সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা - চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন পোস্ট রয়েছে ক্লিক করুনপ্রিয় পাঠক, আপনি কি সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা - চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা

এছাড়াও চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলটিতে। এছাড়াও সরিষা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। তাহলে সরিষার তেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আমরা অনেকেই নিত্যনতুন খাবারের তালিকায় সরিষার তেল ব্যবহার করে থাকি অনেকেই রান্নার কাজে সরিষার তেল ব্যবহার করে, আবার অনেকেই শরীরে সরিষার তেল ব্যবহার করে, আবার অনেকেই সরিষার তেল চুলেও ব্যবহার করে থাকে। তাই সরিষার তেল আমাদের শরীরে সুস্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারিতা অপকারিতা রয়েছে তা জানা আমাদের জন্য অতি জরুরী। তাই আপনাদের আজকের এই আর্টিকেলে সরিষার তেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো যার মাধ্যমে আপনারা সরিষার তেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে চলুন এক নজরে প্রত্যেকটি স্টেপ মনোযোগ সহকারে পড়ে সরিষা তেল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

পোস্ট সূচিপত্রঃ সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা - চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা
.

সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা

সরিষার তেল প্রাচীনকাল থেকেই শরীরের সুস্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পছন্দনীয় এই সরিষার তেল যেমন শরীরের জন্য উপকারী তেমনই কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই সরিষার তেল শরীরের জন্য অপকারিতাও করে। তাহলে চলুন সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

সরিষার তেলের উপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
  1. সরিষার তেলে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড/পলিস্যাচুরেটেড। এই সরিষার তেল শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখে। যার ফলে কার্ডিওভাস্কুলার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  2. এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে সরিষার তেলে মনোস্যাচুরেটেড/পলিস্যাচুরেটেড থাকার ফলে এই তেলটি মানব শরীরের হার্টের জন্য ভীষণ উপকারী। সরিষার তেল হার্টের সুরক্ষিত করার পাশাপাশি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ও ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  3. সরিষার তেলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ও সেলেনিয়াম রয়েছে। যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
  4. সরিষার তেলে ভিটামিন E রয়েছে যা এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মসৃণ বজায় রাখতে সাহায্য করে। এবং শরীরের কোষ স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে সাহায্য করে।
  5. সরিষার তেল মস্তিষ্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে টেনশন দূর করতে সাহায্য করে, স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে, যার ফলে মন ও শরীর ভালো থাকতে সাহায্য করে।
  6. সরিষার তেল ভয়ঙ্কর রোগ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।
ষরিষার তেলের অপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
  1. প্রত্যেকটি জিনিসেরই যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি তার অপকারিতা রয়েছে। অতিরিক্ত মাত্রায় কোন জিনিসই ভালো নয়। হঠাৎ করে কখনোই অনেক বেশি পরিমাণ সরিষার তেল সেবন করবেন না এতে শরীরের ক্ষতির হতে পারে। নতুন করে কোন জিনিস খাদ্য অভ্যাস করার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
  2. সরিষার তেলে প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ এরিউসিক এসিড রয়েছে যা মানব শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড তৈরি করে, যার ফলে মানব শরীরের হৃৎপিণ্ডের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড তৈরি হওয়ার ফলে মারাত্মক রোগ ক্যান্সারও হতে পারে। দীর্ঘদিন থেকে একটু একটু করে শরীরে এরিউসিক এসিড প্রবেশ করলে এই এরিউসিক এসিড শরীরের হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করতে শুরু করে যার ফলে এক ধরনের রোগের সৃষ্টি হয় যার নাম; মায়োকার্ডিয়াল লিপিডোসিস। সাধারণত এই রোগ নিয়ে তেমন কোন গবেষণার করা হয়নি। সাধারণত এরিউসিক এই এসিডটি কারো শরীরে অল্প পরিমাণ থাকলে কোন সমস্যা নেই। তবে এই এরিউসিক এসিড অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে বৃদ্ধি হলে বিপদের আশঙ্কা থাকতে পারে।
  3. তবে আপনি যদি খাঁটি সরিষার তেল সেবন করে থাকেন তাহলে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না তাই আপনাকে অবশ্যই খাঁটি সরিষার তেল সেবন করতে হবে। খাঁটি সরিষার তেল চেনার জন্য প্রথমে আপনাকে তিন থেকে পাঁচ ঘন্টার জন্য ফ্রিজে তেল রেখে দিতে হবে এবং তিন থেকে পাঁচ ঘন্টা পর ফ্রিজ থেকে সরিষার তেলের বোতল বের করে যদি দেখেন হালকা সাদা আবরণ অথবা তেলটি জমে গেছে তাহলে বুঝবেন তেলটি নকল। আর যদি তেলটি না জমে বা কোন রকম সাদা আবরণ না দেখা যায় তাহলে বুঝতে পারবেন তেলটি খাঁটি বা অরজিনাল। সবচাইতে ভালো হয় সরিষা কিনে ঘ্রান থেকে ভাঙ্গিয়ে সেবন করা।

চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা

প্রাচীনকাল থেকেই খাঁটি সরিষার তেল আমাদের পূর্বপুরুষরা ব্যবহার করে আসছে। সরিষার তেলের উপকারিতা অনেক যা মানব শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। কিন্তু বর্তমানে দীর্ঘদিন সরিষা তেলের ঝাঁঝালো ভাব ও গন্ধ বজায় রাখার জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল সরিষার তেলের মধ্যে মিশ্রিত করছে। যা মানুষের শরীরের সুস্বাস্থ্য নষ্ট করছে আর এই তেল আপনি যদি আপনার মাথার চুলে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার উপকারিতার পরিবর্তে অপকারিতা হবে। আপনি যদি ভেজাল যুক্ত বা কেমিক্যাল যুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং আপনার মাথার চুলের জন্য ক্ষতিকর হবে। তাই আপনি যদি খাটি সরিষার তেল সেবন করতে পারেন বা আপনার চুলের ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার চুলের কোন ক্ষতি হবে হবে না, বরং উপকারিতা পাবে।

তাই আপনি যদি আপনার চুলের সঠিক সুরক্ষিত বজায় রাখতে চান তাহলে আপনাকে খাঁটি সরিষার তেল আপনার চুলের ব্যবহার করতে হবে। খাঁটি সরিষার চেনার জন্য আপনাকে ফ্রিজে সরিষার তেল তিন থেকে ছয় ঘন্টার জন্য রেখে দিতে হবে এবং তিন থেকে ছয় ঘন্টা পর সরিষার তেল ফ্রিজে থেকে বের করে যদি দেখেন সরিষার তেল জমে গেছে, বা হালকা সাদা  আবরণ দেখা যায় তাহলে বুঝবেন সরিষার তেল নকল। এবং খাঁটি সরিষার তেল হলে কোনরকম জমে যাবে না এবং হালকা সাদা রঙের আবরণও দেখাবে না। তবে সবচাইতে ভালো হয় সরিষা ঘ্রানে ভাঙ্গিয়ে সেবন করা বা ব্যবহার করা। তাহলে আপনি একদম অরিজিনাল খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারবেন।

রান্নায় সরিষার তেলের উপকারিতা

পূর্বপুরুষ থেকে রান্নার কাজে সরিষার তেল ব্যবহার হয়ে আসছে। এমনকি রান্নার কাজেও সরিষার বীজ ব্যবহার করে থাকে রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য। এত জনপ্রিয় তেলের উপকারিতা সম্পর্কে এখনো অনেকেই অজানা। তাই চলুন রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহারের করলে শরীরে যেগুলো উপকারিতা পাওয়া যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
  • সরিষার তেল ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করেঃ ত্বক সুন্দর ও ভালো আদ্রতা ধরে রাখার জন্য অবশ্যই ভেতরের থেকে ত্বকের আদ্রতা থাকা জরুরী। আর সরিষা এই কাজেরই মূল উৎস। তাই নিয়মিত সরিষার তেল খেলে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের আদ্রতার পাশাপাশি সরিষার তেল ত্বকের ব্রুনের দাগ বা ব্রুন দূর করতেও সাহায্য করে।
  • সরিষার তেল হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেঃ সরিষায় থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপকারী উপাদান হজমে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এবং পরিপাক ক্রিয়াকে ভালো রাখতে সরিষার তেল ভীষণ উপকারী। তাই আপনারা যদি হজমের সমস্যা ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় সরিষার তেল রাখুন। এতে করে আপনার হজমের সমস্যা দূর হবে পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর হবে।
  • সরিষার তেল ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করেঃ সরিষার তেলে থাকা ওমেগা থ্রি পলিয়ানস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড থাকা উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • সরিষার তেল টিউমার দূর করতে সাহায্য করেঃ খাঁটি সরিষার তেল আপনি যদি নিয়মিত সেবন করতে পারেন তাহলে ৭০ ভাগ টিউমারের হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
  • সরিষার তেল অকাল বার্ধক্য দূর করতে সাহায্য করেঃ পরিপক্ক বয়স হওয়ার আগেই অনেকেরই চেহারার উপর বয়সের ছাপ পড়ে যায়। আর এই অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে সরিষার তেল ভীষণ উপকারী। কারণ সরিষার তেলে রয়েছে ভিটামিন A, ভিটামিন C, এবং ভিটামিন K যা চেহারার উপর বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনাদের মধ্যে যাদের পরিপক্ক বয়স হওয়ার আগেই বয়সের ছাপ পড়ছে তারা নিয়মিত খাঁটি সরিষার তেল সেবন করুন, এতে করে আপনার অকাল বার্ধক্য দূর হবে।
  • সরিষার তেল মাথা ব্যথা এবং শরীরের বিভিন্ন ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করেঃ মাথা ব্যথার সমস্যা দূর করতে সরিষার তেল ভীষণ উপকারী। এর মূল কারণ হলো সরিষায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও মাইগ্রেন যা  মাথা ব্যথা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি যদি নিয়মিত খাঁটি সরিষার তেল সেবন করতে পারেন তাহলে আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন ব্যথার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি নিয়মিত খাঁটি সরিষার তেল সেবন করতে পারে তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদান পাবেন।

ত্বকে সরিষার তেলের উপকারিতা

সরিষার তেল প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার করা হয় এবং এর উপকারিতা ত্বকের জন্য দুর্দান্ত উপকারিতা পাওয়া যায়। তাহলে চলুন সরিষার তেল ত্বকের জন্য কতটা উপকারী চলুন জেনে নেওয়া যাক।
  • ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সরিষা তেলের উপকারিতাঃ সরিষার তেলে রয়েছে ভিটামিন A ভিটামিন E এবং বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ যা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।
  • চুলকানি বা এলার্জি দূর করতে সরিষার তেলের উপকারিতাঃ বর্ষা এলেই খালে-বিলে নামতে হয় যার ফলে শরীরে এলার্জি বা চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। তাই চুলকানির পানিতে নামার পূর্বে পুরো শরীরে সরিষার তেল মেখে নিন এতে করে চুলকানি বা এলার্জির সমস্যা হবে না কারণ সরিষার তেলে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি-ফাঙ্গাল যা এলার্জি ও চুলকানির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
  • সরিষার তেল ঠোঁট ফাটা, পা ফাটা দূর করতে সাহায্য করেঃ অনেকেরই শীতকালে বা বারোমাসি পা বা ঠোঁট ফেটে যায়। এই সমস্যা দূর করতে রাত্রে শোবার পূর্বে ঠোঁটে অথবা পায়ে সরিষার তেল লাগিয়ে নিবেন এতে করে ঠোঁট ফাটা বা পা ফাটার সমস্যা দূর হবে।
  • সরিষার তেল ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করেঃ ব্যবসা বা চাকরির ক্ষেত্রে বাহিরে যেতেই হয় এবং রোদে ত্বক পুড়ে যায় তাই আপনি যদি রোদের হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে চান তাহলে আপনাকে সমপরিমাণে অর্ধেক সরিষার তেল এবং অর্ধেক নারীকেলের তেল মিশিয়ে দিনে একবার রাত্রে আপনার ত্বকে মেখে নিন এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং ২০ মিনিট হয়ে গেলে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এই পদ্ধতি কিছুদিন অবলম্বন করলে দেখতে পারবেন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

চুলের জন্য সরিষার তেলের উপকারিতা

প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করে আসছে। কারণ সরিষার তেলে রয়েছে ভিটামিন A ভিটামিন E ভিটামিন K ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এ ছাড়াও সরিষার তেলে রয়েছে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি-ফাঙ্গাল রয়েছে যা চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। তাহলে চলুন চুলের জন্য সরিষার তেলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
  • চুলের খুশকি ও চুলকানি দূর করতে সরিষার তেলের উপকারিতাঃ সরিষার তেলে থাকা এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি-ফাঙ্গাল রয়েছে। এছাড়া ওই তেলে রয়েছে আইসোথিওসায়ানেট একটি যৌগিক যা সংক্রমণের সাথে লড়াই করে যার ফলে মাথার খুশকি ও চুলকানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সরিষার তেল নিয়মিত মাথার চুলের ব্যবহার করলে মাথায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে এবং বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকবে।
  • মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সরিষা তেলের উপকারিতাঃ আপনি যদি নিয়মিত মাথায় সরিষার তেল মালিশ করে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এবং চুলের ফলিকলগুলিতে রক্ত প্রবাহ করতে সুবিধা হবে। যাতে করে চুলে পর্যাপ্ত পুষ্টি ও অক্সিজেন পাবে। যাতে করে চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
  • চুল পড়া রোধ করতে সরিষা তেলের উপকারিতাঃ যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তাই নিয়মিত মাথায় সরিষার তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হবে যাতে করে চুল পড়া রোধ হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

রসুন ও সরিষার তেলের উপকারিতা

আপনি যদি নিয়মিত রসুন ও সরিষার তেল একসাথে মিক্স করে খাবার হিসাবে সেবন করেন অথবা আপনার শরীরে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার শরীরের উপরের সকল রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করবে পাশাপাশি আপনার শরীরের সকল রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং আপনার শরীরের লোহিত রক্তকণিকাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে রসুন ও সরিষার তেলের মিশ্রণ।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আশা করি এই আর্টিকেল থেকে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা ও চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন, এবং উপকৃত হয়েছেন। এরপরও যদি আপনাদের কোন মতামত বা জিজ্ঞাসা থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলের নিচে দেওয়া কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করবেন।

আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌছে দিবেন। এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য "ধন্যবাদ"

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইমরান এ আই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
\