কলার থোর এর উপকারিতা - কলার থোর রান্নার রেসিপি
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন পোস্ট রয়েছে ক্লিক করুনকলার থোর এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক আর্টিকেলটি ওপেন
করেছেন কেননা এই আর্টিকেলে কলার থোর এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে।
এছাড়াও কলার থোর রান্নার রেসিপি সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে এই
আর্টিকেলটিতে। তাই আপনি যদি কলার থোর এর উপকারিতা ও কলার থোর রান্নার রেসিপি
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কলার থোর এর উপকারিতা - কলার থোর রান্নার রেসিপি
.
কলার থোর এর উপকারিতা
আপনি কি কোলার থোর এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই স্টেপটি আপনার জন্য
কেননা এই স্টেপে কলার থোরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাহলে চলুন কলার থরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আমরা অনেকেই জানি যে কলার থরের অনেক উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু কি উপকারিতা রয়েছে
কলার থরে তা আমরা অনেকেই জানিনা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কলার থোর এর কিছু
আশ্চর্য উপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।
- কলা গাছের ফুল ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বিশেষ উপকারী।
- কলার থোর হজমে সহায়ক ও বিষনাশক ঔষধ। কলার থরের শরবত শরীরে থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে।
- কলার থোর এর শরবতের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে বৃক্কের পাথর হওয়ার ঝুঁকি এরা সম্ভব।
- কলার থোর ভিটামিন বি সিক্স'য়ে ভরপুর এই খাবারে আরো আছে পটাশিয়াম লৌহ এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপাদান। তাই কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এটি বেশ উপকারী।
- নিয়মিত এসিডিটির সমস্যা দেখা দিলে আপনার উচিত কলার রসের শরবত খাওয়া যা শরীরে এসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে, এবং ভারসাম্য রাখে।
- বুক জ্বালা পোড়া অস্থিরতা ও পেট ব্যথা সারাতে কলার থোরের ভীষণ উপকারিতা রয়েছে।
কলার থোর রান্নার রেসিপি
প্রিয় দর্শকবৃন্দ, আপনারা অনেকেই কলার থোর চিনেন আবার অনেকেই চিনেন না। যারা
কলার থোর চিনেন কিন্তু কিভাবে রান্না করতে হয় তা জানেন না মূলত তাদের জন্যই
আজকের এই স্টেপটি। এই স্টেপ আপনি যদি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়েন তবে কলার
থোর রান্নার রেসিপি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন কিভাবে কলার থোর
রান্নার রেসিপি করতে হয় চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- কলার থোর রান্নার রেসিপি করতে আপনাকে প্রয়োজন হবে কলার থোর আপনার প্রয়োজনমতো একটি অথবা দুইটি কলার থোর নিয়ে নেবেন।
- এবং কলার থোর থেকে কচি কচি মুচি বের করে নিতে হবে। শুধু তাই নয় মুচির মধ্যে থাকা শক্ত লম্বা জিনিসটি ফেলে দিতে হবে। প্রত্যেকটি মুচি একইভাবে ছাড়িয়ে নিতে হবে।
- কলার মুচি ছাড়িয়ে নেওয়ার পর চুলাতে কাড়াই বা পাতিলে কলার থোরের মুচি দিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজন মতো পানি দিয়ে দিতে হবে। এবং প্রয়োজনমতো হলুদের গুরো এবং প্রয়োজনমতো লবণ দিয়ে দিবেন।
- এই সবগুলো উপাদান দিয়ে কলার থোরের মুচি সিদ্ধ করে নিতে হবে।
- কলার থরের মুচি সেদ্ধ হয়ে গেলে ঠান্ডা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ঠান্ডা হয়ে গেলে মুচি গুলো ব্লান্ড করে নিতে পারেন আবার চাইলে পাঠাতে পিষেও নিতে পারেন।
- মুচি গুলো ভালোভাবে ব্লান্ড করে নেওয়ার পর আপনাকে রান্নায় চলে যেতে হবে।
- এবং চুলাতে এটি কারাই ব যে কোন ধরনের পাত্র নিয়ে নিতে হবে এবং তাতে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিতে হবে।
- তেলটি গরম হয়ে গেলে প্রয়োজন মত পিয়াজ কচি এবং প্রয়োজনমতো রসুন কুচি দিয়ে দিবেন।
- চুলায় তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি এবং রসুন কুচি খুব ভালোভাবে নেড়ে নিতে হবে যতক্ষণ না হালকা বাদামি রঙের হয়ে আসে।
- পেঁয়াজ এবং রসুন হালকা বাদামী রঙের হয়ে গেলে তার মধ্যে দিতে হবে পরিমাণ মতো জিরা বাটা এবং পরিমাণ মতো আদা বাটা। এবং প্রয়োজন মত রসুন বাটা এবং প্রয়োজন মতো হলুদের গুরো এবং ঝালের গুরো এবং পরিমাণ মতো জিরের গুরো এবং প্রয়োজন মত ধনিয়ার গুরো দিয়ে দিতে হবে।
- সব গুলো উপাদানের সঙ্গে হালকা কিছু পানি দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে কিছুক্ষণের জন্য।
- যেহেতু প্রথম অবস্থায় কিছু লবণ পূর্বেই দিয়েছেন তাই প্রয়োজন মত লাগলে লবন দিবেন নইলে দিবেন না। সবগুলো উপাদান ঠিকঠাক মত দেওয়া হলে মশলাটা ভালোভাবে কষিয়ে নিবেন।
- মসলাটা ভালোভাবে কষিয়ে নিয়ে নেওয়া হয়ে গেলে মসলার মধ্যে কলার মুচির বাটা মসলার মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এবং আপনি চাইলে সৌন্দর্যের জন্য কয়েকটা কাঁচা মরিচ চিরে দিয়ে দিতে পারেন এবং কলার মুচির বাটা এবং মসলা খুব ভালো হবে চুলায় নাড়তে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত রস শুকিয়ে না যায়।
- এবং আপনি চাইলে কিছু ধনিয়া পাতা দিতেও পারেন আবার না চাইলে নাও দিতে পারেন।
এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই খোলার থোরের ভর্তা রেসিপি করতে
পারেন।
কলা গাছের উপকারিতা
আপনি কি কলা গাছের উপকারিতা কি তা জানতে চান তাহলে এই স্টেপটি আপনার জন্য কেননা
এই স্টেপে কলা গাছের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তাহলে চলুন কলা গাছের
উপকারিতা কি জেনে নেওয়া যাক।
কলা গাছ বিভিন্ন রোগ নিরাময় করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। যেমন; আলসার, আমশা,
মৃগীরোগ, ডায়াবেটিস রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ, জ্বর, মলদ্বারে রক্তক্ষরণ, তীব্র
আমাশা নিরাময় করতে কলা গাছের ভীষণ উপকারিতা রয়েছে।
কলা থোড় english
আপনি কি কলার থোড় এর ইংরেজি নাম জানতে চান তাহলে এই স্টেপটি আপনার জন্য কেননা এই
স্টেপে কলার থোড়ের ইংরেজি নাম তুলে ধরা হয়েছে। তাহলে চলুন কলার থোড়ের ইংরেজি
নাম জেনে নেওয়া যাক।
কলার থোড় এর ইংরেজি নাম হলো (Banana Stem) অর্থ - কলার থোড়।
কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা
আপনি কি কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই স্টেপটি আপনার
জন্য কেননা এই স্টেপে কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে। তাহলে চলুন কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।
কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
কলা গাছ এমন একটি গাছ যার কোন অংশই ফেলে দেওয়ার মতো নয়। কলা গাছের প্রত্যেকটি
অংশ ব্যবহারযোগ্য হয়ে থাকে। তার মধ্যে একটি হলো কলার মোচা যার প্রচুর উপকারিতা
রয়েছে। কলার মোচার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা স্টেপ বাই স্টেপ নিচে উপস্থাপন
করা হলো।
- চোখের জ্যোতি বাড়াতে কলার মোচার উপকারিতাঃ কলার মোচায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকার ফলে চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে। এবং রাতকানা রোগ নিরাময় করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
- শরীরের গঠন বজায় রাখতে কলার মোচার উপকারিতাঃ কলার মোচায় প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন রয়েছে যা দেহের গঠন ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বাড়ন্ত শিশু ও বয়স্ক লোক এই সবজিটি খেলে তাদের দেহের গঠন সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে।
- হৃদরোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে কলার মোচার উপকারিতাঃ কলার মোছা সেবন করলে হৃদ রোগ ও ক্যান্সার সহ মারাত্মক অসুখ নিরাময় করতে সাহায্য করে। কেননা কোলার মচায় রয়েছে ফ্যানোলিক এসিড, ফ্লেভানয়েড, ট্যানিন সহ নানা ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা মানব শরীরের ফ্রি রাডিকেল ধংস করে যার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে।
- কলার মোচায় প্রচুর পরিমাণে হিমোগ্লোবিনের উৎস রয়েছেঃ রক্তের হিমোগ্লোবিনকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে কলার মোচা। দেহে রক্তের পরিমাণ সঠিক রাখতে এবং রক্তশূন্যতা দূর করতে কলর মোচা ভীষণ উপকারী।
- চুল ও ত্বক ভালো রাখতে কলার মোচার উপকারিতাঃ চুল ও ত্বক ভালো রাখতে কলার মোচার ভীষণ উপকারিতা রয়েছে কেননা কলার মোচায় রয়েছে আইরন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, যা চুল ও ত্বকের উপকারিতায় ভীষণ কার্যকারিতা উপাদান রাখে।
কলা গাছের ভিতরের অংশের নাম
আপনি কি কলা গাছের ভিতরের অংশের নাম জানতে চান তাহলে এই স্টেপটি আপনাদের জন্য
কেননা এই স্টেপে কলা গাছের ভিতরে অংশের নাম তুলে ধরা হয়েছে। তাহলে চলুন কলা
গাছের ভিতরের অংশের নাম জেনে নেওয়া যাক।
কলা গাছের ভেতরের অংশের নাম হলোঃ থোড় যার ইংরেজি নাম হলো (Banana Stem)
কলার থোর
কলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম বাংলায়
আপনি কি কলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম বাংলায় জানতে চান তাহলে এই স্টেপটি আপনার জন্য
কেননা এই স্টেপে কলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম বাংলায় তুলে ধরা হয়েছে। তাহলে চলুন
কলাগাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি বাংলায় জেনে নেওয়া যাক।
- কলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম বাংলায় হলোঃ মুসা এসপিপি।
কলা গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম
আপনি কি কলা গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম জানতে চান তাহলে এই স্টেপটি আপনার জন্য কেননা
এই স্টেপে কলা গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম তুলে ধরা হয়েছে। তাহলে চলুন কলা গাছের
বিজ্ঞানসম্মত নাম জেনে নেওয়া যাক।
- কলা গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম হলোঃ মুসা আকুমিনাটা।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আশা করি এই আর্টিকেল থেকে কলার থোর এর উপকারিতা ও কলার থোর রান্নার
রেসিপি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। এরপরও যদি আপনাদের
কোন মতামত বা জিজ্ঞাসা থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলের নিচে দেওয়া কমেন্ট সেকশনে
কমেন্ট করে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করবেন।
আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই
আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌঁছে দিবেন, এবং আমাদের এই
ওয়েবসাইটটি রেগুলার ফলো করবেন। এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি
ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য "ধন্যবাদ"।
ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url