদেশ কৃষি অধিদপ্তর কৃষি জমির জন্য কিছুটা ছাড় দিয়েছেন যেমন আপনার যদি কৃষি জমি ২৫ বিঘার কম হয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে খাজনা দিতে হবে না। কিন্তু আপনার যদি কৃষি জমি ২৫ বিঘার বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই খাজনা দিতে হবে। কৃষি জমির জন্য বছরে প্রতি শতাংশে ২ টাকা খাজনা দিতে হবে। অর্থাৎ ১ বিঘা কৃষি জমির জন্য আপনাকে বছরে ৬৬ টাকা খাজনা দিতে হবে।
- বাণিজ্যিক জমির খাজনাঃ পৌরসভার মধ্যে প্রতি শতাংশের জন্য ৬০ টাকা খাজনা দিতে হবে। অর্থাৎ পৌরসভার ভেতরের ১ বিঘা জমির জন্য প্রতি বছর আপনাকে ১৯৮০ টাকা খাজনা দিতে হবে। এবং আপনার যদি বাণিজ্যিক জমি পৌরসভার বাহিরে হয়ে থাকে তাহলে প্রতি শতাংশের জন্য ৪০ টাকা খাজনা দিতে হবে। অর্থাৎ পৌরসভার বাহিরের ১ বিঘা জমির জন্য ১৩২০ টাকা খাজনা দিতে হবে।
জমির খাজনা অনলাইনে দেওয়ার নিয়ম
অনেকেই জমির খাজনা পরিশোধের আগে চিন্তিত হয়ে পড়ে যে জমির খাজনা দিতে কি কি
কাগজপত্র লাগতে পারে? চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই! জমির খাজনা অনলাইনে দেওয়ার
জন্য নিবন্ধন অপরিহার্য। খুব সহজেই ভূমি সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ
ভূমি উন্নয়ন কর ডিজিটাল প্লাটফর্মের ব্যবস্থা তৈরি করেছেন। এই সফটওয়্যার বা
প্ল্যাটফর্ম দ্বারা নিম্নে দেওয়া কাগজপত্র সহ ইউনিয়ন ভূমি অফিস, উপজেলা ভূমি
অফিস, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করে জমির হোল্ডিং রেজিস্ট্রেশন করে
মালিকানা নিবন্ধন করে নিতে পারবেন।
অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার জন্য যেসব কাগজ পত্র লাগবে তা নিম্নে
তুলে ধরা হলোঃ
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- রেকর্ড/খারিজ খতিয়ানের কপি
- পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি
- পূর্ববর্তী দাখিলের কপি
- বর্তমান মোবাইল নম্বর
- নামজারির খতিয়ান
- খাজনা পরিষদের পূর্বের রশিদ ইত্যাদি।
এই সকল কাগজপত্র আপনার জমির খাজনা পরিশোধ করার জন্য অনলাইনে সাবমিট করতে হবে,
তবেই আপনি আপনার জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন।
জমির খাজনা কি
জমির খান নাকি আপনি কি তা জানতে চান? তাহলে এই স্টাইপটি আপনার জন্য কেননা এই
স্টেপে জমির খাজনা কি তা তুলে ধরা হয়েছে। তাহলে চলুন জমির খাজনা কি
জেনে নেওয়া যাক।
প্রশ্ন হলো জমির খাজনা কি? কোন জমি নিজে ভোগ করা এবং কি সারা জীবনের জন্য
নিজের করে সরকারি খাতায় নিজের করে নেওয়া সম্পদ এর জন্য প্রতিবছর নির্দিষ্ট
পরিমাণের টাকা সরকারকে দেওয়া হয় তাকে মূলত খাজনা বলা হয়।
বসত বাড়ির খাজনা কত
আপনি কি বসত বাড়ির খাজনা কত জানতে চান? তাহলে এই স্টেপটি আপনার জন্য
কেননা এই স্টেপে বসত বাড়ির খাজনা কত তা তুলে ধরা হয়েছে। তাহলে চলুন বসত
বাড়ির খাজনা প্রতি শতাংশ কত টাকা জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমান বাংলাদেশ সরকার ভূমি উন্নয়ন খাজনা অনুযায়ী বসত বাড়ির খাজনা প্রতি
শতাংশের জন্য বছরে ১০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ১ বিঘা বসত বাড়ি জমির জন্য প্রতি বছর
খাজনা দিতে হবে ৩৩০ টাকা
কৃষি জমির খাজনা কত
আপনি কি কৃষি জমির খাজনা কত তা জানতে চান? তাহলে এই স্টেপটি আপনার জন্য কেননা
এই স্টেপে কৃষি জমির খাজনা কত তা তুলে ধরা হয়েছে। তাহলে চলুন কৃষি জমির খাজনা
কত টাকা শতক জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ কৃষি অধিদপ্তর কৃষি জমির জন্য কিছুটা ছাড় দিয়েছেন যেমন আপনার যদি
কৃষি জমি ২৫ বিঘার কম হয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে খাজনা দিতে হবে না। কিন্তু আপনার
যদি কৃষি জমি ২৫ বিঘার বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই খাজনা দিতে হবে।
কৃষি জমির জন্য বছরে প্রতি শতাংশে ২ টাকা খাজনা দিতে হবে বছরে। অর্থাৎ ১ বিঘা
কৃষি জমির জন্য আপনাকে বছরে ৬৬ টাকা খাজনা দিতে হবে।
জমির খাজনা অনলাইনে
আপনি যদি অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করতে চান তাহলে আপনার জন্য নিবন্ধন
অপরিহার্য। খুব সহজেই ভূমি সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে বাংলাদেশ
ভূমি উন্নয়ন খাজনা ডিজিটাল সফটওয়্যার দ্বারা খাজনা দেওয়ার সুযোগ করে
দিয়েছেন। অনলাইনে ডিজিটাল সফটওয়্যার খাজনা দেওয়ার জন্য নিম্নে দেওয়া
কাগজপত্র উপজেলা ভূমি অফিস/ইউনিয়ন ভূমি অফিস/এবং কি ডিজিটাল সেন্টারের যোগাযোগ
করার মাধ্যমে জমির হোল্ডিং রেজিস্ট্রেশন বা মালিকানার জন্য নিবন্ধন করা যাবে।
জমির খাজনা অনলাইনে দেওয়ার জন্য যেগুলো কাগজ লাগবেই তা নিম্নে
তুলে ধরা হলোঃ
- রেকর্ড ও খারিজ খতিয়ানের কপি
- বর্তমান মোবাইল নম্বর
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- পূর্ববর্তী জমির খাজনা দেওয়ার ফটোকপি
- পূর্ববর্তী দাখিলের কপি
জমির মালিক সশরীরে উপস্থিত না হয়েও জমির মালিকানার কাগজপত্র অন্য কেউ নিয়ে
গেলেও জমির খাজনা দিতে পারবে।
বাংলাদেশে কত বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করা হয়েছে
আপনি কি বাংলাদেশের কত বিভাগ পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করা হয়েছে তা জানতে
চান? তাহলে এই স্টেপটি আপনার জন্য। কেননা এই স্টেপে থেকে জানতে পারবেন বাংলাদেশ
কত বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমির খাজনা মওকুফ করা হয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশে কৃষি জমির জন্য ২৫ বিঘা পর্যন্ত খাজনা মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে। তবে
আপনার যদি ২৫ বিঘা জমি ছাড়িয়ে ১০ একর পর্যন্ত জমি যদি বাড়তি হয়ে থাকে তাহলে
আপনাকে প্রতি শতাংশের জমির জন্য প্রতি বছর ৫০ পয়সা করে খাজনা দিতে হবে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বিন্দু , আশা করি এই আর্টিকেল থেকে জমির খাজনা কত টাকা শতক ও জমির
খাজনা অনলাইনে দেওয়ার নিয়ম সহ খাজনা দেওয়া সম্পর্কে বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। এরপরেও যদি আপনাদের কোন মতামত বা
জিজ্ঞাসা থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলের নিচে দেওয়া কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে
আপনার মন্তব্য প্রকাশ করবেন।
আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে
অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌছে দিবেন, এবং
আমাদের এই ওয়েবসাইট রেগুলার ফলো করবেন। এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই
আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য "ধন্যবাদ"।
ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url