প্যারাসুট নারিকেল তেলের উপকারিতা - প্যারাসুট নারিকেল তেল কি খাওয়া যায়

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন পোস্ট রয়েছে ক্লিক করুন

নারিকেল তেল প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের অনেকেরই পরিচিত একটি তেল। নারিকেল থেকে প্রাকৃতিক ভাবে তেল সংগ্রহ করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদানের সংমিশ্রণ করে প্যারাসুট নারিকেল তেল তৈরি করা হয়। তাহলে চলুন প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি করা প্যারাসুট নারিকেল তেলের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

প্যারাসুট নারিকেল তেলের উপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

• প্যারাসুট নারিকেল তেল আন্টি-ইনফ্ল্যামেটরিং সমৃদ্ধঃ নারকেল থেকে প্রাকৃতিকভাবে নারকেল তেল সংগ্রহ করা হয় নারকেল তেলের রয়েছে আন্টি-ইনফ্ল্যামেটরিং উপাদান যা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর জীবাণু দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে কমল-নমনীয় করে তোলে প্যারাসুট নারিকেল তেল।
• ত্বকে প্যারাসুট নারিকেল তেল এন্টি-ফাঙ্গাল ও এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে সহায়কঃ ত্বকে প্যারাসুট নারিকেল তেল এন্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে থাকে। নারিকেল তেলের এক প্রকার লৌহিক অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বকের এন্টি-ফাঙ্গাল ও এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হাত থেকে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বকের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এন্টি-ফাঙ্গাল ও এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল ত্বকের যেকোনো ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে থাকে।
• প্যারাসুট নারিকেল তেল রোদে পোড়া ত্বক দূর করতে সহায়কঃ রোদে পোড়া ত্বকের কালো দাগ দূর করতে নারিকেল তেলে ভীষণ কার্যকারী। আপনি যদি রোদে পোড়া ত্বকে নারিকেল তেল ব্যবহার করেন তবে ত্বকের কালো দাগ, ত্বকের লাল লাল ভাব, এবং রোদে পোড়া ভাব অস্বস্তিকর ত্বকের দাগ দূর করে ত্বকের স্বাস্থ্যকে উন্নতি করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
• প্যারাসুল নারিকেল তেল চুলের কন্ডিশন ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ চুলের জন্য নারিকেল তেল বেস্ট কেননা নারিকেল তেল প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়ে থাকে যা চুলের জন্য খুব ভালো কন্ডিশন তৈরি করে। এবং চুলের হাইড্রেশন প্রদান করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে নারিকেল তেল চুলে হাইড্রেশন প্রদান করে যার মাধ্যমে চুল সতেজ মজবুত ও চকচকে করে তোলে।
• নারিকেল তেল ত্বকের মশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করেঃ নারিকেল তেল আমাদের ত্বকের জন্য মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। প্রাকৃতিক নারিকেল তেল আমাদের ত্বকের জন্য চমৎকার মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে যা ফ্ল্যাকিনেস ও শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই ত্বকে নিয়মিত যদি নারিকেল তেল ব্যবহার করা যায় তবে ভেতর থেকে মশ্চারাইজার করে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

প্যারাসুট নারিকেল তেল কি খাওয়া যায়? এই প্রশ্নের উত্তর এই স্টেপ থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন প্যারাসুট নারিকেল তেল কি খাওয়া যায় কি না চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ভারতের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষরা নারকেল তেল দিয়ে রান্না করে খেয়ে থাকেন। অর্থাৎ এটা বোঝা যাচ্ছে যে নারিকেল তেল খাওয়া যায়। তবে বিদেশের কিছু গবেষকরা বলেছেন নারিকেল তেল সেবন করা এক প্রকার বিষ সেবন করার মত! তবে আমাদের দেশের ডাক্তাররা বিদেশীর সাথে একমত পোষণ করতে দ্বিমত আমাদের দেশের ডাক্তারদের বক্তব্য হলো যে এত দীর্ঘদিন ধরে ভারতের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ নারিকেল তেল সেবন করছেন তাদের তো ক্ষতি বা বিপদ হচ্ছে না। 

তাহলে একে কেন বিষ বলা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের দেশের ডাক্তাররা জানিয়েছেন তারা যে অনুন্নত সম্প্রদায় সেটাও বলা যাবে না। আরো বলেছেন যে বিদেশে যেগুলো নারকেল তেলের ক্যান ভর্তি করে পাঠানো হচ্ছে তার মধ্যে কোন প্রকার ভেজাল রয়েছে কিনা সেটা জানা জরুরী। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে যে খাঁটি নারিকেল তেল ছাড়া সেবন করা যাবেনা।

আমরা এতদিন সবাই জেনে আসছি যে নারকেল তেল আমাদের ত্বক ও চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। নারকেল তেলের উপকারিতা রয়েছে তবে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা রয়েছে। তাহলে চলুন নারকেল তেলের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

নারকেল তেলের অপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

• নারকেল তেল ডায়রিয়ার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারেঃ নারকেল তেল অতিরিক্ত সেবন করলে ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে কেননা নারিকেল তেলে রয়েছে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও জীবাণুনাশক উপাদান থাকার জন্য অতিরিক্ত নারিকেল তেল সেবন করলে ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
• নারিকেল তেল এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারেঃ নারিকেল তেল ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী তবে অতিরিক্ত নারিকেল তেল ত্বকে ব্যবহার করলে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
• নারিকেল তেল ওজন বৃদ্ধি করেঃ নারকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে। যার ফলে প্রতিদিন নারিকেল তেল সেবন করলে অস্বাভাবিকভাবে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হতে শুরু করে।

হাজার হাজার বছর পূর্বে থেকে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে আসছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি উপাদান হলো নারিকেল তেল। যা হাজার হাজার বছর পূর্বে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য। তাহলে চলুন নারিকেল তেল ত্বকের জন্য কতটা উপকারী চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ত্বকে নারিকেল তেলের উপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

• নারিকেল তেল ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর করেঃ নারকেলে টোনিং গুণ রয়েছে যা ত্বকের ময়লা আবরণ দূর করে ত্বকের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
• নারিকেল তেল ত্বকের ময়েশ্চরাইজার হিসেবে কাজ করেঃ নারিকেল তেল প্রাকৃতিক ময়েশ্চরাইজার হিসাবে কাজ করে থাকে যা সরাসরি ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে ও পুষ্টিগুণ ধরে রাখতে সাহায্য করে থাকে।
• নারিকেল তেল প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করেঃ নারকেল তেল শুধুমাত্র ত্বকের সৌন্দর্য ও মসৃণ ধরে রাখে তা নয় নারকেল তেল প্রাকৃতিক টোনার হিসেবেও কাজ করে থাকে। এর ফ্যাট লোমকূপ বন্ধ করে এবং ত্বকের জীবাণু ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
• নারিকেল তেল মেকআপ রিমুভ করতে সাহায্য করেঃ নারিকেল তেল প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার হিসাবে খুবই ভালো কাজ করে। তোকে ব্যবহার করা বিভিন্ন ধরনের উপাদান ভেতর থেকে রিমুভ করতে সাহায্য করে নারিকেল তেল। কিছু পরিমাণ নারিকেল তেল তোকে ব্যবহার করা যেতে পারে নারিকেল তেল কঠিন রাসায়নিক ভেঙে ত্বকের খুব গভীর থেকে মেকআপ রিমুভ করে। তার পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

বিশেষ করে মেয়েদের চুলে নারিকেল তেল ব্যবহার করলে চুলের কন্ডিশনিং ভালো হয়। নারিকেল তেল প্রাকৃতিক উপাদান যা চুলে ব্যবহার করলে চুলের কন্ডিশন ভালো হয় ও চুল গোড়া থেকে মজবুত হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি চুলের কন্ডিশন ভালো রাখতে চান তাহলে নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করুন তাহলে চুলের কন্ডিশন ভালো হবে এবং গোড়া থেকে মজবুত হবে এবং সতেজ থাকবে। নারিকেল তেলে হাইট্রেড রয়েছে যার কারণে চুলের নারিকেল তেল ব্যবহার করলে সতেজ ও চকচকে উজ্জ্বল করে তোলে।

প্রিয় পাঠক, আশা করি এই আর্টিকেল থেকে প্যারাসুট নারিকেল তেলের উপকারিতা ও প্যারাসুট নারিকেল তেল কি খাওয়া যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন, এবং উপকৃত হয়েছে। এরপরেও যদি আপনাদের কোন মতামত বা জিজ্ঞাসা থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলের নিচে দেওয়া কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করবেন।

আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে অবশ্যই পৌঁছে দিবেন। এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য "ধন্যবাদ"।